অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলা সরকারী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড জিবি হাসপাতালে সুপার স্পেশালিটি চিকিৎসা পরিষেবা চালুর পর হাসপাতালে একের পর এক রোগীর জটিল ও বিরল অপারেশন করা হচ্ছে।এখন রাধারাণী দাস নামে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধার জটিল ও বিরল অপারেশন করা হয়েছে।বিশালগড়ের অফিস টিলার বাসিন্দা রাধারাণী দাসের এন্ডোভাসকুলার অ্যাওরটিক রিপেয়ার (ইভিএআর) অপারেশন করা হয়।যা রাজ্যের তথা জিবি হাসপাতালে এই প্রথম ও বিরল অপারেশন।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে রাধারাণী দাস প্রচণ্ড পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালের শল্য বিভাগে ভর্তি হন।চিকিৎসকরা আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করান রোগীকে।তখন রিপোর্টে উঠে আসে পেটের মহাধমনিতে একটা (অ্যাওটা) গোলাকার স্ফীতি (এনিউরিজম) ধরা পড়ে। চিকিৎসকের বক্তব্য অনুযায়ী যা কিনা যে কোনও সময় ফেঁটে যেতে পারে ও তাতে আকস্মিক মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে।তারপরই রোগী রাধারাণী দাসকে সিটি এনজিওগ্রাফিতে সেই বিষয়টি কনফার্মড করে সিটিভিএস বিভাগে গত ২৫ মার্চ স্থানান্তরিত করা হয়।গত ২৮ মার্চ সিটিভিএস বিভাগের ক্যাথল্যাবে কার্ডিওলজি তথা সিটিভিএম সার্জন ডাঃ কনক নারায়ণ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম জরুরি ভিত্তিতে এন্ডোভাসকুলার অ্যাওরটিক রিপেয়ার অপারেশন করা হয়।অপারেশন করতে সময় লেগেছে পাঁচ ঘন্টারমতো। অপারেশন টিমে এনেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ ছিলেন ডাঃ সুরজিৎ পাল। টিমে সহায়তা করেন ক্যাথল্যাব টেকনিশিয়ান প্রাণ কৃষ্ণ দেব, দেবব্রত দেবনাথ, সুদীপ্ত মণ্ডল, সুজন সাহু, রতন মণ্ডল, জয়দীপ চক্রবর্তী, সৌরভ শীল প্রমুখ। শুক্রবার রাতে এই বিষয়ে সিটিভিএস সার্জন ডাঃ কনক নারায়ণ ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, রাজ্যে তথা জিবি হাসপাতালে এই ধরনের অপারেশন প্রথম ও বিরল।ডাঃ ভট্টাচার্য আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা ও রোগী কল্যাণ সমিতি ব্যবস্থাপনা ব্যয় বহুল সম্পন্ন খরচ বহন করেছে।রাধারাণী দাসের পরিবার থেকে অপারেশনের জন্য কোনও টাকা নেওয়া হয়নি।
বিনা খরচে অপারেশন করা হয়। হাসপাতাল হিসাব অনুযায়ী এই ধরনের অপারেশন ব্যয় হয় প্রায় ৭ লক্ষ টাকার মতো।ডাঃ ভট্টাচার্য আরও জানান, অপারেশনের পর রোগীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।রোগীর পরিবারও
সন্তোষ প্রকাশ করেন। এক প্রশ্নের উত্তরে ডাঃ কনক নায়ারণ ভট্টাচার্য আরও জানান, গত ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারী ত্রিপুরার পূর্ণ রাজ্যের দিবস থেকে জিবি হাসপাতালে ওপেন হার্ট সার্জারি শুরু করা হয়েছে। হাসপাতালে বাইপাস হার্ট সার্জারি শুরু করা হয়েছে। ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারী থেকে। ডাঃ ভট্টাচার্য জানান, তিনি এখন পর্যন্ত ওপেনহার্ট সার্জারি ও বাইপাস হার্ট সার্জারি মিলে এখন পর্যন্ত ১৭০ জন রোগীকে অপারেশন করেছেন।সঙ্গে মেডিকেল টিম তাকে সহায়তা করেছে। রোগীর বুকে পেস মেকার বসানো, এনজিওগ্রাফি, এনজিও প্লাস্টও করা হচ্ছে বলেও জানান ডাঃ কনক নারায়ণ ভট্টাচার্য।
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলাগভর্নমেন্ট কলেজের আসন সংখ্যা ৫০ থেকে বেড়ে ৬৩ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। আইজিএম হাসপাতালে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-শারদউৎসব সম্পন্ন হওয়ার পর সামান্য দেরি হলেও বৃহস্পতিবার অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যসরকারের সাধারণ ডিগ্রি কলেজে প্রিন্সিপাল পদে নিয়োগ বিশবাঁও জলে। দু'বছর আগে রাজ্য সরকারের…
ভারত বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক বদলায়নি। তবে। দুই দেশের মধ্যেকার কূটনৈতিক আদানপ্রদান কমিয়াছে। ফলে দুই…