নেতা-মন্ত্রীদের বারবার ঘোষণা সত্ত্বেও গ্রুপ ডি নিয়োগ হচ্ছে না!!
চূড়ান্ত সীলমোহর পড়বে ১০টি সাংগঠনিক জেলা সভাপতির নামে!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকালই বিজেপির দশটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নামে চূড়ান্ত সীলমোহর পড়বে। জেলা সভাপতিদের চূড়ান্ত নামের তালিকা প্রস্তুত করতে আগামীকাল রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হবে। আগামীকালের বৈঠকে যোগ দিতে বুধবারই রাজ্যে এসে পৌঁছেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। বিজেপি সূত্রে খবর, বিপ্লব দেবের উপস্থিতিতে আগামীকাল দলের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠকে চূড়ান্ত করা হবে দশটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নামের তালিকা। সম্ভবত আগামীকালই বৈঠকশেষে নতুন জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হবে। বৈঠকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা, বিজেপি প্রদেশ সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য সহ রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির অন্য নেতৃত্ব।
সম্প্রতি ষাটটি বিধানসভার মণ্ডল সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। দলের গাইডলাইন অনুযায়ী মণ্ডল সভাপতি পদে তরুণ নেতৃত্বকে জায়গা দেওয়া হয়েছে।এক-দুজন বাদ দিলে অন্য সকলের বয়স পঁয়তাল্লিশ বছর এবং তার নীচে।এ নিয়ে গত মাসখানেক ধরে দলের সাংগঠনিক পর্যায়ে ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ চলেছে। গাইডলাইন মোতাবেক মণ্ডল সভাপতি বাছাই করতে গিয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। অনেক বিষয় মাথায় রেখে মণ্ডল সভাপতিদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে, মণ্ডল সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশের পর কোনও মণ্ডলেই নয়া মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ তেমন দেখা যায়নি। এটা দলের সাংগঠনিকস্তরে ভালো ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।
মণ্ডল সভাপতি চূড়ান্ত করার পর এবার দশটি সাংগঠনিক জেলা সভাপতিদের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এ নিয়ে গত কদিন ধরেই দলীয়স্তরে ব্যাপক তৎপরতা ও চাপানউতোর চলছে। প্রত্যাশীরা যে যার মতো করে পদে বসার জন্য আপ্রাণ – চেষ্টা চালিয়ে গেছে। দলের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, দলীয় গাইডলাইন অনুযায়ী ষাট বছরের নিচে যাদের বয়স তারাই জেলা সভাপতি হিসাবে বিবেচিত হবেন। শুধু তাই নয়, দলের জন্য অনুগত, কর্মঠ এবং দলের জন্য ফুলটাইম কাজ করতে পারবেন এমন নেতা বা নেত্রীরাই জেলা সভাপতি পদে অগ্রাধিকার পাবেন। ‘স্বচ্ছ ভাবমূর্তি’ সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে।বিশ্বস্ত সূত্রের আরও দাবি,জেলা সভাপতি বাছাইয়ে শুধু উপরিউক্ত বিষয়গুলি বিচার্য হবে এমন নয়,দল না চাইলে সংসদীয় নির্বাচনে লড়াই করবেন না, এমন ব্যক্তিরাই জেলা সভাপতি হিসাবে বিবেচিত হবেন।মোদ্দা কথা,জেলা সভাপতি হিসাবে যাদের নামে চূড়ান্ত সীলমোহর দেওয়া হবে তারা কেউই দল না চাইলে কোনও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দাবি করতে পারবেন না। এমন কাউকে জেলা সভাপতি পদে বসানো হবে না। জানা গেছে, মণ্ডল সভাপতিদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর হবে।
ফলে দলের গাইডলাইন মোতাবেক বর্তমান জেলা সভাপতিদের মধ্যে এবার অনেকে বাদ পড়বেন। তাদের জায়গায় আসবে নতুন মুখ। এটা একপ্রকার নিশ্চিত। জেলা সভাপতিদের নামের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর শুরু হবে দলের প্রদেশ সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া। সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হলে নতুন সভাপতি দলের নতুন রাজ্য কমিটি গঠন করবেন। এরপর গঠন করা হবে বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশের নতুন কোর কমিটি। বর্তমান কোর কমিটির মধ্যেও পরিবর্তন হবে।কেউ কেউ বাদ পড়বেন।বর্তমান কোর কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন প্রাক্তন উপ- মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মণ। তিনি এখন তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল। তার জায়গায় নতুন মুখ আসবে।এছাড়াও ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি নিয়েও দল চিন্তাভাবনা করছে বলে সূত্রের দাবি। ফলে আগামী আরও দেড়-দু’মাস রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিকস্তরে তৎপরতা থাকবে তুঙ্গে।