জিবির সুপার স্পেশালিটি ব্লক ভবনে ইনডোর চালু হচ্ছে ১লা!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলা সরকারী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড জিবি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবায় অবশেষে সুপার স্পেশালিটি অন্ত: তথা ইনডোর ব্লক (বিভাগ) চালু হচ্ছে।আগামী ১এপ্রিল থেকে হাসপাতালে পৃথকভাবে গড়ে উঠা পাঁচতলা ভবনে সুপার স্পেশালিটির ইনডোর ব্লক চালু হচ্ছে।রাজ্যের বর্তমান বিজেপি জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর উন্নত চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ার উদ্যোগ নেয়।গত বছর প্রথম দিকে নব নির্মিত সুপার স্পেশালিটি ব্লক ভবনে বহির্বিভাগ তথা আউটডোর চিকিৎসা পরিষেবা চালু করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা সুপার স্পেশালিটির আউটডোর পরিষেবার উদ্বোধন করেছিলেন।কিন্তু সুপার স্পেশালিটির আউটডোর চালু করা হলেও সুপার স্পেশালিটি ব্লকে ইনডোর চিকিৎসা পরিষেবা চালু করা হয়নি।ম্যান পাওয়ার সহ নানা কারণে ইনডোর চিকিৎসা পরিষেবা এই ব্লকে চালু করা সম্ভব হয়নি বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। যদিও ইনডোরে রোগী ভর্তি রেখে সুপার স্পেশালিটি ব্লকে চিকিৎসা পরিষেবা চালু করার জন্য এক বছর আগেই হাসপাতালে রোগ পরীক্ষার মেশিনপত্র, রোগীর শয্যা সব কিছু জিনিসপত্র ও চিকিৎসা সামগ্রী আনা হয়।সুপার স্পেশালিটি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন বিভাগের জন্য চিকিৎসক ও নিয়োগ করা হয় এক বছর আগেই। কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, নিউরোলিজ, ইউরোলজি প্লাস্টিক (সার্জারি)-এইসব বিভাগের চিকিৎসক এক বছর আগেই জিবি হাসপাতালে নিয়োগ করা হয়। আউটডোরে রোগী দেখছেন চিকিৎসকরা।সুপার স্পেশালিটি ব্লকে রোগী ভর্তির জন্য ইনডোর চালু না করা হলেও হাসপাতালে বিভিন্ন ভবনে রোগী ভর্তি রেখে চিকিৎসা পর্ব চালানো হচ্ছে। অবশেষে গত দু’দিন আগে স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে সুপার স্পেশালিটি ব্লকে রোগীর ইনডোর চালু করার জন্য সব প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে হাসপাতালে আসেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক সহ হাসপাতালের আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেন স্বাস্থ্য সচিব। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আগামী ১ এপ্রিল থেকে সুপার স্পেশালিটি ব্লক ভবনে ইনডোর চিকিৎসা পরিষেবা চালু করা হবে।রোগীর জন্য ২০০ শয্যা থাকবে।নেফ্রোলজি, নিউরোলজি, ইউরোলজি, প্লাস্টিক সার্জারির রোগীর জন্য ইনডোর চিকিৎসা পরিষেবা চালু হবে।কার্ডিও তথা সিটিভিএস (আইআর) এবং নিউরো সার্জারির এখনই ইনডোর সুপার স্পেশালিটি ব্লকে চালু হচ্ছে না। হাসপাতালের এনটিএইচ-ওয়ান ভবনে যেখানে এই দু’টি বিভাগের ইনডোর চালু রয়েছে সেখানেই আপাতত থাকবে। মেডিসিন ভবন থেকে চক্ষু বিভাগের ইনডোর সরিয়ে সুপার স্পেশালিটি ব্লক ভবনে নিয়ে আসা হবে।
তবে চক্ষু বিভাগের আউটডোর এনটিএইচ ভবনও ওয়ানের যেখানে রয়েছে সেখানেই থাকবে। শুধু রোগী ইনডোর সরিয়ে আনা হবে সুপার স্পেশালিটি ব্লক ভবনে। চক্ষু ইনডোর মেডিসিন বিভাগ ভবন থেকে সরিয়ে সুপার স্পেশালিটি ব্লক ভবনে আনা হলে মেডিসিন ভবনের জায়গা সম্প্রসারণ হবে।মেডিসিন বিভাগের ইনডোরে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।তাতে রোগীর শয্যা পেতে সুবিধা হবে।মেডিসিন ভবনে আইসিইউর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। সুপার স্পেশালিটি ব্লক ভবনে চারটি অপারেশন থিয়েটার (ওটি) রয়েছে। রোগীর চক্ষু অপারেশনও এখানে হবে।নতুন করে সুপার স্পেশালিটি ব্লক ভবনে ক্যাথল্যাব চালু করা হবে। ক্যাথল্যাবের কাজ এখনও শুরু হয়নি।রোগীর রোগ পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরি চালু করা হবে।এক্সরে ও সনোগ্রাফি মেশিন থাকলেও সিটি স্ক্যান মেশিন বসাতে হবে।সুপার স্পেশালটি ব্লক ভবনে রোগীর জন্য ভিআইপি কেবিন থাকবে ৮ টি।জিবি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্টের পুরো (এমএস) অফিস সরিয়ে সুপার স্পেশালিটি ব্লকে চালু করা হবে।এখন দীর্ঘদিন ধরে যে জায়গায় সুপারিনটেনডেন্টের প্রশাসনিক অফিস রয়েছে সেই জায়গায় লোকচোখের আড়ালে থাকায় রোগীও রোগীর আত্মীয় ও অন্যরা অফিস খুঁজে পেতে হন্যে হয়ে ঘুরতে হচ্ছে।এমএস অফিস এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে ভালো জায়গায় স্থানান্তরিত করার জন্য
দৈনিক সংবাদে ইতিপূর্বে সংবাদ ও প্রকাশিত হয়।তারপর এখন স্বাস্থ্য দপ্তরও হাসপাতাল ম্যানেজমেন্টের টনক নড়ে। অফিসটি সুপার স্পেশালিটি ব্লক ভবনে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।সুপার স্পেশালিটি ব্লক ভবনে হাসপাতালের বিদ্যুৎ সাব অফিস ও মেকানিক্যাল বিভাগও সরিয়ে এনে চালু করা হবে।ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে গাড়ি পার্ক-এর ব্যবস্থাও রয়েছে।