জামাই ষষ্ঠী ও ইলিশ
রাত পোহালেই জামাইষষ্ঠী। জামাইূদের বিশেষ খাতির-যত্নের দিন। আর্থিক অনটন ও টানাটানির সংসারে যে যার সাধ্য মতো জামাই বাবাজীকে আদর আপ্যায়নের চুড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে । বিশেষ করে শ্বশুর-শাশুড়ীদের এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে বলা যায়। তার মধ্যে জামাই বাবা জীবন যদি নতুন হয়, তাহলে তো কথায় নেই।কোথায় আছে বাঙ্গালীদের রসনা তৃপ্ত হয় মাছে ভাতে। মাছের কথা বলতে যার নাম সবার আগে আসে তা হলো মাছের রাজা ইলিশ। তাই ইলিশ ছাড়া জামাই ষষ্ঠীর কথা ভাবাই যায় না। কিন্তু বাজার ঘুরে যা তথ্য পাওয়া গেল, তাতে এবছর জামাই বাবাকে খুশি করতে গাটের পয়সা অনেকটাই খরচা করতে হবে। এবছর কাঁচা অর্থাৎ টাটকা ইলিশের জোগান ভালো হলেও তা মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বটতলা বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, টাটকা তথা কাঁচা মাছ খেতে গেলে টাকা তো কিছু খরচ করতেই হবে। তবে আরেক সমস্যাও আছে আসল- নকল নিয়ে। একাংশ ব্যবসায়ী ইলিশ বলে চালিয়ে দিচ্ছেন সার্ডিন মাছকে। ইলিশ আর সার্ডিন মাছের মধ্যে অনেকটাই মিল রয়েছে। দেখতে প্রায় একরকম। বেশি দাম দিয়ে ইলিশ কিনে বাড়ি গিয়ে দেখা গেল সেটি সার্ডিন মাছ। সে যাই হোক, ষষ্ঠীর আগের দিন বাজার ঘুরে দেখা গেল এক কেজির উপর ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকা কিলো। এক কেজির নিচে বিক্রি হচ্ছে চৌদ্দশ টাকা কিলো দরে। জামাইষষ্ঠী বলে কথা, দাম যাই হোক জামাই বাবা জীবনের রসনাতৃপ্ত করতে এক টুকরো ইলিশই যদি পাতে দেওয়া না যায়, তাহলে কি আর শ্বশুর বাড়ির মান থাকে?