জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচন: ইসি
দৈনিক সংবাদ, ২ সেপ্টেম্বর।। বাংলাদেশে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান।
শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত নির্বাচনি প্রশিক্ষক তৈরির উদ্বোধনী কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।
আনিছুর রহমান বলেন,বলা যায় ২০২৪ সালের শুরুর দিকে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে আমরা এখনও ভোট গ্রহণের কোনও তারিখ ঠিক করিনি। বলা যায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়ে গেল। তিনি আরও বলেন,ভোটের দিন প্রিজাইডিং অফিসারের ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি।
অনেকে বিষয়টা জানেন না।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলেও করণীয় আছে। আইনে প্রিজাইডিং অফিসারের ভোট বন্ধ করারও ক্ষমতা দেওয়া আছে। সে সময় ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়ার দেওয়া থাকে।সেটাও কাজে লাগানোর সুযোগ আছে। মো,আলমগীর বলেন, আমরা যখন চাকরিতে ঢুকেছি,তখন নির্বাচনে কোনোরকম প্রশিক্ষণই হতো না। কিন্তু নির্বাচন তো ঠিকই করতাম। তারপরও নির্বাচন নিয়ে কোনো রকম কথাবার্তা হতো না। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে ততই সবকিছু জটিল হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে নির্বাচনও জটিল হয়ে গেছে।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই জটিল হওয়ার কারণে এতো আইনকানুন ও এতো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। আমাদের নির্বাচন আইন আছে,সেগুলো আপনারা দেখে বা পড়ে নেবেন। আপনাদের কাছে বেশি কথা না বলাই ভালো। নিজে পড়লেই জানা যায় সবকিছু।
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, আপনারা আইনকানুনগুলো ভালো করে দেখে নেবেন পড়ে নেবেন। নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়,সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য করার চেষ্টা করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন,কঠিন প্রশিক্ষণ,সহজ যুদ্ধ। নির্বাচন অবাধ,সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করার জন্য সকলের সহযোগিতা দরকার। যত সুন্দরভাবে প্রশিক্ষণ হবে,ততই একটা সুন্দর নির্বাচন হবে। আমরা দায়িত্ব নিয়ে ১ হাজার নির্বাচন সুন্দর ও অবাধভাবে করেছি। কোনো অভিযোগ উঠেনি সেসব নির্বাচন নিয়ে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ভূমিকা অনেক।তারা একটা সুন্দর সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনে ভূমিকা রাখেন।
প্রশিক্ষণে মোট তিন হাজার দুইশত প্রশিক্ষক তৈরি করা হবে। যারা পরবর্তীতে মাঠ পর্যায়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
সিইসি বলেছেন,নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে।
সংসদ নির্বাচনের তফসিল জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণের মাধ্যমে ঘোষণা করে থাকেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তবে বিভিন্ন সময় এই নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনাররা ছাড়াও সরকারের মন্ত্রীরাও বিভিন্ন সময় ভোটের নানা সময়ের’ কথা বলে আসছেন।