Categories: বিদেশ

জিম্বাবোয়েতে চালু হচ্ছে স্বর্ণমুদ্রা

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

জিম্বাবোয়েতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে । ফলে মান কমেছে স্থানীয় মুদ্রার । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার নানা ব্যবস্থা নিচ্ছে । এরই অংশ হিসেবে জুলাই মাসের শেষ নাগাদ বৈধ লেনদেনের মাধ্যমে হিসেবে স্বর্ণমুদ্রা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক । গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয় , গত মাসে জিম্বাবোয়েতে মুদ্রাস্ফীতি দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ১৯১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে , যা ২০০০ সালের মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টিই স্মরণ করে দিচ্ছে । ওই সময় দেশটির মুদ্রার মান তিনবার পরিবর্তন করা হয়েছিল । যদিও অবশেষে ২০০৯ সালে মুদ্রাটি একেবারে পরিত্যক্ত করা হয় ।

দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর জন ম্যাংগুদা বলেন , সোনার মুদ্রা বিনিময় মূল্য হিসেবে কাজ করবে এবং এটি দেশের মার্কিন ডলারের চাহিদা হ্রাস করবে বলে আশা করা হচ্ছে । ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় মুদ্রার মূল্য অনেক কমে গেছে । বিবৃতিতে ম্যাংগুদা আরও বলেন , স্থানীয় মুদ্রা এবং মার্কিন ডলারসহ অন্যান্য বিদেশি মুদ্রা উভয় দিয়েই এই স্বর্ণমুদ্রা জনগণের কাছে বিক্রি করা যাবে । সে ক্ষেত্রে স্বর্ণমুদ্রার দাম প্রচলিত আন্তর্জাতিক মূল্য এবং উৎপাদন খরচের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হবে । এই স্বর্ণমুদ্রার নামকরণ করা হবে জলপ্রপাত ‘ ভিক্টোরিয়া ফলস ‘ বা স্থানীয় ভাবে পরিচিত ‘ মসি – ওয়া তুনয়ার ’ নামানুসারে । এ মুদ্রা স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক নগদ মুদ্রাও ভাঙানো
যাবে , যা দিয়ে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাণিজ্য করা যাবে ।

জিম্বাবোয়ের ওই স্বর্ণমুদ্রায় এক ট্রয় আউন্স ( ৩১ গ্রামের বেশি ) সোনা থাকবে । এগুলো বিক্রি করবে দেশটির ফিডেলিটি গোল্ড রিফাইনারি , অরেক্স ও স্থানীয় ব্যাঙ্কগুলো । এদিকে , স্বর্ণমুদ্রা চালুর ঘোষণায় জিম্বাবোয়ের প্রতিক্রিয়া নাগরিকেরা মিশ্র জানিয়েছেন । দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসায়ী ইভান মুপাচিকা বলেন , ‘ আমার নগদ অর্থ রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক একটি কয়েন ধরিয়ে দেবে , যাতে আমি আস্থা রাখতে পারি না ।
জিম্বাবুয়ের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ওপর নাগরিকের আস্থা সংকট রয়েছে ।

কারণ , এর আগে আর্থিক কর্তৃপক্ষ বিশ্বাসযোগ্যতা পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে । ২০০৮ সালে দেশটির ১০০ বিলিয়ন ডলার ( জিম্বাবোয়ে ) নোট বাজারে আনে ৷ জিম্বাবুয়ের ডলারের ভয়াবহ পতনের ফলে অনেক নাগরিক তাদের জমানো অর্থ হারান । কারও কারও পেনশন হারাতে হয় । এতে লোকজন ব্যাঙ্কে অর্থ রাখা বাদ দিয়ে বাড়িতে অর্থ জমাতে শুরু করেন ।
২০০৯ সাল থেকে মুদ্রাস্ফীতিতে জর্জরিত ডলার থেকে সরে আসে দেশটি । এর বদলে মার্কিন ডলার নির্ভরশীল হয়ে পড়ে । ২০১৯ সালে আবার স্থানীয় মুদ্রা চালু করা হয় । তবে সেটিও দ্রুত মূল্য হারায় । গত সপ্তাহে দেশটির অর্থমন্ত্রী মুথুলি নুকুবে বলেন , ‘ স্বর্ণমুদ্রা আরও বেশি মূল্য ধরে রাখতে পারবে।

Dainik Digital

Recent Posts

দ্বিতীয়দিন ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলো হাজারো দর্শক-শ্রোতা!!

অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রথমদিনের মতোই উড়ান আয়োজিত ত্রিপুরা লিটারেচার ফেস্টিভ্যালের দ্বিতীয়দিনও ছিল শ্রোতা ও দর্শকে পরিপূর্ণ। সাহিত্য,…

20 hours ago

মার্কিন হাসপাতালে এলোপাথারি গোলাগুলি!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-শনিবার আমেরিকার পেনসিলভ্যানিয়া প্রদেশের ইয়র্ক কাউন্টির ‘ইউপিএমসি মেমোরিয়াল হাসপাতাল’ নামে ওই হাসপাতালে ঢুকে…

21 hours ago

আগরতলা-গুয়াহাটি বন্দে ভারত শীঘ্রই।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলা-গুয়াহাটি-আগরতলার মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলাচল এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। এই মন্তব্য করেন…

21 hours ago

তেলেঙ্গানার সুড়ঙ্গে আটক ৮ শ্রমিক,বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-২৪ ঘণ্টা ধরে তেলঙ্গানার শ্রীসৈলাম সুড়ঙ্গে আটকা পড়েছেন আট শ্রমিক। কাদাজলে ভরে গিয়েছে…

21 hours ago

ভোট বিদেশি হস্তক্ষেপ।।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট গণতান্ত্রিক রায়ের দুই লাইনের এক মন্তব্যে, শুরু হয়েছে।পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে,…

21 hours ago

কেন্দ্রীয় কারাগারে কোটি টাকার টেন্ডার ঘোটালার অভিযোগ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমল থেকেই কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার দুর্নীতির আখড়া হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।দুর্নীতির…

21 hours ago