জিবিতে ইমার্জেন্সি ভারুলার রিপেয়ার’জটিল অস্ত্রোপচারে বাঁচলো এক দরিদ্র শ্রমিকের জীবন
অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলা গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যাণ্ড জিবিপি হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচারে এক শ্রমিকের জীবন রক্ষা করলেন চিকিৎসকরা।গত ২৫ মে দুপুর ২টা নাগাদ উদয়পুর তুলামুড়া নিবাসী ৪০ বছর বয়সি আরেত বাহাদুর মলসম নামে একজন দিনমজুর আগরতলা নাগেরজলা জলের সাব মারসিবল পাম্প বসানোর কাজ করার সময় বাঁ পায়ে মহাশিরা ও মহাধমনী বৈদ্যুতিক কাটার মেশিনে লেগে কেটে যায়।সঙ্গে সঙ্গে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। নিমেষেই তিনি অচৈতন্য হয়ে যান।সাথে সাথে তাকে নিয়ে আসা হয় জিবিপি হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে।সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেখার পর সিটিভিএস ডিপার্টমেন্টে খবর পাঠান।
সঙ্গে সঙ্গে সিটিভিএস ডিপার্টমেন্টের টিম নিচে গিয়ে রোগীকে দেখেন, দ্রুত জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করার
ব্যবস্থা করেন।তৎক্ষণাৎ রোগীকে ট্রমা সেন্টার থেকে সিটিভিএস ডিপার্টমেন্টে স্থানান্তরিত করা হয়। সে সময় রোগী অচৈতন্য অবস্থায় ছিলেন এবং রোগীর অক্সিজেন লেভেল অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল। রোগীর হিমোগ্লোবিন লেভেল তিনে (৩%) নেমে যায়।রোগীর ব্লাড প্রেশার পরিমাপযোগ্য ছিল না।কার্ডিয়াক অ্যানেসথেসিস্ট ডা. মণিময় দেববর্মা এবং ডা. সুরজিৎ পাল তাকে আইসিইউতে নিয়ে গিয়ে ইমার্জেন্সি চিকিৎসা পরিষেবা শুরু করেন।কয়েক ইউনিট রক্ত জোগাড় করে কিছুক্ষণের মধ্যেই রোগীকে সিটিভিএস অপারেশন থিয়েটারেনিয়ে যাওয়া হয়। ডা. কনক নারায়ণ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি সার্জিক্যাল টিম দীর্ঘ চার ঘন্টাব্যাপী অপারেশন করেন। অপারেশনে দেখা যায় তার বাঁপায়ের কুঁচকির সমস্ত মহাধমনী,মহাশিরা ও নার্ভ কেটে ছিন্নভিন্ন অবস্থায় আছে। তাৎক্ষণিকভাবে আশেপাশের রক্ত চলাচল বন্ধ রেখে সমস্ত ধমনী,শিরা ও নার্ভকে জোড়া লাগানো হয়।অপারেশনের শেষে রোগীকে আইসিইউতে ভেন্টিলেশনে রাখা হয় ৷বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে এবং তিনি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিচ্ছেন।চিকিৎসা পরিভাষায় এই অপারেশনকে ইমার্জেন্সি ভারুলার রিপেয়ার বলা হয়।এই অপারেশনে ডা. কনক নারায়ণ ভট্টাচার্য ছাড়াও
ছিলেন দুজন অ্যানেসথেসিস বিশেষজ্ঞ, অন্যান্য নার্স টেকনিশিয়ানরা।