চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী গ্রুপ অব টোয়েন্টি বা জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করবে ভারত। আর এই উপলক্ষে ভারতের জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্বের লোগো, থিম এবং ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে এই লোগো থিম উন্মোচন করে ‘এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যতের বার্তা দেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের জি-২০ সভাপতিত্বের লোগো, থিম ও ওয়েবসাইট বিশ্বের কাছে ভারতের বার্তা এবং সর্বাধিক অধিকারকে প্রতিফলিত করবে।’
উল্লেখ্য, প্রায় এক বছর বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে থাকবে ভারত। এ সময়ে গোটা ভারতজুড়ে ৩২টি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২০০টি সভার আয়োজন করা হবে। এরপর ২০২৩ সালের নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে জি-২০ গোষ্ঠীর বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, সেই সম্মেলনই ভারতের মাটিতে সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলন হতে চলেছে। এর থেকেই স্পষ্ট আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের গুরুত্ব কতটা বেড়েছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতে প্রকাশিত জি-২০ সভাপতিত্বের লোগোতে সাত পাপড়ির এক পদ্মফুলের ছবি রয়েছে। আর সেই ফুলের উপরই রয়েছে গ্লোব। লোগোতে পদ্মের উপস্থিতি সম্পর্কে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, লোগোতে পদ্মের উপস্থিতি ভারতীয় সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা, সম্পদের প্রতিনিধিত্ব করে।
এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, ‘পদ্মের সাতটি পাপড়ি পৃথিবীর সাতটি মহাদেশ এবং সঙ্গীতের সাতটি সুরের প্রতিনিধিত্বকারী। জি- ২০ সম্মেলন গোটা বিশ্বকে একত্রিত করবে। পদ্মফুল ভারতের পৌরাণিক ঐতিহ্য, আমাদের বিশ্বাস, আমাদের বুদ্ধিমত্তাকে চিত্রিত করেছে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভারতে জি-২০ প্রেসিডেন্সি এমন সময়ে আসছে, যখন পৃথিবীজুড়ে নানা সঙ্কট ও অশান্তি চলছে। করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন পৃথিবী ।তাই বর্তমান এই সময়ে আশার প্রতীক হলো পদ্ম। সেটিই থাকছে লোগোতে । যত সঙ্কটজনক পরিস্থিতিই হোক না কেন, পদ্ম ফুটবেই। প্রধানমন্ত্রী মোদির এই বক্তব্য ও দাবি যে বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কেন্দ্রের বর্তমান শাসক দল অর্থাৎ বিজেপির রাজনৈতিক প্রতীক চিহ্ন হচ্ছে পদ্মফুল। জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্বের লোগোতে পদ্মের উপস্থিতি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এতে করে শুধু দেশেই নয়, গোটা বিশ্বকেই যে মোদি একটি বিশেষ বার্তা দিতে চাইছেন এবং চেয়েছেন, তাতে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। পদ্ম দেশের জাতীয় ফুল, আবার বিজেপির প্রতীকও। ফলে মোদির বার্তা স্পষ্ট। জি-২০ গোষ্ঠী হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা গোষ্ঠী।
বৈশ্বিক জিডিপির ৮৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে এই গোষ্ঠীর সদস্যভুক্ত দেশগুলো। শুধু তাই নয়, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ বাস করে এই গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলোতে। আগামী মাস থেকে শক্তিশালী এই গোষ্ঠীরই সভাপতিত্ব করতে চলেছে ভারত। আগামী বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হবে জি-২০ গোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলন। আর ঠিক পরের বছরই ভারতে অনুষ্ঠিত হবে লোকসভা নির্বাচন। ফলে বিশ্ব মঞ্চে ভারতকে নেতৃত্বদানের অনন্য সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মোদি যে ২৪-এর বৈতরণী পার হওয়ার প্রয়াস নেবেন, তা বলাই বাহুল্য।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলায় চুনি, ইংরেজিতে রুবি।চুনির রং কতটা টকটকে লাল, তার উপর এই মানিকের দাম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-চাঁদারজুলুম নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তথাকথিত সুশাসনের রাজ্যে প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এলো।…
কেন্দ্রে ১০০ দিন পূর্ণ করল তৃতীয় মোদি সরকার।যদিও বর্তমান ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে মোদি সরকার আখ্যা…
নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…
হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…