চোখের পলকে জানলা সাফ করে গিনেস রেকর্ড!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-একেই বুঝি বলে বাপ কা বেটি! দ্রুততার সঙ্গে জানলা পরিষ্কার করার গিনেস রেকর্ড করেছিলেন বাবা টেরি ‘টার্বো’ বারোজ। সেই রেকর্ড গত উনতিরিশ বছর ধরে অক্ষুণ্ণ ছিল। এবার, বাবার চেয়েও কম সময় নিয়ে নতুন গিনেস রেকর্ড স্থাপন করলেন টেরির কন্যা অ্যালিসিয়া বারোজ। চোখের পলকে জানলা পরিষ্কার করে নতুন গিনেস রেকর্ড স্থাপন করেছেন ব্রিটেনের বাসিন্দা ৩৩ বছরের অ্যালিসিয়া। তার বাবা টেরি টার্বো (চোখের নিমেষে পরিষ্কার করার দক্ষতার কারণেই নিজের নামের পাশে ‘টার্বো’ শব্দটি যুক্ত হয়েছিল তার) উনত্রিশ বছর আগে যখন গিনেস রেকর্ড কায়েম করেছিলেন, অ্যালিসিয়া তখন তিন বছরের শিশু। একটি অফিসের প্রমাণ সাইজের কাচের পাল্লার জানলা যে গতিতে অ্যালিসিয়া সাফ করতে পারেন, তা অবিশ্বাস্য। রবারের তৈরি ওয়াইপারের সাহায্যে একটি জানলা পরিষ্কার করতে অ্যালিসিয়া সময় নেন মাত্র ৫ সেকেন্ড। অ্যালিসিয়ার বিচিত্র এই দক্ষতার খবর জানিয়ে নিজেদের ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গিনেস কর্তৃপক্ষ। সেখানে বলা হয়েছে, অ্যালিসিয়া কাচের তৈরি তিনটি জানলা পরিষ্কার করতে মোট ১৬.১৩ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন। তার আগে আর কেউ এত কম সময়ে জানলা পরিষ্কার করতে পারেননি। গত ১৩ মার্চ ম্যানচেস্টার ক্লিনিং শোতে অংশ নিয়ে অ্যালিসিয়া যে তিনটি জানলা পরিষ্কার করেছিলেন, তার এক- একটি দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে ছিল ৪৫ ইঞ্চি। ১৬.১৩ সেকেন্ডের মধ্যে তিনি তিনটি জানলা পরিষ্কার করে মহিলা বিভাগে সবচেয়ে দ্রুত জানলা পরিষ্কার করার রেকর্ড স্থাপন করেছেন। জানলা পরিষ্কার করা ছিল টেরি টার্বো বারোজের পেশা। তবে অ্যালিসিয়া এ পেশায় যুক্ত নন। কিন্তু, এই দক্ষতা তার রক্তে মিশে আছে। ২৯ বছর আগে ৯.১৪ সেকেন্ডের মধ্যে স্বাভাবিক আয়তনের একটি জানালা পরিষ্কার করে পুরুষ বিভাগে গিনেস রেকর্ড করেছিলেন টেরি। গিনেস কর্তৃপক্ষকে অ্যালিসিয়া জানান, আশৈশব খুব মনোযোগ সহকারে জানলা পরিষ্কার করার কাজটি পর্যবেক্ষণ করেছেন তিনি। নিজেও ক্রমে সে কাজটি ভালবেসে ফেলেছেন। ধীরে ধীরে এই কাজে দক্ষ হয়ে উঠেছেন। যদিও বাবার মতো পেশা হিসেবে এই কাজটিকে তিনি গ্রহণ করেননি। অ্যালিসিয়া বলেন, ‘ছোটবেলায় একবার বাবার হাত ধরে লন্ডনে গেছিলাম। সেখানে প্রথম বাবাকে চোখের পলকে জানলা পরিষ্কার করতে দেখে চমকে গেছিলাম। বাবাকে নকল করতেই এই কাজ ক্রমে ভালবেসে ফেলি। বড় হলে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে শুরু করি।’