দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি,ধর্মনগর।। ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচন যতো ঘনিয়ে আসছে, ততোই সরগরম হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। বিরোধী দল সিপিআই (এম) উত্তর জেলায় তাদের বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। নির্বাচনী ময়দানে তাদের ভীত কতোটুকু শক্তিশালী রয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য আন্দোলন মুখী হয়ে মাঠ ঘাট গরম করছে সিপিআই (এম) দল। এবার ১৭ দফা দাবী নিয়ে বাগবাসা বিধানসভার অন্তর্গত কালাছড়া ব্লকে মঙ্গলবার ডেপুটেশন সহ সমাবেশের আয়োজন করলো সিপিআই (এম)। এই কর্মসূচীর প্রধান মুখ ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দল নেতা মানিক সরকার। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ সিপিআই (এম) দলের পক্ষ থেকে কালাছড়া ব্লকে ১৭ দফা দাবি সনদের ভিত্তিতে এক ডেপুটেশন প্রদান করা হয় ব্লক আধিকারিক অমিত চন্দের নিকট।
দাবি গুলি হলো রেগায় ৩৪০ টাকা মজুরি এবং ২০০ দিনের কাজ, সামাজিক ভাতা ২০০০ টাকা, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও গ্রাম ভিলেজে গ্রাম সভা করা, গ্রামীণ রাস্তাঘাটের ব্যাপক সংস্কার, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর তৈরিতে ৩ লক্ষ টাকা,আকাশ ছোঁয়া মূল্য বৃদ্ধি রোধ করা ইত্যাদি। এদিন সিপিআই (এম) জেলা ও ব্লক নেতৃত্বের একটি প্রতিনিধি দল কালাছড়া ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অমিত চন্দের হাতে ডেপুটেশন তুলে দেয়। তারপর ব্লক চত্বর থেকে মিছিল করে কালাছড়া দ্বাদশমান বিদ্যালয়ের মাঠে এক জনসভায় মিলিত হয়।জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দল নেতা মানিক সরকার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা বিজিতা নাথ, কদমতলা কুর্তি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ইসলাম উদ্দিন, উত্তর জেলার জেলা কমিটির সম্পাদক অমিতাভ দত্ত প্রমুখ। এদিকে জনসভায় ভাষণ রাখার প্রাক মুহূর্তে মানিক সরকার ফিতা কেটে কালাছড়া সিপিআই (এম) দলীয় অফিসের শুভ উদ্বোধন করেন।
এদিনের সমাবেশ ভাষণ রাখতে গিয়ে মানিক সরকার বলেন, বিজেপি দল ভারতবর্ষকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। রাজ্যে বিজেপি আই পি এফ টি জোট সরকারের সাড়ে চার বছরে রাজ্যবাসী কিছুই পায়নি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জল, বিদ্যুৎ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। রাজ্যের নেতা মন্ত্রীরা ডাবল ইঞ্জিনের উন্নয়নের বুলি উড়াচ্ছেন, আর মানুষ দিশেহারা অবস্থায়। এই হচ্ছে বিজেপি আই পি এফ টি জোট সরকার। তিনি তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করে বলেন, জনগন রেশনশপে গেলে সময় মতো জিনিস পাচ্ছেন না। এই সরকারের শাসনে ২৪/২৫ জন বামফ্রন্ট কর্মীকে খুন করা হয়েছে। বাড়ি ছাড়া রয়েছেন অসংখ্য কর্মী। রাজ্যে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে।বিজেপি সরকার ৯৬ শতাংশ পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা মুখ দেখাচ্ছেন কিভাবে? তিনি তো ছাপ্পা ভোটে জয়লাভ করেছেন। শ্রী সরকার আরো বলেন, বিজেপি সরকারের শাসনে বিরোধীদের কন্ঠ রোধ করে রাখা হয়েছে। সিপিআই (এম) সরকারের আমলে যে পরিমানে চাকরি হয়েছে তার পঞ্চাশ শতাংশ চাকরি দিতে পারে নি বর্তমান বিজেপি জোট সরকার। রাজ্যে প্রচার মাধ্যম (মিডিয়া) আক্রান্ত হচ্ছে। ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, পুলিশ আক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু কোন বিচার মিলছে না। মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ জমে আছে। যে কোন মুহুর্তে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠতে পারে। তাছাড়া পঞ্চাশ হাজার সামাজিক ভাতা কেটে দিয়েছে বিজেপি সরকার। এদিন প্রবল বৃষ্টিপাতকে উপেক্ষা করে ডেপুটেশন ও সমাবেশে সিপিআই (এম) কর্মী সমর্থকদের উপস্থিত ছিল চোখে পড়ার মতো।
দিল্লী বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যেন প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ভোটারদের মন…
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…