মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, বন্ধ ইন্টারনেট,, কার্ফু জারি!!
চূড়ান্ত অমানবিক আচরণের অভিযোগ ১০,৩২৩-এর বিরুদ্ধে
৪৮ ঘণ্টা ধরে ঘেরাও রাজ্য শিক্ষাভবন । কারণ চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে অনড় ১০,৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকারা । পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষক শিক্ষিকারা দপ্তরের অধিকর্তার সাথে সাক্ষাতের জন্যে সারা রাজ্য থেকে আসেন । কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্যে শিক্ষা অধিকর্তা আন্দোলনরত শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে দেখা করতে পারেননি । এমনকি অধিকর্তার পরিবর্তে যেসব আধিকারিক ১০,৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে কথা বলেছেন তাদের কাছ থেকে কোনও প্রতিশ্রুতি পাননি শিক্ষকরা । ফলে পুনরায় স্থায়ী চাকরির দাবির পক্ষে লিখিত প্রতিশ্রুতি প্রদানের জন্যে শিক্ষাভবন ঘেরাও করেন শিক্ষক শিক্ষিকারা ।
শারীরিক অসুস্থতার জন্যে শিক্ষা অধিকর্তাকে ঘেরাও মুক্ত করলেও দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকদের মুক্ত করেও ঘেরাও করে রাখেন ১০,৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকারা । বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিনে তাদের দাবি দপ্তরের সচিবকে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলেই শিক্ষাভবন ঘেরাও মুক্ত করার বিষয়ে ভাবা হবে । রাতের সংবাদ লেখা পর্যন্ত ঘেরাও চলছে শিক্ষাভবনে । এদিকে , আন্দোলনের নামে 10,৩২৩ চাকরিচ্যুত একাংশ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অমানবিক আচরণের অভিযোগ উঠেছে । শুধু তাই নয় , পুলিশি ভূমিকা নিয়েও বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে । আদালতের নির্দেশে চাকরিচ্যুত হওয়া একাংশ শিক্ষক পুনরায় চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে গতকাল বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার খবর লেখা পর্যন্ত প্রায় টানা দুইদিন শিক্ষাভবন ঘেরাও করে রেখেছে । বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা চাঁদনি চন্দ্ৰনকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিসে আটকে রাখা হয় ।
একটা সময় তাকে জল পর্যন্ত খেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ । প্রচণ্ড মানসিক চাপ ও দিনভর অফিসে আটকে থাকার কারণে তিনি মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন । জানা গেছে , শিক্ষা অধিকর্তা চাঁদনি চন্দ্রন আট মাসের অন্ত : সত্ত্বা । এই অবস্থা দেখার পরও আন্দোলনের নামে একাংশ চাকরিচ্যুত শিক্ষক তার সাথে চূড়ান্ত অমানবিক আচরণ করেছে । সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে অফিসে আটকে রেখেছে । তারপরও শিক্ষা অধিকর্তা শিক্ষক প্রতিনিধিদের ডেকে নিয়ে কথা বলেছেন । কিন্তু চাকরিচ্যুতরা তাদের দাবিতে অনড় । একদিকে মানসিক চাপ অন্যদিকে শারীরিক অসুস্থতা । এতে পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে উঠে । তিনি মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন । এরপর তড়িঘড়ি তাকে অফিস থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ।এই ঘটনায় প্রশাসনিক শীর্ষ মহলেও ব্যাপক ক্ষোভ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে । প্রশ্ন উঠেছে পুলিশি ভূমিকা নিয়েও । আন্দোলনের নামে স্বাভাবিক কাজকর্মও লাঠে উঠেছে । খবর নিয়ে জানা গেছে , দুইদিন ধরে শিক্ষাভবনে কোনও কাজই হয়নি । আন্দোলনের নামে যেভাবে অশান্তি তৈরি হচ্ছে এতে আইনশৃঙ্খলা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে । চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হোক , এটা সকলেই চায় । কিন্তু আন্দোলনের নামে একজন আটমাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলা আধিকারিককে দিনভর অফিসে আটকে রাখা , মোটেও সমুচীন ও সমর্থনযোগ্য হতে পারে না । জানা গেছে , শ্রীমতী চন্দ্রন আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যাবেন , এটা আগে থেকেই নির্ধারিত ছিলো । কিন্তু আজ যেটা হয়েছে , তাতে বিভিন্ন মহলেই বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে । মহাকরণ সূত্রে জানা গেছে , রাজ্য সরকার এই ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ।