চেন্নাইয়ে পথ দুর্ঘটনা, নিহত রাজ্যের গর্ব ডা. দেবাশীষ দন্ড!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-ব্যাঙ্গালোরে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন দেশের প্রথিতযশা রিউম্যাটোলজিস্ট তথা ত্রিপুরার সন্তান প্রফেসর ডাক্তার দেবাশীষ দন্ড। শনিবার সকালে চেন্নাই থেকে ব্যাঙ্গালোের যাওয়ার পথে লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের মুখে পড়েন। দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।ডা. দিন্ডের গাড়ির চালকও দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।দুর্ঘটনায় গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।মৃত্যুকালে ডা. দন্ডের বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি ছিলেন দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুমের সাতচাঁদের সন্তান।সিএমসি ভেলোরের রিউম্যাটোলজি বিভাগের প্রধান ছিলেন তিনি।জিপমার থেকে এমবিবিএস পাস করার পর কানপুর থেকে এমডি পাস করেন।১৯৯৬ সালে তিনি ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজে যোগদান করেন।তিনিই সিএমসি ভেলোরে রিউম্যাটোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।চার বছর তিনি অস্ট্রেলিয়ায় কর্মরত ছিলেন। ফিরে এসে পুনরায় সিএমসিতে যোগদান করেন। গত বছর অক্টোবরে তিনি এই বিভাগের প্রধানের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন।শুধু ভারতেরই নয়,গোটা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অগণিত রোগী চিকিৎসক দন্ডের নিরন্তর চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হয়েছেন।চিকিৎসক, অধ্যাপক, গবেষক এই মানুষটি ব্যক্তিগত জীবনেও ছিলেন অমায়িক।ডা. দেবাশীষ দন্ডের মৃত্যুর খবর রাজ্যে ছড়িয়ে পড়তেই সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে।দেবাশীষ দন্ডের মৃত্যুর সংবাদে স্তম্ভিত গোটা সাব্রুম মহকুমা।খবরটা কেউ বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।রাজ্যে হারালো এক কৃতী সন্তানকে। দেবাশীষ দন্ডের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরী, বিধায়ক মাইলাফ্লু মগ, প্রাক্তন সাক্রম নগর পঞ্চায়েত চেয়ারম্যান শান্তিপ্রিয় ভৌমিক, প্রাক্তন স্কুল পরিদর্শক দুলাল দাস, প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর রায়।সাব্রুম প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে দেবাশীষ দন্ডের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।এই প্রখ্যাত চিকিৎসকের হাত ধরে সিএমসি ভেলোরে তৈরি হয়েছিল রিউম্যাটোলজি বিভাগ যার প্রধান ছিলেন তিনি।শুধু ভারত নয় পৃথিবীর অগণিত রোগী তার চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হয়েছেন।আজ তার মৃত্যুতে শুধু রাজ্য নয় সারা পৃথিবীর অগণিত মানুষের ক্ষতি হয়ে গেলো।অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিশিয়ান ত্রিপুরা শাখা এবং হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশন অব ত্রিপুরা ডা. দন্ডের মৃত্যুতে গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা ব্যক্ত করেছে।