চা শিল্পের প্রসারে মাছমারা বাগানে বসছে মিনি ফ্যাক্টরি

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

রাজ্যের চা শিল্প এবং ক্ষুদ্র চা চাষিদের উন্নয়নে উত্তর জেলার মাছমারা চা বাগানে একটি চা মিনি ফ্যাক্টরি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই মিনি ফ্যাক্টরি স্থাপনে খরচ হবে তিন কোটি পঁচিশ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যে এই মিনি ফ্যাক্টরি স্থাপনের জন্য রাজ্য জনজাতি কল্যাণ দপ্তর থেকে ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমকে এক কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। রবিবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাছমারা চা বাগানে মিনি ফ্যাক্টরি স্থাপনের শিলান্যাস করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষামন্ত্রী শান্তনা চাকমা, শ্রম ও প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী ভগবান দাস, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা সহ অন্যরা। এই মিনি চা ফ্যাক্টরি থেকে বছরে এক লক্ষ কেজি চা উৎপাদন হবে। এই ফ্যাক্টরি স্থাপিত হলে শুধু মাছমারা চা বাগানই নয়, বাগানের আশেপাশে প্রচুর ক্ষুদ্র চা চাষি আছেন তারাও দারুণভাবে উপকৃত হবেন। কেননা, দীর্ঘদিন ধরে ওইসব ক্ষুদ্র চা উৎপাদকদের তাদের ব্যক্তিগত বাগানের কাঁচা চা পাতা নিয়ে যেতে হতো মনুভ্যালি চা ফ্যাক্টরিতে। এতে তাদের সময় এবং অর্থ দুটোই ব্যয় হতো। তাছাড়া চা পাতার মূল্যও সেভাবে পেতো না। মাছমারা চা বাগানটি ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের অধীনে। এই বাগানে ১৭৫ জন চা শ্রমিক রয়েছে। এখন ফ্যাক্টরি স্থাপিত হলে চা উন্নয়ন নিগম যেমন উপকৃত হবে, তেমনি এলাকার ক্ষুদ্র চা চাষিরাও লাভবান হবে। তারা এখন মনুভ্যালির বদলে মাছমারা ফ্যাক্টরিতেই কাঁচা চা পাতা বিক্রি করতে পারবে। এতে পরিবহণ খরচ, সময় দুটোই বাঁচবে। চা চাষিদের এটা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। নানা সমস্যার কারণে অনেকে চা চাষ বন্ধ করে দিয়েছিল। দীর্ঘদিন পর দাবি পূরণ হওয়ায় মাছমারা বাগান শ্রমিক থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র চাষিরাও দারুণভাবে খুশি।এই ফ্যাক্টরির শিলান্যাসকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রামগুনা বাজারে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় দুই মন্ত্রী এবং চা নিগমের চেয়ারম্যান চা শিল্পের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রয়াস, চা শ্রমিকদের কল্যাণে সরকারের গৃহীত কল্যাণকর প্রকল্প, চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। দীর্ঘ বাম শাসনে রাজ্যের যে সম্ভাবনাময় শিল্প ধুঁকছিল, যে নিগম অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছিল, বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রয়াস ও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত ও পরিচালনায় রাজ্যের চা শিল্প আজ অনেকটাই প্রগতির পথে। সঙ্কট কাটিয়ে ত্রিপুরার উৎপাদিত চা পাতার চাহিদা এবং গুণমান দুটোই বেড়েছে। বেড়েছে চায়ের উৎপাদনও।

Dainik Digital

Recent Posts

উচ্চশিক্ষার গতিভঙ্গ!!

গত জুলাইয়ে,তৃতীয় নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রথম তথা সর্বশেষ সংসদ অধিবেশনে, লোকসভায় এক প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয়…

24 mins ago

গুলিবিদ্ধ অভিনেতা গোবিন্দা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-গুলিবিদ্ধ অভিনেতা তথা শিবসেনা নেতা গোবিন্দা। জানা গিয়েছে ভুলবশতই তাঁর নিজের বন্দুক থেকে…

39 mins ago

রাজধানীতে সিপিএমের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম ও দপ্তরের পরিকাঠামো তলানিতে এসে ঠেকেছে।এই কারণে,রাজ্যে ৪০ শতাংশ গ্রাহকের…

45 mins ago

ভোক্তাদের পকেট কেটে চিনি, সুজি, ময়দা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে বিনামূল্যে চিনি, সুজি,ময়দা দেওয়ার নামে সস্তা রাজনীতি করতে গিয়ে লেজেগোবরে হয়েছে বিজেপি…

2 hours ago

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে হার্টের ক্ষতি হয়!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ডায়াবেটিসের রোগী এখন প্রায় ঘরে ঘরেই। জীবনযাপনে পরিবর্তন আনার মাধ্যমে সহজেই এই রোগ…

2 hours ago

গয়নার ল্যাবে তৈরি হলো বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম রুবি!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলায় চুনি, ইংরেজিতে রুবি।চুনির রং কতটা টকটকে লাল, তার উপর এই মানিকের দাম…

1 day ago