জনজাতি ভোট বিজেপিতে আসবেঃ রতন নাথ

 জনজাতি ভোট বিজেপিতে আসবেঃ রতন নাথ
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি।। মোহনপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি, কংগ্রেস, তিপ্রামথা এবং নির্দল মিলে চারজন প্রার্থী রয়েছে। বিজেপি প্রার্থী রতন লাল নাথ নির্বাচনী প্রচারে পুরো দমে ময়দানে থাকলেও, অন্যান্য দলের প্রার্থীদের সেভাবে প্রচারের আলোয় দেখা যাচ্ছে না। তবে কংগ্রেস দলের এক নেতার দাবি তারা ভোট প্রচার করে যাচ্ছে, এবং জনসংযোগ রাখছে। তিপ্রামথার প্রার্থী তাপস দে জনজাতি এলাকায় প্রচার জাড়ি রাখলেও সমতলে সেই ভাবে প্রচার জোরালো করতে পারেন নি। মথার প্রার্থীর দাবি কিছুদিনের মধ্যে সমতলেও প্রচার তেজী হবে। এদিকে বিজেপি দল অনেক আগেই মোহনপুরে সংগঠনের কাজকর্ম চালিয়ে গেছে।

মনোনয়নপত্র জমা হতেই বিজেপি প্রার্থী রতন লাল নাথ সমতলের সাথে সাথে জনজাতি এলাকায় প্রচার শুরু করেছেন। শনিবার ৪৪ নং বুথের জনজাতি অধ্যুষিত বীরমোহন পাড়ার বাসিন্দাদের সাথে নির্বাচনী সভায় মিলিত হন। সভা শেষে তিনি জানান, মোহনপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ৪৬ হাজার ভোটার রয়েছে। তারমধ্যে জনজাতি এলাকায় ১৪ হাজারের মতো ভোট রয়েছে। প্রার্থী রতনলাল নাথের দাবি এবারের নির্বাচনে জনজাতি এলাকা থেকে নয় হাজার ভোট বিজেপি প্রার্থী পাবে। বাকি সমতলের ৩২ হাজার ভোটের মধ্যে বিজেপি দল এত ভোট পাবে যে, বিরোধী দলগুলির জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

নিজের জয় নিয়ে বিজেপি প্রার্থী বলেন, গত বছর মোহনপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি ৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিরোধীদের পরাজিত করেছিলেন। এবার সেই রেকর্ড ভেঙ্গে যাবে। তিনি বলেন, এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ছাড়া বাকি দলগুলির প্রার্থীরা বহিরাগত। এমনকি মোহনপুর কেন্দ্রে তিপ্রামথার প্রার্থীও বহিরাগত। এর ফলে জনজাতি এলাকায় চাপা ক্ষোভ রয়েছে। স্থানীয় প্রার্থী থাকতে কেন বহিরাগত প্রার্থী? সেই অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে ভোটে। এমনটাই দাবি করেন রতন লাল নাথ। তিনি দাবি করেন, পাঁচ বছরে রাজ্যের যে উন্নয়ন হয়েছে এবং মোহনপুর এলাকায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা মানুষ স্বচক্ষে দেখছে।

এই কেন্দ্রে বিরোধী দলের পরাজয় নিশ্চিত। প্রার্থী রতন নাথ বলেন, কংগ্রেস এ রাজ্যে ধুয়ে মুছে ছাপ হয়ে গেছে। কমিউনিস্টরা তাদের শেষ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করছে। কিন্তু এবার দেশের মতো ধুয়ে মুছে যাবে। তার উদাহরণ টেনে বলেন ৩৫ বছর সরকারে থেকেও মোহনপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কেন প্রার্থী দিতে পারল না? জোট মুখে বললেও সিপিএম- কংগ্রেস নিজেদেরকে বিশ্বাস করতে পারছে না। কারণ প্রকৃত কর্মীরা অতীতকে ভুলতে পারছে না।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.