জাতীয় সড়কে আটকে লরি ব্যাঘাত যান চলাচলে, দুর্ভোগ!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা সহ মিজোরাম ও মণিপুর এবং আসামের একাংশের জীবনরেখা হিসাবে পরিচিত ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক।এই সড়কের বিস্তীর্ণ অংশ রয়েছে পাহাড়ি রাস্তা মেঘালয়ের ভেতর।ফলে এই রাজ্যের পশ্চিমাংশও ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল।আর মেঘালয়ের জয়ন্তিয়া পাহাড় ঘিরে থাকা সড়কটি মাঝে মধ্যেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।বিঘ্ন ঘটে যানবাহন চলাচলে।বিশেষত সোনাপুর এলাকায় বর্ষাকালে প্রায় নিয়মিত জয়ন্তিয়া পাহাড় বেয়ে ধস নামে জাতীয় সড়কে।ফলে ত্রিপুরা ও মিজোরামের পাশাপাশি আসামের দক্ষিণাংশ, মেঘালয়ের পশ্চিমাংশ এবং মণিপুরের একাংশের সড়ক যোগাযোেগ ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার,১৩ জুন সকালেও -আচমকা সড়কটি বেহাল হয়ে পড়ে। – সোনাপুরের কৃত্রিম সুড়ঙ্গের অদূরে খরস্রোতা লোভা নদীর পাশে মাঝপথে আটকে যায় একটি পণ্যবাহী লরি।সোনাপুর অতিক্রম করে মেঘালয়ের আসাম সংলগ্ন রাতাছড়ার দিকে আসার পথে দুর্গামন্দিরের কাছে এই ঘটনাটি ঘটে।জানা গেছে, আসামের দক্ষিণাংশের কাছাড় জেলা সদর তথা সেই রাজ্যের দ্বিতীয় প্রধান শহর শিলচরের উদ্দেশে আসার পথে ভোজ্যতেলবাহী লরিটি সড়কের প্রায় মাঝামাঝি অংশে কাত হয়ে যায়।
এমতাবস্থায় পণ্যবাহী লরি সহ বাস ইত্যাদি ভারী যানবাহন বন্ধ রাখা হয় বিকাল পর্যন্ত। বেলা প্রায় বারোটা পর্যন্ত ছোট যানবাহন চলাচলেও সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।এর জেরে সড়কপথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাস আটকে পড়ে। ত্রিপুরার আগরতলা ও ধর্মনগর সহ আসামের শিলচর, করিমগঞ্জ, বদরপুর, মিজোরামের আইজল ইত্যাদি এলাকার সঙ্গে সড়কপথে গুয়াহাটির যোগাযোগ ব্যাহত হয় মারাত্মকভাবে। তাৎক্ষণিকভাবে মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড় জেলা সদর ক্যালিরিহাট সহ আসামের মালিডহর এলাকায় বহু যানবাহন আটকে যায়। চরম বিপাকে পড়েন সড়ক পথের যাত্রীরা।টানা প্রায় ৮ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল কার্যত বন্ধ রাখা হয়।
এই পরিস্থিতিতে অনেকেই ছোটগাড়ি নিয়ে বিপর্যস্ত এলাকা অতিক্রম করেন।এর জন্য তাদের চড়া হারে ভাড়া গুনতে হয়।তার বেলা বারোটার দিকে ছোট যানবাহন চলাচল শুরু হয়। অবস্থা সামাল দিতে অবশ্য দ্রুত সংশ্লিষ্ট লোকজন কাজে নেমে যান।শেষ পর্যন্ত বিকাল ৪টায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের বিপর্যস্ত অংশে ভারী যানবাহন চলাচল শুরু হয়। সড়কের একাংশ দিয়ে রীতিমতো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে যাত্রীবাহী বাসও পণ্যবাহী লরি।এ বিষয়ে জানতে চেয়ে দৈনিক সংবাদের তরফে যোগাযোগ করা হয় মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড় জেলার পুলিশ সুপার গিরি প্রসাদের সঙ্গে।তিনি জাতীয় সড়ক প্রায় সঙ্কটমুক্ত বলে দাবি করেন প্রতিবেদকের কাছে।