জাতীয় ক্রিকেটে টানা ৫ ম্যাচ হেরে ঘরে ফিরছে মেয়েরা
যে আশঙ্কা করা হয়েছিল শেষ পর্যন্ত তাই-ই হলো। পণ্ডিচেরীতে জাতীয় জুনিয়র অনূর্ধ্ব ঊনিশ মহিলাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে হোয়াইটওয়াশ হয়েই ঘরে ফিরছে রাজ্যদল। পাঁচ খেলার পাঁচটিতেই পরাজয়ের লজ্জা নিয়েই টুর্নামেন্ট শেষ করলো অন্বেষা দাস বাহিনী। জুনিয়র মহিলা ক্রিকেটে সব ম্যাচে হেরে রাজ্যদল ঘরে ফিরেছে সে রেকর্ড এতোদিন ছিল না। এবার তাই হলো।
এবার অন্বেষার নেতৃত্বে রাজ্যদল হোয়াইটওয়াশের তকমা লাগিয়েই ঘরে ফিরছে। অবশ্য রাজসস্থনের মতো দলের বিরুদ্ধে দল ম্যাচ জিতবে তা রাজ্যদলের অতি বড় সমর্থকেরও প্রত্যাশা ছিল না। হলোও তাই।
টুর্নামেন্টে আজই প্রথম টস জিতে অন্বেষা দাস প্রথম ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু দলীয় ব্যাটারদের জঘন্য ব্যাটিং ধারাবাহিকতা আজও বহাল ছিল। ২০ ওভারের ম্যাচে ৫৪ রান নেহাতই কম। তাও রাজস্থানের মতো দলের জন্যও কিছুই নয় ।
ত্রিপুরার ২০ ওভারে ৯ উইকেটে তোলা ৫৪ রানের জবাবে রাজস্থান মাত্র ৪.২ ওভারই খরচ করে ম্যাচ জিতে নেয়। অবশ্য তিনখানা উইকেট হারাতে হয়। রাজ্যদলের ৫৪ রানের ইনিংসে একমাত্র অধিনায়ক অন্বেষা দাসই দুই অঙ্কের রান করে। ৩৬ বলে অন্বেষা করে ২৫ রান। প্রিয়া সরকার ৮ রান করে। যার অর্থ দলীয় ৫৪ রানের মধ্যে একা অন্বেষার ২৫, বাকি ২৯ রান সবাই করে। তবে এর মধ্যে অতিরিক্ত সাত রান ছিল। তিনটি রানআউট ছিল। রাজস্থানের পক্ষে অচর্না যোগী ৪ ওভারে মাত্র ৪ রান খরচ করে তিন উইকেট তুলে নেয়।
টার্গেট মাত্র ৫৫। বল ১২০টি। রাজস্থান ঝড়ো গতিতেই শুরু করে। ডি কানওয়ার ১১ বলে অপরাজিত ২১ ছাড়াও পার্বতী ১৩ বলে ২৭ রান করে। ত্রিপুরার পক্ষে রিফু দেববর্মা (২৯/১) ও জুয়েল বাউল ১২/১ উইকেট পায়।
এবার ডিসেম্বরে একদিনের টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতিতে নামার পালা। অবশ্য দেখার বাড়ি ফেরার পর ফের কবে থেকে অনূর্ধ্ব ঊনিশ মেয়েদের মাঠে নামার ব্যবস্থা নেয় টিসিএ। তবে এবার কিন্তু একমাত্র বেশি বেশি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলাতেই হবে। তবেই যদি সাফল্য ধরা দেয়।