জিএসডিপিতে সর্বকালীন রেকর্ড রাজ্যের, তথ্য দিলেন রতন নাথ!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-অর্থনৈতিক মন্দায় গোটা পৃথিবী যখন কাবু,বেশ কয়েকটি দেশে যুদ্ধের পরিস্থিতি রয়েছে, সারা পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি,ঠিক সে সময়ে জিডিপির হারে গোটা পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়ে এগিয়ে চলেছে ভারত। ২০২৩- ২৪ অর্থবছরে ভারতের গ্রোথ রেট ৮.২%, চিন ৫.২ শতাংশ,ইউনাইটেড স্টেটস ২.৫%, রাশিয়া ৩.৬ শতাংশ, জাপান ১.৯ শতাংশ, কানাডা ১.২ শতাংশ, ফ্রান্স ১.১%, ইতালি ০.৯ শতাংশ, ইউনাইটেড কিংডম ০.১ শতাংশ, জার্মানি ০.২ শতাংশ।২০২৪-২৫ অর্থবছরে (প্রভিনশাল) ভারতের জিডিপি হার ৭.০ শতাংশ, চিন ৫.০ শতাংশ, ইউনাইটেড স্টেট ২.৬ শতাংশ, রাশিয়া ৩.২ শতাংশ, জাপান ০.৭ শতাংশ, কানাডা ১.৩%, ফ্রান্স ০.৯ শতাংশ, ইতালি ০.৭ শতাংশ, ইউনাইটেড কিংডম ০.৭ শতাংশ, জার্মানি ০.২ শতাংশ।ভারতের জিডিপির গ্রোথ রেট দেখে পৃথিবীর যত উন্নত রাষ্ট্র রয়েছে, সবাই ঈর্ষান্বিত বলে দাবি করেছেন রাজ্যের কৃষি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতনলাল নাথ।এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী শ্রীাথ আরও বলেন, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে শুধু যে ভারতই রেকর্ড করছে তা নয়, এগিয়ে চলেছে ত্রিপুরাও। জিএসডিপির হারে দেশের তামাম রাজ্যগুলোকে হারিয়ে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ত্রিপুরা। মঙ্গলবার আগরতলায় একান্ত সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন কৃষি,বিদ্যুৎ সহ অন্যান্য দপ্তরের মন্ত্রী রতনলাল নাথ।তিনি জানান, কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়নের ধারার সঙ্গে এবার যদি শিল্প ও উৎপাদন ক্ষেত্রে তাল মেলানো যায়,তাহলে এ রাজ্যে জিএসডিপি আগামী বছরেই ১ লক্ষ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।বর্তমানে রাজ্যের জিএসডিপি ৯১ হাজার ২২৪ কোটি। যা কার্যত সর্বকালীন রেকর্ড বলেও জানান তিনি।
তার মতে, যেখানে বাম আমলের শেষে রাজ্যে বার্ষিক মাথাপিছু গড় আয় দাঁড়িয়েছিল ১ লক্ষ ৪৪৪ টাকায়,সেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মাথাপিছু গড় আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ৭২৩ টাকায়। রতনবাবুর মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছেন, এতে শুধুমাত্র তার নিদেশিকা অনুসরণ করলেই যে কোনও রাজ্য দ্রুত এগিয়ে যাবে। বস্তুত দেশের বড় বড় রাজ্যগুলোকে ছাড়িয়েও ছোট্ট এই রাজ্যে চোখ ধাঁধানো যে অগ্রগতি,তা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র মোদিজির কল্যাণেই।তিনি গোটা পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে উন্নয়নের ধারায় নিজেদের সম্পৃক্ত রাখতে হয়।২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ভারত জিডিপির অগ্রগতির যে রেট রয়েছে এতে প্রথম দশটি দেশের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে ভারত।এই ধারা চলতে থাকলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত জিডিপিতে প্রথম স্থান অধিকার করবে, এই বিশ্বাসও ব্যক্ত করেন মন্ত্রী রতনলাল নাথ।
তিনি জানান,রাজ্যের ক্ষেত্রে জিএসডিপির অগ্রগতিতে গ্রোথ রেটে অন্যান্য বেশিরভাগ রাজ্য যখন দশ শতাংশের নিচে হামাগুড়ি খাচ্ছে, সেখানে ২০২৩- ২৪ অর্থবছরে এ রাজ্যের গ্রোথ রেট ১৪.২১ শতাংশ।ত্রিপুরার এই অগ্রগতির ধারার কাছে পেছনে পড়ে গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক,মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, কেরালা,ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়,রাজস্থান, ওড়িশা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাড়ু,পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লী, মেঘালয়, জম্মু-কাশ্মীর এমনকী পুদুচেরির মতো ছোট্ট রাজ্যও।তবে উন্নয়নের যে তিনটি ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হয়, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে প্রাইমারি সেক্টর হিসেবে কৃষি এবং অন্যান্য ক্ষেত্র। যেখানে অগ্রগতি ৪৭.৮৭ শতাংশ। সেকেন্ডারি সেক্টর হিসেবে শিল্প এবং উৎপাদন অগ্রগতি ৯.৩৪ শতাংশ। পরিষেবা ক্ষেত্রকে যদি তৃতীয় সেক্টর হিসেবে ধরা হয়, এক্ষেত্রে অগ্রগতি ৪২.৭৯ শতাংশ। রতনবাবু জানান, এবার আমাদের লক্ষ্য শিল্প এবং উৎপাদন ক্ষেত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
এই ক্ষেত্রকে কৃষি এবং পরিষেবা ক্ষেত্রের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলেই আমাদের রাজ্য বড় সমস্ত রাজ্যকেই টেক্কা দিতে সক্ষম হবে বলেও দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাজ্য মন্ত্রিসভার প্রবীণতম সদস্য রতনলাল নাথ।