জনসম্পর্কে মানুষের সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে : মুখ্যমন্ত্রী।
অনলাইন প্রতিনিধি || প্রতিটি মানুষের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে সংযত অভিব্যক্তি নিয়ে। কোনও অবস্থাতেই মানুষের সাথে বাজে ব্যবহার করা যাবে না, শুধু সম্পর্ক স্থাপন করলেই হবে না। দলীয় কর্মসূচিতে মানুষের সমর্থনও আদায় করতে হবে। বুধবার বিজেপির জেলাভিত্তিক কার্যকারিণী বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা । মুখ্যমন্ত্রী এদিন খোয়াই এবং সদর শহর জেলায় কার্যকারিণী বৈঠকে বক্তব্য রাখেন। উভয় স্থানেই তিনি দলীয় কর্মীদের মার্জিত এবং সংযত অভিব্যক্তিতে জোর দেন। মাফিয়াগিরি, গুন্ডামির মত কার্যকলাপে কর্মীদের জড়িত না হতেও সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, যে কোন অবস্থাতেই আইন আইনের পথেই চলবে। এদিন শাসক দলের দশটি সাংগঠনিক জেলাতেই একযোগে সম্পন্ন হয়েছে জেলা কার্যকারিণী বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রী ডা.সাহা এদিন প্রথমে কল্যাণপুর তোতাবাড়ির ডায়েট কলেজে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেন। খোয়াই জেলাভিত্তিক বৈঠকে রাজ্য বিধানসভায় মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, বিজেপি রাজ্য সম্পাদক নমিতা দেববর্মা, খোয়াই জিলা পরিষদের সহসভাধিপতি সহ অন্যরা ছিলেন।রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা সাংবাদিকদের বলেন, এবারের বৈঠক সামান্য ব্যতিক্রমী। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। যার ফলে সাংগঠনিক, রাজনৈতিক প্রতিবেদন কেন্দ্রিক আলোচনা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নয় বছরে কার্যকালকেন্দ্রিক আলোচনার মুখ্য। আগামী ৩০ মে প্রধানমন্ত্রী মোদির কার্যকালের নয় বছর পূর্ণ হবে। এখন মূল কাজ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী তার শাসনকালে কী কী কাজ করেছেন তা আমজনতার সামনে তুলে ধরা। তিনি বলেন ২৬ মে মণ্ডল ভিত্তিক ও কার্যকারিণী বৈঠক হবে একই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলেন সেবাই সংগঠন। ফলে মানুষকে বোঝাতে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাদের কল্যাণে কী কী কাজ করেছেন গত নয় বছরে। তিনি বলেন আরেকটি স্লোগানকে সামনে রেখে বিজেপি এগোচ্ছে। সেটি হলো ঘরে ঘরে বিজেপি। এর মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। শুধু সম্পর্ক স্থাপন করলেই চলবে না, এই সব নাগরিকদের সমর্থনও আদায় করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তার বিশ্বাস এবারও লোকসভার দুইজন প্রতিনিধি বিজেপির হয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা এদিন রবীন্দ্র ভবনে আয়োজিত সদর শহর জেলার বৈঠকেও বক্তব্য রাখেন।
সেখানে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যও বক্তব্য রাখেন। ওই বৈঠকে ছিলেন এএমসির মেয়র দীপক মজুমদার, বিজেপি প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত, সদর শহর জেলার সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য সহ অন্যরা। উদয়পুরের রাজর্ষি টাউন হলে গোমতী জেলাভিত্তিক কার্যকারিণী বৈঠকে ছিলেন। প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। তার সাথে ছিলেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায় সহ অন্যরা। এদিন সিপাহিজলা উত্তরের কার্যকারিণী বৈঠক হয়ে চড়িলাম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে। তাতে যোগ দেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক । সিপাহিজলা দক্ষিণের কার্যকারিণী বৈঠকে ছিলেন বিধায়ক কিশোর বর্মণ। কৈলাসহর গৌরনগর আর ডি ব্লক সংলগ্ন নবনির্মিত কমিউনিটি হলঘরে অনুষ্ঠিত হয় বিজেপির উনকোটি জেলাভিত্তিক কার্যকারিণী বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি ঊনকোটি জেলা সভাপতি পবিত্র দেবনাথ, চণ্ডীপুর বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য টিংকু রায়, পাবিয়াছড়ার বিধায়ক ভগবান দাস, জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস প্রমুখ। বৈঠকে জেলার পাঁচটি মণ্ডলের বিভিন্ন পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিগত দিনের দলের কার্যকলাপ ও আগামীদিনে দলের কী রণনীতি হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।