অনলাইন প্রতিনিধি :-গত ক’দিন আগেই রাজ্যের গর্বের গোবিন্দ বল্লভ পন্থ অর্থাৎ জিবিপি হাসপাতালের ৬৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন হয়েছে।অনেকটা জনমানবশূন্য হলঘরে, সাধারণভাবে আয়োজিত প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা, রাজ্যের গর্বের জিবি হাসপাতালের গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরেছিলেন।
বর্তমান ও আগামীর চিকিৎসকে এবং স্বাস্থকর্মীদের জিবি হাসপাতালের গৌরবময় ইতিহাস স্মরণ করিয়ে, তাদের উজ্জীবিত করার পাশাপাশি সেই ইতিহাস স্মরণ করারও আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তিনি সেদিন বলেছিলেন, অতীতে জিবি হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের প্রতি রাজ্যবাসীর যে আস্থা ও বিশ্বাস ছিলো, সেই আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে। ইতিহাসকে স্মরণ করেই বর্তমান ও ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যেতে হবে।কিন্তু সেদিন জিবির প্রতিষ্ঠা দিবসকে কেন্দ্র করে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যে দীনতা লক্ষ্য করা গেছে, তাতেই স্পষ্ট হয়ে গেছে বর্তমানে রাজ্যের গর্বের হাসপাতালটি কী অবস্থায় চলছে।মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যেও সেদিন জিবি হাসপাতালের করুণ অবস্থার কথা উঠে এসেছে।যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন।কিন্তু রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী সেই গর্বের হাসতাল প্রায়ই খবরের শিরোনামে উঠে আসে। গতকাল বৃহস্পতিবার জিবি হাসপাতালে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক রোগিণীর শরীরে মেয়াদ উত্তীর্ণ রক্ত দেওয়ার মারাত্মক অভিযোগ উঠলো। বিষয়টি যখন নজরে এসেছে, ততক্ষণে রোগিণীর শরীরে তিন ভাগের একভাগ রক্ত চলে গেছে।এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।এতবড় কাণ্ড ঘটে গেল, অথচ কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ রক্ত ব্লাড ব্যাঙ্কে মজুত থাকে কীভাবে?এই প্রশ্নের জবাব নেই কারোও কাছে।ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা।এই ঘটনার দুই দিন আগে ২৯ বছরের এক যুবকের জিবি হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেছে। হাসপাতালে ছুটে আসতে হয়েছে বিশাল পুলিশ
বাহিনীকে।অভিযোগ, রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়া সত্ত্বেও বারবার চিকিৎসককে ডাকার পরও কেউ আসেনি।কারণ, যে চিকিৎসক রোগীকে ভর্তি করিয়েছেন,তিনি ছাড়া অন্য কোনও চিকিৎসক রোগীকে দেখবেন না।জিবি হাসপাতালে এমন অমানবিক এবং তুঘলকি আইন কি আদৌ বলবত রয়েছে?যদি থেকে থাকে, তাহলে বলতে হবে, জিবি হাসাপাতালে মানুষ কোন ভরসায় যাবে ? এই দুটি সামান্য উদহারণমাত্র।এমন বহু ঘটনা জিবি হাসপাতালে প্রায়ই
ঘটেছে। অনেক খবরই সংবাদ মাধ্যমে আসে না। মানুষ মুখ বুজে,ভাগ্যের পরিহাস, ভেবে নিজেরাই নিজেদের সান্ত্বনা দেয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে,এসব কি চলতেই থাকবে?আমরা এখনও মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, মনে প্রানে বিশ্বাস করতে চাই- জিবি হাসপাতাল সত্যিকার অর্থেই রাজ্যে গর্বের একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম
বারবার নষ্ট হয় একাংশ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর কারণে। আমরা জানি, যারা কাজ করে তাদেরই ভুল হয়। মানুষের ভুল হয়।ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক।কিন্তু স্বাস্থ্য পরিষেবা এমন একটি ক্ষেত্র, যেখানে একটি সামান্যতম ভুলে একজন মানুষের জীবন চলে যেতে পারে।তাই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সবসময় সতর্ক থাকতে হয়। দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হয়।এজন্যই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সাধারণ মানুষ দ্বিতীয় ভগবান বলে মনে করেন। কিন্তু কিছু চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীর অবাঞ্ছিত ভুলের কারণে, কাণ্ডজ্ঞানহীন ভূমিকা এবং গাফিলতির কারণে, জিবি হাসপাতালের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসে বারবার আঘাত লাগছে।মনে রাখতে হবে, জিবি হাসপাতালের ঐতিহ্য ও সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার দায় কিন্তু চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের। সেই
সাথে অবশ্যই স্বাস্থ্য দপ্তরের। সংশোধনের চেষ্টা না করে, ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলে এমন ভুল আরও ঘটতে থাকবে। আস্থা হারাবে জিবি। ধুলোয় লুন্ঠিত হবে জিবি হাসপাতালের গৌরবময় ইতিহাস।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমান যুগে হৃদরোগ জনিত সমস্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও জীবনঘাতী…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমানে রাজ্যেনয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন রয়েছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই, আমাদের…
অনলাইন প্রতিনিধি:-তপন স্মৃতি নকআউট ক্রিকেটের দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে হার্ভেকে নকআউট করে তপনের সেমিতে সংহতি!!খেলার…
নজিরবিহীন গরমের মুখোমুখি রাজ্য। মার্চ মাসের শেষ দিকে গরমের এই প্রকোপ এককথায় নজিরবিহীন।এজন্য আবহাওয়া দপ্তরকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…