চিকিৎসা করাতে এসে ডাক্তার নার্সকে হেনস্তা, আক্রমণ : ক্ষোভ।

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি || রোগীর সঠিক সেবা সহ চিকিৎসা কারনো হয়নি।এই অভিযোগে আমবাসা প্রাথমিক হাসপাতালে চিকিৎসকসহ নার্সদের উপর আক্রমণ সহ নানা অপমানজনক অপকর্ম করেন আমবাসা চান্দ্রাই ছড়ার বেশকিছু যুবক। ঘটনা ১৯ জুন সোমবার রাতে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০ জুন মঙ্গলবার সকালে আমবাসা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকসহ নার্স এবং হাসপাতাল কর্মীরা হাসপাতালে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সঙ্গে ১০ মিনিটের কর্ম বিরতিও পালন করেন তারা। শেষ পর্যন্ত আক্রান্ত চিকিৎসক খাচাং দেববর্মা এলাকার দুই যুবক প্রণব রুদ্রপাল এবং তমাল সরকারের বিরুদ্ধে আমবাসা থানায় লিখিত মামলা দায়ের করেন।২০ জুন মঙ্গলবার বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং কর্মবিরতি শেষে ডাক্তার খাচাং দেববর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ১৯ জুন সন্ধ্যার পর চান্দ্রাই ছড়ার বিষপানকারী এক মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে আনার সাথে সাথে আমি নার্সের সহযোগিতায় বিষপানকারী মহিলার চিকিৎসা শুরু করি। অনেক চেষ্টা করেও মহিলার পাকস্থলীতে বিশেষ নল প্রবেশ করাতে সমস্যা হচ্ছিল। তারপরও আমরা চেষ্টায় কোনও গাফিলতি করিনি। হঠাৎ মহিলার স্বামী সহ এলাকার বেশ কজন যুবক আমাকে ধমক দিতে শুরু করেন। সঙ্গে অকথ্য ভাষা। যা শুনে নার্সরা ভয়ে দূরে চলে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে আমি বিষপানকারী মহিলাকে জেলা হাসপাতালে পাঠানোর কথা বলতেই বেশ ক’জন যুবক আমাকে আক্রমণ করে।তাতে হাসপাতালের কর্মীরা ভয়ে যে যেদিকে পারে চলে যায়।একই সময়ে এলাকার যুবকরা নিজেদের মধ্যেই মারপিট শুরু করে হাসপাতাল অভ্যন্তরে। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসনে আমবাসা থানার পুলিশ।অনেক বুঝিয়ে রোগী সহ যুবকদের জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছেন ‘পুলিশ। বিষয়টি একদিন নয় বারবার হচ্ছে। শাসক দলের নেতারাও বিষয়টি দেখছেন। আজ আমরা এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন কর্মসূচি হাতে নেওয়া সহ দশ মিনিটের কর্মবিরতি পালন করেছি। আমাদের দাবি হাসপাতালে অবিলম্বে পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা বিষয়টি জানিয়েছি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ ধলাই জেলার জেলাশাসক মহকুমা শাসককে। ডাক্তার কমল রিয়াং বলেন, প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন রাতে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। আমরা বারবার এগুলি সহ্য করছি। আমরা চাই না কোনও রোগী বিনা চিকিৎসায় ঘরে ফিরে যাবে। হাসপাতালে কোনও রোগী এলে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি রোগীকে ভালো করার জন্য। কোনও কোনও ক্ষেত্রে একটু সময় লেগে যায়। তাই বলে চিকিৎসার গাফিলতির অজুহাত তুলে চিকিৎসক নার্সদের হেনস্তা করা হবে সেটা আমরা মানতে পারি না। নার্সদেরও এখই বক্তব্য বিশেষ করে রাত্রিকালীন সময়ে হাসপাতালে পুলিশের ব্যবস্থা করা হোক। তা না হলে যে কোনও রোগীকে পরিষেবা দিতে আমাদের ভয়ে ভয়ে থাকতে হচ্ছে। আমাদের দাবি ভয়মুক্ত পরিবেশে যেন আমরা যে কোনও রোগীর সেবা করতে পারি সেটা নিশ্চিস্ত করা।

Dainik Digital

Recent Posts

সবজি খেতে পোকার আক্রমণ বাজারে মূল্য হ্রাস, উদ্বেগ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বিভিন্নঅঞ্চলে সবজি চাষিদের ফসলে নানা ধরনের পোকার আক্রমণ হচ্ছে। বামুটিয়া কৃষি মহকুমাধীন এলাকার…

2 days ago

কমিউনিস্টদের ঘরে যুবদের শ্রীকোনও স্থান নেই: বিপ্লব।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-চুলে পাকধরার আগ পর্যন্ত কোনও মূল্যই থাকে না কমিউনিস্টদের ঘরে।জাতীয় যুব দিবসের এক…

2 days ago

চন্দন সেনগুপ্ত স্মৃতি জাতীয় নাট্যোৎসব শুরু হচ্ছে ১৫ থেকে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-নাট্যভূমির উদ্যোগে নাট্যপ্রেমীদের আকাঙিক্ষত চন্দন সেনগুপ্ত স্মৃতি জাতীয় নাট্য উৎসব আগামী ১৫ জানুয়ারী…

2 days ago

মিডিয়ার স্বাধীনতা।।

গত বছরের মে মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলে গৃহীত হয় গত বছরের মে মাসে ইউরোপীয় ই…

2 days ago

ভাঙনের পথে।।

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে আরও সংখ্যা বাড়িয়ে,তিনশোর বেশি আসন নিয়ে বিজেপির ক্ষমতায় ফেরার পরে অনেক রাজনৈতিক…

3 days ago

জিবি, আইজিএমে ওষুধ সঙ্কটে রোগীরা চরম বিপাকে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যসরকার হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা পরিষেবা ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনায় রোগীর দুর্ভোগ কমাতে সচেষ্ট হয়েছে…

3 days ago