চিনিশূন্য রেশন, বরাদ্দ কমলো কেরোসিনের, ক্ষোভ!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-চলতি জুন মাসে রাজ্যের রেশনশপে ভোক্তার বরাদ্দের চিনি পেতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার মাসের ২৫ তারিখ অতিক্রান্ত হয়েছে। মাস শেষ হতে আর পাঁচদিন বাকি। খাদ্য দপ্তর এখনও বহিঃরাজ্য থেকে রেশন ভোক্তাদের জন্য চিনি আনতে পারেনি। চিনির গুদাম শূন্য। তাই চলতি মাসে এখন পর্যন্ত রাজ্যের কোনও রেশনশপে চিনি যায়নি।খাদ্য দপ্তর সূত্রের দাবি, চিনি শীঘ্রই বহিঃরাজ্য থেকে আসছে। তারপরই চিনি পৌঁছে দেওয়া হবে রেশনশপে বলেও খাদ্য দপ্তরের দাবি।রেশনশপে চিনি না দেওয়ায় খোলা বাজারে প্রভাব পড়েছে।খোলাবাজারে গত কয়েকদিনে চিনির মূল্য প্রতিকিলোতে খুচরো তিন-চার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আগরতলার রেশনশপ ভোক্তাদের অভিযোগ।অসাধু ব্যবসায়ীরা পাইকারি ও খুচরোতে রেশনে চিনি শূন্যতার সুযোগ নিয়ে মূল্য বৃদ্ধি করছে বলেও ক্ষুব্ধ ভোক্তাদের অভিযোগ।তবে চলতি মাসে রেশনশপে চিনি পৌঁছবে কিনা খাদ্য দপ্তর এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারছে না।খাদ্য দপ্তর রেশনে চলতি মাসে চিনি না পৌঁছাতে পারলে জুন মাসের ভোক্তার বরাদ্দের সেই চিনি জুলাই মাসে দেওয়ার সময় বৃদ্ধি করে দেবে বলে খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। এদিকে রেশনশপে কেরোসিন তেলের বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ায় ভোক্তারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।চলতি জুন মাস থেকে কার্ড হোল্ডারদের মাথাপিছু ৫০ গ্রাম করে কেরোসিন কমিয়ে দিয়েছে। কেরোসিনের বরাদ্দ কমে দাঁড়িয়েছে মাথা পিছু ১৫০ গ্রাম। প্রতি লিটারের মূল্য ৬৮ টাকা। ভোক্তাদের অভিযোগ, শহরাঞ্চলের কোন কোন ভোক্তা রেশনশপ থেকে কেরোসিন না নিলেও . শহরতলি ও গ্রামাঞ্চলের বিরাট সংখ্যক ভোক্তা এখনও রেশন শপ থেকে কেরোসিন নেন।গ্রামাঞ্চলে কেরাসিনের ভাগ চাহিদা রয়েছে।কএই অবস্থায় রেশনে কেরোসিন বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ায় ভোক্তারা দুর্ভোগে পড়েছেন। এদিকে রেশনশপে চলতি জুন মাসে এখনও গুঁড়ো মশলা দেওয়া হয়নি। ন্যায্য মূল্যে গুঁড়ো মশলা না পেয়ে বাধ্য হয়ে ভোক্তারা খোলা বাজার থেকে চড়া মূল্যে গুঁড়ো মশলা কিনে নিচ্ছেন।গত অক্টোবর মাসে দুর্গা পুজোর সময় খাদ্য দপ্তরের তরফে রেশনশপে ভর্তুকি মূল্যে ভোজ্যতেল দেওয়া হয়েছিল।প্রতি রেশন কার্ডে ১লিটার করে ১১৩ টাকায় দেওয়া হয়। তাতে ভোক্তারা খুব খুশি হয়েছিলেন। তখন খাদ্য দপ্তর থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, বছরে চারবার ভর্তুকি মূল্যে রেশন শপে ভোজ্যতেল দেওয়া হবে।কিন্ত তারপর আটমাস অতিক্রান্ত হতে চললেও রেশনে আর সেই ভোজ্যতেলের দেখা নেই। তাতে রাজ্যের রেশনশপ ভোক্তাদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ঘোষণা অনুযায়ী কেন ভর্তুকি মূল্যে ভোজ্যতেল দেওয়া হচ্ছে না। তবে এই বিষয়ে খাদ্য দপ্তর কিছু জানতে পারছে না।