জন্মেছিলেন ছেলে হয়ে, ডাচ সুন্দরীর খেতাব পেলেন রিকি।
জন্ম নিয়েছিলেন ছেলে হয়ে। তারপর শৈশব থেকে কৈশোর পার হয়েছে অন্তত বাহ্যিক ভাবে ছেলের পরিচয়ে। শরীরে পুরুষ হলেও তার অস্তিত্বে ছিল নারী সত্তা। সেই ছেলে, নিজেকে মেয়ে হিসাবে রূপান্তর করে, হলেন ডাচ সুন্দরী। হ্যাঁ, শৈশবের সেই ছেলেটাই সম্প্রতি ‘মিস নেদারল্যান্ডস’ খেতাব পেয়েছেন। মাথায় পরেছেন সুন্দরীর মুকুট। রূপান্তরকামী এই সুন্দরীর নাম রিকি কোলে। ২২ বছর বয়সি রিকি ট্রান্সজেন্ডার তথা রূপান্তরকামী। ডাচ বন্দর শহরে ছেলে পরিচয়ে বেড়ে ওঠা রিকি ক্রমপর্যায়ে নারীতে পরিণত হয়েছেন। দেশটিতে তিনিই প্রথম রূপান্তরকামী নারী, যিনি মিস নেদারল্যান্ডস বিজয়ী হয়েছেন। মিস নেদারল্যান্ডস প্রতিযোগিতার আয়োজকেরা বলেন, রিকি কোলের জীবনে ‘একটি স্পষ্ট লক্ষ্য এবং শক্তিশালী একটি গল্প আছে।রিকি আগামী নভেম্বর ’ এল সালভাদরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সুন্দরী প্রতিযোগিতা মিস ইউনিভার্সে নেদারল্যান্ডসের প্রতিনিধিত্ব করবেন। ২০১৮ সালে স্পেনের প্রতিনিধিত্ব করা অ্যাঞ্জেলা পন্সের পর রিকি হবেন এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া দ্বিতীয় ট্রান্সজেন্ডার নারী। দুই সপ্তাহ আগে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে রিকি কোলের মাথায় মিস নেদারল্যান্ডস বিজয়ীর মুকুট পরিয়ে
দেওয়া হয়।সে সময় তিনি বলেন, ‘সত্যিই এটা আমার বছর। এটা আমার কাছে একটা বড় স্বীকৃতি। নেদারল্যান্ডসের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার নারী হিসেবে এই খেতাব জেতাটা ছিল একটা সুন্দর মুহূর্ত।’ রিকি বলেন, ‘প্রথম ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে মিস ইউনিভার্স জেতার বড় স্বপ্ন ছিল। তবে এবার আমি কেবল অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে যাচ্ছি।’ রিকি কোলে নেদারল্যান্ডসের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ব্রেডায় থাকেন।মিস নেদারল্যান্ডস জয়ী হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি নেতিবাচক বার্তার পাশাপাশি হুমকিও পেয়েছেন।কেউ কেউ তাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন। এ বিষয়ে রিকি বলেন, ‘সাধারণভাবে প্রতিক্রিয়াগুলো ইতিবাচক ছিল…তবে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াও আছে। আমি বিশ্বাস করি, এসব বার্তা টিকে থাকবে না। আমি সুন্দর বিষয়গুলোর দিকে গুরুত্ব দিতে চাই, আর এমন সুন্দর বস্তু আমার সামনে প্রচুর ছড়িয়ে আছে।” রিকি আরও বলেন, ‘আমি সব সময় নিজের বেছে নেওয়া পথে চলেছি। আর এটাই আমাকে এমন ব্যক্তি হতে সাহায্য করেছে, যা আমি সত্যিই হতে চেয়েছিলাম।’ তার প্রত্যাশা, তিনি অন্যদের জন্য, বিশেষ করে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের তরুণদের জন্য একজন আদর্শ মানুষ হয়ে উঠবেন।