দৈনিক সংবাদ অনলাইন || বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে জাতীয় সড়ক ডবল লেনে উন্নীতকরণের কাজ শেষ করতে পারছে না নির্মাণ সংস্থাগুলি। বারবার সময় বর্ধিত করা হচ্ছে। তবুও শেষ হচ্ছে না কাজ ৷
একাধিকবার সময় বৃদ্ধি করা সত্ত্বেও দুটি নির্মাণ সংস্থা কাজের কোনও অগ্রগতিই দেখাতে পারেনি। এই দুটি সংস্থাকে কাজের দায়িত্ব থেকে অপসারণের নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং লোকবলের অভাব থাকায় একাধিক সংস্থার কাজে আশানুরূপ অগ্রগতি নেই। এ ধরনের দুর্বল সংস্থাগুলি কীভাবে জাতীয় সড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ কাজের বরাত পেয়ে যায় সেই প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্যে ৭টি জাতীয় সড়ক উন্নয়নের কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে ১৭টি সংস্থাকে। একটি সেতু (মৈত্রী)নির্মাণের বরাত পেয়েছে অপর একটি সংস্থা। এই ১৮টি নির্মাণ সংস্থাই বহিঃরাজ্যের।
এনএইচআই ডিসিএল তথা জাতীয় সড়ক পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের অধীনে নির্মাণ কাজ করছে সংস্থাগুলি। সর্বমোট ২৪টি প্রজেক্টের কাজ, সড়ক ও ব্রিজ মিলিয়ে।ব২০১৪ সালের ২ মে থেকে শুরু হওয়া ডবল লেন জাতীয় সড়ক উন্নয়নের উল্লেখিত সংখ্যক কাজগুলির মধ্যে এখন অবধি কমবেশি ৮টি প্রজেক্টের ১০০% কাজ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট ১৬টির কাজ চলছে।
শেষ হওয়া ও চলমান সবগুলি কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় একমাত্র মাতাবাড়ি – সাব্রুম ডবল লেন ৭৪ কিমি কাজ বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে শেষ করতে সক্ষম হয়েছে নির্মাণ সংস্থা ওরিয়েন্টাল স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনীয়ারস প্রাইভেট লিমিটেড। এছাড়া আর কোনও সংস্থাই নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পেরেছে এমন নজির নেই। প্রায় সবগুলি সংস্থাকেই একের পর এক সময় বর্ধিত করা হচ্ছে।
সবচেয়ে করুণ অবস্থা ২০৮-এ কৈলাসহর – কুর্তি ব্রিজ ১১.২১০ কিমি এবং আগরতলা – খোয়াই ১২ কিমি অংশের নির্মাণ কাজের। এই দুটি ভাগের বরাত পেয়েছে যথাক্রমে এ কে কনস্ট্রাকশন এবং কে এল ডি ক্রিয়েশন ২৬ ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড। প্রথম কাজটি ৩/৮/২০২০ তারিখে প্রে এবং দ্বিতীয়টি ৮/৬/২০২১ তারিখে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল যথাক্রমে ২৫/১/২০২২ এবং 17/12/20২২ তারিখ। অথচ বা এখন অবধি কাজের অগ্রগতি খুবই হতাশাজনক। প্রথম কাজটি শেষ হয়েছে মাত্র এক পঞ্চমাংশ অর্থাৎ 20 শতাংশ। দ্বিতীয় শেষ হয়েছে এক দশমাংশ অর্থাৎ ১০ শতাংশ। নির্মাণ কাজের অগ্রগতি অসন্তোষজনক হওয়ায় তথা বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক না হওয়ায় এই সংস্থা দুটিকে অপসারণ করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জাতীয় সড়ক পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগম সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে একটি সংস্থা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে। তারা আরও সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছে। বেঁধে দেওয়া সময়ে কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হওয়ার পেছনে সংস্থাগুলিকে সঠিক সময়ে সড়কের জমি হস্তান্তর করতে না পারা একটি কারণ বলে দাবি করেছে নিগমের একটি সূত্র । এছাড়া ইউটিলিটি সরাতে বা স্থানান্তরে বিলম্বজনিত কারণেও নর্মাণ কাজের গতি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেররাজধানী শহর আগরতলার যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে উড়াল সেতু। শহরের পশ্চিম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেরসরকারী স্কুলে পরীক্ষার সূচি প্রকাশ হতেই রাজ্যের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের উপর জুলুমের অভিযোগ উঠেছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট একটি প্রতীককে ত্রিপুরা সরকারের রাজ্য প্রতীক/লোগো হিসেবে ব্যবহারের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকালই বিজেপির দশটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নামে চূড়ান্ত সীলমোহর পড়বে।…