মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, বন্ধ ইন্টারনেট,, কার্ফু জারি!!
জমি মেলেনি, বিমানবন্দরে ঝুলে মাল্টিলেভেল কার পার্কিং!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরে মাল্টিলেভেল (আন্ডারগ্রাউন্ড) কার পার্কিং প্লেস নির্মাণকাজ এখনো শুরু হয়নি।রাজ্য সরকার বিমানবন্দর অথরিটির দাবি মতো মাল্টিলেভেল কার পার্কিং নির্মাণ করার জন্য এখনও দুই একর জায়গা অধিগ্রহণ করে না দেওয়ায় এই কাজ শুরু করতে পারেনি বিমানবন্দর অথরিটি।যদিও বর্তমান রাজ্য সরকার ২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসে জানিয়েছিল মাল্টিলেভেল কার পার্কিং নির্মাণ করার জন্য দুই একর জায়গা অধিগ্রহণ করে দেবে।গত ৭ বছরে বর্তমান রাজ্য সরকার জায়গা অধিগ্রহণ করে না দিলেও এখন জায়গা অধিগ্রহণ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে বিমানবন্দরের নতুন জায়গায় যখন অত্যাধুনিক টার্মিনাল ভবন নির্মাণকাজ শুরু করার জন্য দিল্লীতে দরপত্র আহ্বান করা হয় তখন তার সঙ্গে মাল্টিলেভেল কার পার্কিং নির্মাণ করার জন্যও দরপত্র আহ্বান করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।কিন্তু সেই সময় বিগত বামফ্রন্ট সরকার নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করার জন্য জায়গা অধিগ্রহণ করে দিলেও মাল্টিলেভেল কার পার্কিং নির্মাণের জন্য দিতে পারেনি। যদিও সেই সময় বামফ্রন্ট সরকার নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ ও রানওয়ের বেসিক ট্রিপ সম্প্রসারণের জন্য বিমানবন্দর অথরিটির দাবি মতো ৭০ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে দিয়েছিল। তাতে বিমানবন্দরের সীমানার প্রাচীর সরিয়ে দিয়ে বিমানবন্দর এরিয়া অনেকটা বড় করা হয়েছিল। বিমানবন্দরের পূর্ব দিকে লঙ্কামুড়া অঞ্চলে ও পশ্চিমদিকে নারায়ণপুর অঞ্চলে রানওয়ের বেসিক ট্রিপ সম্প্রসারণ করার জন্য অধিগ্রহণ করে দেওয়া নতুন জায়গায় বিমানবন্দরের প্রাচীর অনেকটা সরিয়ে আনা হয়েছিল।দিল্লীতে যখন ২০১৭ সালের শুরুতে বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবন ও মাল্টিলেভেল কার পার্কিং আহ্বান করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল ঠিক তখন এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার দিল্লী কার্যালয় জানতে পারে মাল্টিলেবেল কার পার্কিং নির্মাণ করতে অন্তত আরও দুই একর জায়গা দরকার। কিন্তু সেই সময় জায়গার অভাবে মাল্টিলেবেল কার পার্কিং দরপত্র না চূড়ান্ত করে বাতিল করা হয়েছিল। এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া থেকে সেই সময় বলা হয়েছিল রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় জায়গা অধিগ্রহণ করে দিলে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া তাদের টাকায় মাল্টিলেভেল কারপার্কিং নির্মাণ করবে।সেই সময় রাজ্যের তৎকালীন পরিবহণ মন্ত্রী মানিক দে এই বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিলেন বিমানবন্দরের নতুন অত্যাধুনিক টার্মিনাল ভবন নির্মাণ ও বিমানবন্দরের উন্নয়নের জন্য এয়ারপোর্ট অথরিটির দাবি মতো জায়গা অধিগ্রহণ করে জায়গার মালিককে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দিয়ে সেই জায়গা এয়ারপোর্ট অথরিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল।কিন্তু আরও দুই একর জায়গার জন্য মাল্টিলেভেল কার পার্কিং নির্মাণ করার দরপত্র বাতিল হওয়ায় তৎকালীন পরিবহণমন্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন সেই জায়গাও অধিগ্রহণ করে দেবেন যাতে মাল্টিলেভেল কার পার্কিং নির্মাণ করা যায়।সেই মতে নতুন করে আবার জায়গা অধিগ্রহণ করার উদ্যোগও নেওয়া হয়। কিন্তু বামফ্রন্ট সরকার ২০১৮ সালের মার্চ মাসে নির্বাচনে পরাজিত হয়ে বিদায় নেয়। বিস্ময়ের ও পরিতাপের ব্যাপার হলো সরকার পরিবর্তনের পর প্রায় সাত বছর অতিক্রান্ত হতে চললেও বিমানবন্দরে মাল্টিলেভেল কার পার্কিং নির্মাণ করার জন্য বর্তমান রাজ্য সরকার এখনো জায়গা অধিগ্রহণ করে দিতে পারেনি।২০১৮ সালে বিজেপি জোট সরকার আসার কয়েক মাস পর সেই সময়ের রাজ্য পরিবহণমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় ও জানিয়েছিলেন মাল্টিলেভেল কার পার্কিং নির্মাণের জন্য এয়ারপোর্ট অথরিটির দাবিমতো দুই একর জায়গা অধিগ্রহণ করে দেওয়া হবে। কিন্তু তারপরও রাজ্য সরকার জায়গা অধিগ্রহণ করে এখন পর্যন্ত না দেওয়ায় বিমানবন্দরে মাল্টিলেভেল (আন্ডারগ্রাউন্ড) কার পার্কিং ও নির্মাণ করতে পারেনি। এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া।মঙ্গলবার এই বিষয়ে আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরের এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার অধিকর্তা কেসি মিনা জানান, রাজ্য সরকার জায়গা অধিগ্রহণ করে দেবে বলে তাকে জানিয়েছে।এদিকে রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের সচিব সিকে জমাতিয়া জানান, মাল্টিলেভেল কার পার্কিং নির্মাণ করার জন্য বিমানবন্দর অথরিটিকে দুই একর জায়গা অধিগ্রহণ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।বর্তমান নতুন টার্মিনাল ভবনের কাছাকাছি মানুষের কাছ থেকে জোত জায়গা নিতে হবে।জায়গার ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার।সেই অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য ও সেই জায়গা নিলে আবহাওয়া পরিবেশে কোন ধরনের প্রভাব পড়বে কিনা সেই সব বিষয় খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এক সপ্তাহ আগে।কমিটিতে জমি সংক্রান্ত বিষয় দেখভালে একজন এডিএম রয়েছেন। এলাকার অভিজ্ঞ ব্যক্তি সহ বিভিন্ন বিভাগের অফিসারকেও কমিটিতে রাখা হয়েছে।কমিটি সার্ভে করে রিপোর্ট দেবে বলেও পরিবহণ সচিব জানান।তার পরে জায়গা অধিগ্রহণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কাজ শুরু হবে বলেও তিনি জানান।