জনস্বার্থে খাদ্য দপ্তরের আরও একাধিক সিদ্ধান্ত, বাড়লো মজুরি!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-জনকল্যাণে আরও একাধিক সিদ্ধান্ত নিলো রাজ্য খাদ্য দপ্তর। মঙ্গলবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে দপ্তরের সিদ্ধান্তের কথা জানান রাজ্যের খাদ্য ও পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এদিন মন্ত্রী জানান, আগামী ফেব্রুয়ারী ও মার্চ এই দুই মাসে রেশনশপের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত রেশন কার্ড হোল্ডারদের কার্ড পিছু প্রতি কেজি ১৩ টাকা মূল্যে ৫ কেজি করে অতিরিক্ত চাল পাবে।এপিএল,বিপিএল, প্রায়োরিটি গ্রুপ, অন্ত্যোদয় প্রত্যেক ক্যাটাগরির ভোক্তারা এই চাল পাবে।সকল ক্যাটাগরির ভোক্তাদের এরজন্য প্রতিকেজি ১৩ টাকা করে দিতে হবে।বিনামূল্যে প্রতিমাসে মাথাপিছু যে পাঁচ কেজি করে চাল পায় ভোক্তারা,সেটা অব্যাহত থাকবে।ফেব্রুয়ারী এবং মার্চ মাসে কার্ড পিছু যে পাঁচ কেজি করে দেওয়া হবে,সেটা অতিরিক্ত।এই অতিরিক্ত চালের জন্য সকল ভোক্তাদের প্রতিকেজি ১৩ টাকা করে
প্রদান করতে হবে।জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বর্তমানে সবমিলিয়ে ৯লক্ষ৭৬ হাজার রেশনকার্ড হোল্ডার রয়েছেন।ওই দুই মাসের জন্য অতিরিক্ত ১০ হাজার মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ এদিন মন্ত্রী জানান, রাজ্যে আরও নতুন করে ৫১টি রেশনশপ খোলা হবে এবং ৫১ জনকে রেশনশপের ডিলারশিপ দেওয়া হবে। জনগণের সুবিধার কথা চিন্তা করেই দপ্তর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।২০১৮ সালে রাজ্যে বিজেপি-আইপিএফটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২৫২টি নতুন রেশনশপ খোলা হয়েছে। এখন নতুন করে আরও ৫১টি খোলা হবে।এই ৫১টি নতুন শপ ধর্মনগরে সাতটি, পানিসাগরে একটি, কাঞ্চনপুরে একটি, কৈলাসহরে তিনটি, কুমারঘাটে পাঁচটি, কমলপুরে দুইটি,খোয়াই একটি, তেলিয়ামুড়া দুইটি, সদরে দুইটি, জিরানীয়া ছয়টি, সোনামুড়া ছয়টি, উদয়পুরে আটটি, সাব্রুমে তিনটি, বিলোনীয়া একটি, মোহনপুরে একটি, বিশালগড়ে একটি এবং করবুকে একটি।মন্ত্রী বলেন,এতে যেমন কর্মসংস্থান হবে, তেমনি সাধারণ মানুষেরও সুবিধা হবে।সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী আরও জানান,সদরের ১৫টি রেশনশপের মাধ্যমে এখন থেকে জনগণকে গোমতী ডায়েরির উৎপাদিত আইসক্রিম, দই, ঘি এবং পনির সরবরাহ করা হবে। এটি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আপাতত সদরের পনেরোটি রেশনশপকে বাছাই করা হয়েছে।যাদের অতিরিক্ত জয়গা রয়েছে।রেশনশপের পাশেই থাকবে কাউন্টার। জনগণ যে কোনও সময়ই প্রয়োজন মতো আইনক্রিম, দই, ঘি এবং পনির ভর্তুকিমূল্যে ক্রয় করতে পারবেন।এর জন্য রাজ্য খাদ্য দপ্তরের সাথে গোমতী ডায়েরির একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।চুক্তি মোতাবেক ফ্রিজ এবং শোকেস গোমতী ডায়েরি সরবরাহ করবে।শুধু তাই নয়, রেশন ডিলারদের চাহিদা মোতাবেক প্রতিদিনের সামগ্রী প্রতিদিন সরবরাহ করবে। জনগণের সাড়া পাওয়া গেলে ধীরে ধীরে রেশনশপের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী শ্রী চৌধুরী।শুধু তাই নয়,খাদ্য দপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত ২৬ জন মহিলা সাফাই কর্মীর মজুরিও একলাফে দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। এতোদিন ওই সাফাই কর্মীরা প্রতিদিন ১৫০ টাকা করে মজুরি পেতেন।এখন থেকে প্রতিদিন ৩০৬ টাকা করে মজুরি পাবেন ২৬ জন মহিলা সাফাই কর্মী।২০১২ সালে ওই সাফাই কর্মীরা প্রতিদিন মজুরি পেতেন ৮৫ টাকা করে। ২০১৫ সালের অক্টোবরে সেটা বৃদ্ধি হয়ে ১০৯ টাকা হয়। এরপর ২০১৭ সালের জুলাই মাসে হয় ১২৫ টাকা।২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বৃদ্ধি করে ১৫০ টাকা করা হয়। এখন থেকে তারা প্রতিদিন ৩০৬ টাকা করে মজুরি পাবেন।এতে খাদ্য দপ্তরের বছরে অতিরিক্ত খরচ হবে ২৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা।