নেতা-মন্ত্রীদের বারবার ঘোষণা সত্ত্বেও গ্রুপ ডি নিয়োগ হচ্ছে না!!
ছবিমুড়ার উন্নয়নে উদ্যোগ
দৈনিক সংবাদ অনলাইনঃ রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ছবিমুড়ায় রাজন্য আমলের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন তথা রাজন্য আমলে গোমতী নদী গাত্রে খোদিত দেবী চাকরাকমার মূর্তি সহ অন্যান্য দেবদেবীর মূর্তি ও চিত্র ভাষ্কর্য গুলি রক্ষনাবেক্ষনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। এই উদ্দেশ্যে রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের এম ডি’র নেতৃত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল সম্প্রতি ছবিমুড়া পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন করে গেছেন। প্রতিনিধিদলটি ছবিমুড়ার পাদদেশ রাধুর খামারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গুলির কাজকর্মের অগ্রগতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। ছবিমুড়ার নদী গাত্রে খোদিত প্রত্নতাত্ত্বিক শিল্প ভাষ্কর্য গুলি কিভাবে রক্ষনাবেক্ষন করা যায় তাও খতিয়ে দেখেন।
প্রসঙ্গত, ছবিমুড়া পর্যটন কেন্দ্রের মূল আকর্ষণ গোমতী নদী গাত্রে খোদিত প্রত্নতাত্ত্বিক শিল্প ভাষ্কর্য গুলির এবং দেবদেবীর মূর্তি গুলির বেশিরভাগই ইতিমধ্যেই খসে পরে নদীর জলে মিশে গেছে। বাকি দেবদেবীর মূর্তি গুলি তথা প্রত্নতাত্ত্বিক শিল্প ভাষ্কর্য গুলিও ক্রমশ খসে পরে অবলুপ্তির পথে। রাজ্যের পর্যটন দপ্তর ছবিমুড়ার পাদদেশ রাধুর খামারে যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালালেও ছবিমুড়ার মূল আকর্ষণ নদী গাত্রে খোদিত প্রত্নতাত্ত্বিক শিল্প ভাষ্কর্য গুলির সংরক্ষিত করার কোন প্রকার উদ্যোগ নেয় নি। এনিয়ে পত্রিকায় বহু লেখালেখির পরেও পর্যটন দপ্তরের কর্মকর্তাদের কোন প্রকার কার্যকরী উদ্যোগ ছিল না। যার ফলে ছবিমুড়া পর্যটন কেন্দ্র ক্রমেই স্বকীয়তা হাড়াতে বসেছিল। অনেক আশা প্রত্যাশা নিয়ে ছবিমুড়া পরিদর্শনে আসা পর্যটকরা নিরাশ হয়েই ফিরছিলেন। এমতাবস্তায় রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের এমডি’র নেতৃত্বে ছবিমুড়ার প্রত্নতাত্ত্বিক শিল্প ভাষ্কর্য রক্ষনাবেক্ষনের লক্ষ্যে ছবিমুড়া পরিদর্শন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ এবং অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। দেখার বিষয় রাজ্যের পর্যটন দপ্তর ছবিমুড়া পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের কাছে মূল আকর্ষণ রাজন্য আমলে গোমতী নদী গাত্রে খোদিত প্রত্নতাত্ত্বিক শিল্প ভাস্কর্য গুলির সংরক্ষনে ও ছবিমুড়া পর্যটন কেন্দ্রের স্বকীয়তা রক্ষার্থে কতটা আন্তরিকতার সাথে উদ্যোগ গ্রহণ করে। রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের কর্মকর্তাদের আন্তরিক উদ্যোগের উপরই সবটা নির্ভর করবে।