দেশর নয়া শিক্ষানীতি লইয়া দিল্লীর শাসক বিজেপি নেতৃত্বাধীন দে বিজেপি সরকারের অন্যতম বিরোধী শক্তি কিংবা বিরোধী মুখ হইয়া উঠিয়াছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। হিন্দি ভাষা লইয়া তাহাদের আপত্তি এক চরম রাজনৈতিক টানাপোড়েন তৈরি করিয়াছে।স্ট্যালিনের তামিলনাড়ু সরকার কোনক্রমেই ত্রিভাষা অর্থাৎ রাজ্যে ছাত্রদিগের জন্য তিন ভাষা বাধ্যতামূলক করিতে দিতে রাজি নহেন। মাতৃভাষা ভিন্ন ছাত্ররা ইংরেজি ভাষা পড়িবে।কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তৃতীয় ভাষা যুক্ত করিতে চাহিতেছে।সেই অনুসারে তামিলনাড়ুর ছাত্রদের হিন্দিও পড়িতে হইবে। এই প্রশ্নে অরাজি স্ট্যালিন। তাহার শিক্ষামন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারকে সরাসরি প্রশ্ন ছুড়িয়াছেন, উত্তর ভারতের কোন রাজ্যের শিক্ষার্থীরা ত্রিভাষা চর্চা করিতেছে ইহার দৃষ্টান্ত দেখান? এই দৃষ্টান্ত দেখানো সম্ভব নহে। এই লইয়া সংসদে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কড়া ও তিক্ত শব্দ ব্যবহার করিয়াছেন তামিলনাড়ুর শিক্ষামন্ত্রীকে লইয়া।
ভাষা লইয়া কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যের অর্থাৎ তামিলনাড়ু সরকারের যে লড়াই চলিতেছিল তাহা থামিবার নাম নাই। ইহারই মধ্যে আর এক বিতর্কের ভরকেন্দ্র হইয়া উঠিয়াছে দক্ষিনের রাজ্য তামিলনাডু।সংসদের আসন বৃদ্ধি লইয়া কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে যে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়াছে সেই বিষয়ে আলোচনায় এক সম্মেলন ডাকিয়াছেন এমকে স্ট্যালিন নিজের রাজ্যে।সম্মেলনের যে সূচি ঘোষণা করা হইয়াছে এখনো এক সপ্তাহ বাকি, কিন্তু ইতিমধ্যে সম্মেলনে কাহারা কাহারা আসিতেছেন বা ইচ্ছা প্রকাশ করিতেছেন এই লইয়া সাড়া পড়িয়া যাইতেছে। অর্থাৎ সম্মেলন ডাকিয়া যথেষ্ট সাড়া পাইতে শুরু করিয়াছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন।
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী।যেহেতু তামিল নাডুতে কংগ্রেস এমকে স্ট্যালিনের ডিএমকে নেতৃত্বাধীন জোটের এক শরিক তাই রেবন্ত রেড্ডির ওই সম্মেলনে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু ওই রাজ্যের বিরোধী দল বিআরএসের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট কে টি রাম রাও নিজেই সেই সম্মেলনে যাইবার ইচ্ছাপ্রকাশ করিয়াছেন।কর্ণাটকে কংগ্রেসের সরকার। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার জানাইয়া দিয়াছেন, তাঁহারা ২২ মার্চের সম্মেলনে যোগ দিবেন। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীকে জনাইয়াছেন, স্বাস্থ্যের কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারিবেন না। তাঁহার প্রতিনিধি হইয়া সম্মেলনে যাইবেন উপমুখ্যমন্ত্রী শিবকুমার।
কেবলমাত্র জনসংখ্যার নিরিখে সংসদের আসনসংখ্যা নির্ধারণের বিরোধিতায় ওই সম্মেলনে দক্ষিণের রাজ্যগুলিকে একজোট করিবার চেষ্টা চালাইয়াছেন মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন। দাক্ষিণাত্যের পাঁচ রাজ্য ছাড়াও সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাইয়া স্ট্যালিন চিঠি লিখিয়াছেন পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব সহ বিজেপিশাসিত ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীকে।আমন্ত্রণ জানাইয়াছেন বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদিগকেও। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর হইতে কেবলমাত্র জনসংখ্যার নিরিখে সংসদের আসন সংখ্যা নির্ধারণ হইয়া আসিতেছে। সংসদে ১৯৫১,১৯৬১ ও ১৯৭১ সালে দেশের জনসংখ্যার নিরিখে তিনবার লোকসভার আসন সংখ্যা বাড়ানো হইয়াছে এবং বাড়িয়াছে বিভিন্ন রাজ্যের লোকসভা প্রতিনিধির সংখ্যা।
তাহার ভিত্তিতে বাড়িয়াছে রাজ্যসভার সদস্য সংখ্যাও।কিন্তু ১৯৭৬ সালে আসিয়া সেই ব্যবস্থা বা প্রথা স্থগিত রাখা হয়।সংবিধান সংশোধন করিয়া জানানো হয়,পরবর্তী ২৫ বছর সংসদের আসন সংখ্যা বাড়ানো হইবে না।কারণ হিসেবে দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের জন্মনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়। ২০০০ সালে আরও একবার সংবিধান সংশোধন করিয়া সেই মেয়াদ আরও ২৫ বছরের জন্য বাড়াইয়া লওয়া হয়।সেই হিসাবে আগামী বছর,২০২৬ সালে ৫০ বছরের মেয়াদকাল শেষ হইলে কেন্দ্রীয় সরকারকে সংসদের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত লইতে হইবে। দেশের জনগণনা ২০১১ সালের পর আর হয় নাই। এতদসত্ত্বেও বলা যায় জন্মনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি দেশের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে যতটা সফল হইয়াছে, হিন্দি বলয়ে তাহা কিছুমাত্র হয় নাই।
আবার দেশের পূর্বাংশে এই প্রকল্প কার্যকর হইয়াছে দেশের পশ্চিম প্রান্তে বা উত্তরে তাহাও হয় নাই। ফলে জনসংখ্যা বিস্ফোরণে উত্তর এবং পশ্চিম আগাইয়া রহিয়াছে।
দেশের জনগণনা ২০১১ সাল পর্যন্ত হইয়াছে।২০২১ সালে কোভিডের কারণে বন্ধ হয়, সেই হইতে জনগণনা বন্ধ। পুরাতন হিসাবে জনসংখ্যার বিচারে সংসদে আসন বৃদ্ধি ঘটানো হইলে দেখা যাইতেছে, দক্ষিণের রাজ্যগুলির তুলনায় উত্তরপ্রদেশ,বিহার,রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র সহ কয়েক রাজ্যের আসন সংখ্যা অনেকগুণ বাড়িয়া যাইতেছে।এই বৃদ্ধির ব্যবধান এতটাই হইবে যে বিজেপির মতো হিন্দি বলয়ের দলের আর কোনও দিনই দাক্ষিণাত্যের কোনও চন্দ্রবাবুর সমর্থন আর প্রয়োজন পড়িতেছে না। দক্ষিণ বা পূর্ব ছাড়াই দেশ শাসন করা সম্ভবপর। স্ট্যালিন ইহার বিরোধিতায় নামিয়াছেন সবার আগে। তাঁহার বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মসূচির সাফল্য সংসদে প্রতিনিধি পাঠাইবার ক্ষেত্রে শাস্তি বলিয়া বিবেচিত হইতে পারে না। একইভাবে হিন্দি বলয়ের ব্যর্থতার পুরস্কারও এইভাবে দেওয়া যাইতে পারে না। স্ট্যালিন ইতিমধ্যেই সংসদের আসন বৃদ্ধির বিষয়টি আরও ৩০ বছরের জন্য স্থগিত রাখিবার প্রস্তাব দিয়াছেন যাহাতে উত্তর, পশ্চিম ও পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির জন্মনিয়ন্ত্রণ কমাইয়া আনা যায় এবং উত্তর-দক্ষিণে সমতা আসে।
চেন্নাইয়ে ডাকা সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু না বলিলেও কেরালার বামপন্থী সরকার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের টিডিপি সরকার স্ট্যালিনের দাবির বিরোধিতা করে নাই। বরং দুই রাজ্যও এই অসম বৃদ্ধিতে চিন্তিত। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনো পর্যন্ত নিজে যাইবেন কিংবা প্রতিনিধি পাঠাইবেন এই ধরনের সিদ্ধান্ত জানান নাই। সিদ্ধান্ত জানান নাই পাঞ্জাবের আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মানও। ওড়িশার বিরোধী দল বিজেডির নেতা নবীন পট্টনায়ক দক্ষিণের যুক্তিকে সমর্থন করিয়াছেন। যদিও বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী নীরব। দক্ষিণের বিজেপি নেতৃত্বও নীরব। এই বিষয়ে বিরোধিতার রাস্তায় হাঁটিয়া দক্ষিণী স্বার্থের বিরোধিতা করা তাহাদের পক্ষে সম্ভব নহে।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুধু বলিয়াছেন, দক্ষিণের আসন কমিবে না।কিন্তু অমিত শাহের এ কথায় কেহ সন্তুষ্ট নন। স্ট্যালিন স্থির করিয়াছেন,দাবির সমর্থনে দলীয় সংসদ সদস্য ও পদাধিকারীদিগকে বিভিন্ন রাজ্যে পাঠাইবেন,যাহাতে ২২ মার্চের সফল হয়।
অনলাইন প্রতিনিধি :-মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রের একটি হাসপাতালে রবিবার সকালে অগিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় হতাহতের খবর নেই…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রবিবার বেলুচিস্তানে একটি সেনা কনভয়ে হামলা চালানো হয়। বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি এই হামলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজধানীর পুষ্পবন্ত প্রাসাদে হচ্ছে তাজ হোটেল। তবে পুষ্পবন্ত প্রাসাদে তাজ হোটেল হলেও এডিসি…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলাদেশে আবারমন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা।এবার নোয়াখালির লক্ষ্মীপুরে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার শ্রীশ্রী মহামায়া…
অনলাইন প্রতিনিধি:-বিতর্ক কাটিয়েরাজধানী আগরতলার পুরাতন রাজভবনের জমিতেই গড়ে উঠবে পাঁচতারা হোটেল।আনুমানিক আড়াইশো কোটি টাকা ব্যয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-দ্বিতীয় বিজেপি জোট সরকারের তথাকথিত সুশাসনে গোটা রাজ্যে সমাজদ্রোহী মাফিয়া এবং নিগো মাফিয়াদের…