বিয়ে করলে মাথার উপরে খরচের বোঝা চাপে । এমনটাই জানে বিশ্বজোড়া মানুষ । কিন্তু বিয়ে করলে উল্টে যে সরকারের থেকে মোটা টাকা পাওয়া যায় , তা কি কখনও কেউ ভারতে পেরেছিলেন ?
শুনতে যতই আশ্চর্য লাগুক গত মাস থেকে জাপানে এমনই অবাক কাণ্ড শুরু হয়েছে । আদতে এটি জাপান সরকারের একটি কল্যাণমুখী প্রকল্প । লক্ষ্য মানুষকে বিয়ে করতে উদ্বুদ্ধ করা । বিয়ের মাধ্যমে আদতে দেশে জনসংখ্যা বাড়াতে চাইছে জাপানের ফুমিয়ো কিশিদা সরকার । যদিও সরকার মুখ ফুটে সে কথা বলছে না । বলছে , বিয়ে করলে খরচ বাড়ে , করোনা – উত্তর কালে সেই খরচের বোঝা থেকে নবদম্পতিকে কিছুটা রেহাই দিতে প্রকল্পটি শুরু করেছে সরকার । এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ নিউলি ওয়েড সাপোর্ট প্রোগ্রাম’।
যাদের বাস মূলত পৌরসভা বা শহর এলাকায় তারাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন । কেন এমন সিদ্ধান্ত ? সরকারের বক্তব্য , বিয়ে মানে নতুন জীবন ও নতুন এক জগতে পা দেওয়া । অন্তত অর্থের কারণে সেই জীবনে যাতে কোনও রকম জটিলতা তৈরি না হয় সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত । বিয়ের দিনই নবদম্পতির যৌথ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে আসবে সরকারের তরফ থেকে এমন চমকপ্রদ ‘ উপহার’ – জাপানি মুদ্রায় ৬ লক্ষ ইয়েন । অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা । এখন ১ জাপানি ইয়েন মানে ভারতের ৬১ পয়সা ।
জাপান সরকারের বক্তব্য , শুধু নতুন জীবনে পা দেওয়াই নয় , বিয়ে করতেই বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় হয়ে যায় । এই টাকা পেলে অনেক যুগলই বিয়ে করে নতুন জীবনে প্রবেশের স্বপ্ন দেখতে শুরু করবেন । জাপান সরকারের বক্তব্য , বিয়ের পরেই অনেক নবদম্পতিকে সংসার পাতার জন্য বাড়ি ভাড়া করতে হয় । এই টাকায় তার কিছুটা হলেও একটি সঙ্গতি হবে । গত ফেব্রুয়ারী মাসে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারির সময় জাপান সরকার জানিয়েছিল , এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার কিছু শর্ত রয়েছে । যেমন পাত্র ও পাত্রী দু’জনকেই শহরের বাসিন্দা হতে হবে , সরকারের ‘ নিউলি ওয়েড সাপোর্ট প্রোগ্রাম ’ – এ আগে নবদম্পতির নামধাম নথিভুক্ত করতে হবে ।
তবে এর বাইরেও টাকা পাওয়ার জন্য রয়েছে আরও কিছু শর্ত । যেমন এই জারির সময় জাপান সরকার জানিয়েছিল , এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার কিছু শর্ত রয়েছে । যেমন পাত্র ও পাত্রী দু’জনকেই শহরের বাসিন্দা হতে হবে , সরকারের ‘ নিউলি ওয়েড সাপোর্ট প্রোগ্রাম ’ – এ আগে নবদম্পতির নামধাম নথিভুক্ত করতে হবে । তবে এর বাইরেও টাকা পাওয়ার জন্য রয়েছে আরও কিছু শর্ত । যেমন এই টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে স্বামী এবং স্ত্রী উভয়েরই বয়স হতে হবে চল্লিশের নীচে । এছাড়া দম্পতির সম্মিলিত বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ৫৪ লাখ ইয়েনের বেশি হওয়া চলবে না ।
জাপানের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকল্পটির প্রশংসা করা হয়েছে । প্রকল্পের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তারা বলেছে , অবিবাহিত থাকতে চাওয়া এবং দেরিতে বিয়ে করার প্রবণতার কারণে জাপানে বর্তমান নবজাতকের হার অত্যন্ত কম । একটি সংবাদপত্র সরকারের ‘ বিশ্বস্ত ’ সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করেছে , নবদম্পতির টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর কথাও ভাবছে জাপ প্রশাসন ঘটনা হল , প্রকল্পটি নতুন নয় । এখনও আছে । বর্তমান প্রকল্পের আওতায় পৌরস অঞ্চলে বিয়ে করতে নবদম্পতি ‘ উপহার ’ হিসাবে সরকার থেকে পান সর্বোচ্চ ৩ লাখ ইয়েন । এছাড়া টাকা পাওয়ার শর্ত হচ্ছে , স্বামী – স্ত্রী দুজনের বয়স ৩৫ – এর কম হতে হবে , বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ৪৮ লাখ ইয়েনের নীচে । নতুন সিদ্ধান্তে এগুলি সবই এক ধাক্কায় বেড়ে যাচ্ছে । বেড়ে যাচ্ছে উপহারের অঙ্ক , বাড়ছে নবদম্পতির বয়সের ন্যূনতম ঊর্ধ্বসীমা । মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত জাপানের মোট ২৮১ টি পুরসভা এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে । যা এদেশের ছোট বড় শহর মিলিয়ে মোট পুরসভার মাত্র ১৫ শতাংশ ।
প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেররাজধানী শহর আগরতলার যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে উড়াল সেতু। শহরের পশ্চিম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেরসরকারী স্কুলে পরীক্ষার সূচি প্রকাশ হতেই রাজ্যের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের উপর জুলুমের অভিযোগ উঠেছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট একটি প্রতীককে ত্রিপুরা সরকারের রাজ্য প্রতীক/লোগো হিসেবে ব্যবহারের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকালই বিজেপির দশটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নামে চূড়ান্ত সীলমোহর পড়বে।…