জিবির সুপার স্পেশালিটি ব্লকের ইনডোর চালু হয়নি!!

 জিবির সুপার স্পেশালিটি ব্লকের ইনডোর চালু হয়নি!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি:- রাজ্যের প্রধান সরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জিবি-তে বহুদিন আগেই সুপার স্পেশালিটি চিকিৎসা পরিষেবার নতুন ব্লক চালু করার জন্য নতুন বহুতল ভবনও উদ্বোধন করা হয়। নতুন ভবনে সুপার স্পেশালিটির বহির্বিভাগে তথা আউটডোরও চালু করা হয়। গত ১৪ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা নতুন ভবনে সুপার স্পেশালিটি চিকিৎসা পরিষেবার বহির্বিভাগের উদ্বোধন করেছিলেন। বহির্বিভাগ চালুর পর উন্নত চিকিৎসা পরিষেবায় সুযোগ নিতে প্রচুর রোগী আসছেন।সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু সুপার স্পেশালিটি ব্লক চালু করে বহির্বিভাগ চালু করার পর দু’মাস অতিক্রান্ত হতে চললেও এখনো রোগী ভর্তির জন্য অন্ত: তথা ইনডোরের চিকিৎসা পরিষেবা চালু করা হয়নি। ফলে সুপার স্পেশালিটি ব্লকে গুরুতর অসুস্থ রোগীকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা পরিষেবা না দেওয়ায় রোগীরা সমস্যায় পড়ছেন। যদিও হাসপাতাল মেডিকেল সুপার ডা. শঙ্কর চক্রবর্তীর দাবি সুপার স্পেশালিটি ব্লকে এখনওল ইনডোর চালু না হলেও সুপার স্পেশালিটি চিকিৎসা সংক্রান্ত অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালের অন্যান্যভবনে রেখে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে হাসপাতালের নতুন সুপার স্পেশালিটি ব্লকের ইনডোরে সুপার স্পেশালিটি চিকিৎসা পরিষেবা চালু করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েও গত দু মাসেও চালু করা সম্ভব হয়নি। সুপার স্পেশালিটির নতুন ভবনে ৭ টি রোগ বিভাগের বহির্বিভাগ ও অন্ত: তথা ইনডোরে চিকিৎসা পরিষেবা চালু করার কথা।তবে হাসপাতালের এনটিএইচ ভবনে চালু থাকা কার্ডিও থোরাসিক ও এনটিএইচ ভবন -২ এ চালু থাকা নিউরো সার্জারির ইনডোর সেখানেই থেকে যাবে। নতুন সুপার স্পেশালিটি ব্লক ভবনে যে সব ইনডোর চালু করা হবে তা হলো কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, ইউরোলজি, নিউরোলজি প্লাস্টিক (বার্ন)।
তার বহির্বিভাগগুলি চালু রয়েছে। নতুন সুপার স্পেশালিটি ব্লক ভবনে ইনডোরে প্রতিবিভাগে ২০ টি করে শয্যা থাকবে। শুধু তাই নয়, এখনও ইনডোর চালু না হওয়ায় রোগীর রোগ পরীক্ষার জন্য আনা বহু মূল্যের অনেক ও আধুনিক যন্ত্রপাতি ও পড়ে রয়েছে। প্রায় ১০ কোটি টাকার উপর রোগ পরীক্ষায় নানা যন্ত্রপাতি তিন বছর আগেই হাসপাতালে আনা হয়। রোগ পরীক্ষার ব্যবস্থা না করায় এই সব মূল্যবান শয্যাও হাসপাতালে বহুদিন আগেই এসে পড়ে রয়েছে। রোগীর অপারেশন জন্য তিনটি আধুনিক অপারেশন থিয়েটার তৈরি করে রাখা হয়েছে। কিন্তু অপারেশন থিয়েটারগুলিও পড়ে রয়েছে। রোগীর অপারেশনের জন্য এখনও চালু হয়নি। পড়ে থেকে অপারেশন থিয়েটারের আধুনিক যন্ত্রপাতিতে জং ধরছে বলেও অভিযোগ। যন্ত্রপাতিও পড়ে থেকে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই যখন অবস্থা তখন কবে সুপার স্পেশালিটির নতুন ব্লক ভবনে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাব্যবস্থা তথা আউটডোর ও ইনডোর চালু হবে তা নিয়েও এখন অনিশ্চয়তা কাটেনি। স্বাস্থ্য দপ্তর ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনও চালুর দিন তারিখ নির্ধারণ করতে পারেননি। তবে জানা গেছে, শুধু মাত্র নার্স, সাফাই কর্মী ও সিকিউরিটি কর্মীর অভাবে ইনডোর চালু করা হচ্ছে না। আটকে রয়েছে। শুক্রবার এইসব বিষয়ে হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডা. শঙ্কর চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনিও জানান, নার্স, সাফাই কর্মী ও সিকিউরিটি কর্মী পেলেই ইনডোর চালু করা যাবে। তিনি আশাবাদী এই সব ম্যানপাওয়ার শীঘ্রই পাওয়া যাবে। চিকিৎসকের কোনও সঙ্কট নেই বলে তিনি জানান। তবে আগামী রোগীর উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার জন্য তিন সাড়ে তিন মাস আগে যে সুপার স্পেশালিটি ব্লকে ইনডোর চালু হচ্ছে না হাসপাতাল মেডিকেল সুপার ও অস্বীকার করেননি।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.