অনলাইন প্রতিনিধি:- রাজ্যের প্রধান দুটি সরকারী হাসপাতাল হলো জিবি এবং আইজিএম। দুটি হাসপাতালেই রোগীরা চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের ৯০-৯৫ শতাংশ ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী হাসপাতাল থেকে বিনা মূল্যে পাচ্ছেন না। রোগীর আত্মীয় ঔষধের দোকান থেকে চড়ামূল্যে ঔষধ কিনে আনছেন। অপারেশন সংক্রান্ত চিকিৎসা সামগ্রীও ঔষধের দোকান থেকে চড়ামূল্যে কিনে আনছেন। শুধু বহির্বিভাগই নয়, অন্ত:বিভাগে প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকেন। এইসব রোগী ও রোগীর
আত্মীয়স্বজন সবসময়ই অভিযোগ করেন জিবি এবং আইজিএম হাসপাতাল থেকে রোগীকে সুস্থ করার জন্য প্রেসক্রিপশনের ৯০-৯৫ শতাংশ ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী কিনে এনে হাসপাতালে দিতে হয়। বাজারে ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর দাম দিন দিন
লাগামছাড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের ঔষধ হাসপাতালে না পেয়ে ফার্মেসি তথা ঔষধের দোকান থেকে কিনে আনতে গিয়ে প্রচণ্ড ফাঁফরে পড়ছেন। পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। সরকারী হাসপাতাল হলেও হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা বাবদ রোগীর পরিবারের প্রচুর টাকা চলে যাচ্ছে। তাতে রোগী ও রোগীর ক্ষুব্ধ আত্মীয়রা সব সময়ই প্রশ্ন তুলছেন রাজ্যের প্রধান দুই হাসপাতালেই যদি রোগীর চিকিৎসা বাবদ রোগীর পরিবারের এতো টাকা চলে যায় তাহলে রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কী আরও বেহাল দশা তা সহজেই বোঝা যায়। জিবি এবং আইজিএম হাসপাতালে রোগী এনে চিকিৎসা পরিষেবা বাবদ এতো টাকা যে খরচ হয়ে যায় তা কোন দিন হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্যদপ্তর কেউ স্বীকার যান না।রোগীর নিত্য দুর্ভোগ ও অভিযোগের বাস্তব চিত্র সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য দপ্তর সংবাদ ঠিক নয় বলে সংবাদ অফিসে সংবাদের প্রতিবাদ বা সংবাদের স্পষ্টীকরণ লিখে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু তাতেই রোগীর দুর্ভোগ ও অভিযোগগুলির সঠিক তদন্ত ও সুরাহা না করে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে বলে রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ। কোন দিন হাসপাতাল অথরিটির তরফে বা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে রোগীরা হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা, সঠিক ব্যবস্থাপনা, ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী পাচ্ছেন কিনা সেই বিষয়ে হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে রোগী ও রোগীর আত্মীয়স্বজনকে জিজ্ঞাসা করছেন না, কথাও বলছে না বলেও রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের নিত্যদিনের অভিযোগ। আরও বিস্ময়কর ব্যাপার হলো রোগী ও রোগীর আত্মীয়স্বজন কোথায় গিয়ে অভিযোগ জানাবেন, কার কাছে গিয়ে জানাবেন জিবি এবং আইজিএমে এমন কোন পৃথক বিভাগ নেই। শুধু রোগী ও রোগীর অভিযোগ শোনার জন্য দুটি হাসপাতালেই কোন সেল বা বিভাগ চালু নেই। রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি হাসপাতালে পৃথক অফিস খুলে উপযুক্ত আধিকারিক বসিয়ে রেখে যেন রোগীর দুর্ভোগ, চিকিৎসা পরিষেবার হাল হকিকত ও হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের ঔষধ, চিকিৎসা সামগ্রী এইসব বিষয়ে অভিযোগ শোনা হোক। এই বিষয়টি চালু হলেই অভিযোগের বাস্তবতা ও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সঠিক কিনা তা বুঝে নিতে পারবে হাসপাতাল অথরিটি ও স্বাস্থ্য দপ্তর অথরিটি। তারপরই হাসপাতালের এইসব বিষয়ে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবে হাসপাতাল অথরিটি ও স্বাস্থ্য দপ্তর অথরিটি। খুব শীঘ্রই রাজ্যের বড় হাসপাতাল দুটি এই ব্যবস্থা চালু করার দাবি উঠেছে। রোগী ও রোগীর আত্মীয়স্বজনের ধারণা তাতে করে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার মান যেমন উন্নত ও হাসপাতালে সুব্যবস্থা বাড়বে তেমনি রোগীর দুর্ভোগ
কমবে ও হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী পেতে সহজ হবে। এদিকে, জিবি হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে হাসপাতালে দুটি ফার্মেসি চালু করা হয়। দরপত্রের মাধ্যমে বহি:রাজ্যের একটি বেসরকারী সংস্থাকে দুটি ফার্মেসি চালু করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফার্মেসি চালুর সময় দরপত্রের শর্ত। ছিল রোগীর ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর মূল্যের উপর ত্রিশ শতাংশ ছাড় দেওয়া। কিন্তু ঔষধে মিললেও চিকিৎসা সামগ্রীর মূল্যের উপর তার অর্ধেক টাকা ছাড়ও ফার্মেসি থেকে রোগীরা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। তাছাড়া ফার্মেসিতে কোন কোন প্রেসক্রিপশনের পঞ্চাশ ভাগ আবার কোন কোন প্রেসক্রিপশনের কোন ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী এই ফার্মেসিতে মিলছে না বলে রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের নিত্যদিনের অভিযোগ। যদিও ফার্মেসি চালুর সময় দরপত্রের শর্ত ছিল রোগীর প্রেসক্রিপশনের সব ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী যেন পায়। ফলে রোগী ও রোগীর আত্মীয়কে ফার্মেসিতে ঔষধ না পেয়ে প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে রাত দিন জিবি বাজারে বেসরকারী ফার্মেসিতে ছুটে যেতে হচ্ছে। বেসরকারী ফার্মেসিতে গিয়ে চড়া মূল্যে ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী কিনে আনতে হচ্ছে। তাতে রোগী ও রোগীর আত্মীয়স্বজন অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। জিবি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির উদাসীনতায় ও হাসপাতাল অথরিটির নির্লিপ্ত ভূমিকায় রোগী কল্যাণ সমিতির ফার্মেসিতে গিয়ে রোগীরা বিপাকে পড়ছেন বলেও অভিযোগ। এদিকে, আইজিএম হাসপাতালে এই ধরনের ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর মূল্যের উপর ছাড় যুক্ত কোন ফার্মেসি চালু না থাকায় রোগীরা তার কোন সুবিধা পাচ্ছেন না। দুটি হাসপাতালে সস্তায় জেনেরিক মেডিসিন কাউন্টার থাকলেও সেখানেও প্রেসক্রিপশনের নব্বুই শতাংশের উপর ঔষধপত্র রোগীরা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ।
অনলাইন প্রতিনিধি :-ফের লাইনচ্যুত ট্রেন। ছিটকে গেছে তিনটি কামড়া। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার তিতলাগড় স্টেশনের কাছে।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রথম সংক্রমণের ৫ বছরের রেষ কাটতে না কাটতেই নতুন করে চিনে খোঁজ মিলেছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-গত ৫ আগস্ট হাসিনা জামানার পতনের পর বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়। তবে…
শুক্রবার মরিশাসের সংসদে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন আসন্ন ন্যাশনাল ডে বা জাতীয় দিবসের উদযাপনে প্রধান অতিথি…
কোনও চাওয়া যখন পথের থেকে বেশি সংখ্যায় পথবন্ধক তৈরি করে, তাকে পরিত্যাগ করাই বিধেয়। কারণ…
অনলাইন প্রতিনিধি:- নারী নির্যাতন কিংবা মহিলা সংক্রান্ত অপরাধের সংখ্যা রাজ্যে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি…