নভি মুম্বাইয়ের খড়ঘড় মালভূমির ১০৬ হেক্টর জমিতে আবাসিক তথা বাণিজ্যিক টাউনশিপ গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করল সিটি অ্যান্ড . ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (সিডকো)। এ বিষয়ে রাজ্যের বন দপ্তরের ছাড়পত্র চাওয়া হয়েছে । এই উদ্যোগে যদিও বিরক্ত পরিবেশবিদেরা । তাদের দাবি , এখানে এমন নগরায়ণ হলে তার প্রভাব এখানকার জলাশয় ও জীববৈচিত্র্যের ওপর পড়বে । সমুদ্রের স্তর থেকে ১৬০-২৬০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত এই খড়ঘড় পাহাড়ি মালভূমিকে একাধিক প্রাকৃতিক জলপ্রপাত এবং বেশ কয়েকটি জলাশয় রয়েছে । এই জলপ্রপাতের মধ্যে রয়েছে পান্ডবকারা জলপ্রপাত , ওয়ে বাঁধ এবং শিল্পীদের গ্রামের কাছেই রয়েছে এই ছোট বাঁধ । সবমিলিয়ে এই এলাকার একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে । ”
মালভূমি এলাকার কাছেই যে খড়ঘড় ভ্যালি গলফ কোর্স রয়েছে সেটিকে ইতিমধ্যেই আধুনিক মানের করে গড়ে তুলেছে সিডকো । নয় গর্তের এই গলফ কোর্সকে ১৮ গর্তের আন্তর্জাতিক মানের গলফ কোর্সে পরিণত করা হয়েছে । খড়ঘড় জলাভূমি এবং পাহাড়ি বাসিন্দাদের গ্রুপের সহ প্রতিষ্ঠাতা নরেশ চন্দ্র সিং বলেন , ‘ একটি নেচার পার্ক তৈরির জন্য ২০০৭ সালে সিডকোর অনুরোধে এই এলাকার ব্যাপকভাবে একটি সমীক্ষা চালায় বম্বে ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটি । গোটা মালভূমি এলাকার চারপাশে সংরক্ষিত বনাঞ্চল রয়েছে । এখানে এভাবে এতবড় একটি উন্নয়নমুখী প্রকল্প হলে তা এখানকার বাস্তুতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলবে । ‘ বিএনএইচএস সেই সময়ে রিপোর্ট দিয়েছিল তাতে এই মালভূমি এলাকার সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যের কথাই উল্লেখ করা হয় । সেখানে উল্লেখ করা হয় যে , এই এলাকায় বহু প্রাণী রয়েছে । যে তালিকায় রয়েছে ব্ল্যাক নেপড হেয়ার , স্মল ইন্ডিয়ান সিভেট , ইন্ডিয়ান ফ্লাইং ফক্স এবং আরও বেশ কিছু পাখিও । এছাড়া এই মালভূমি এই মালভূমি এলাকায় ইউরোপিয়ান বোলারের মতো পরিযায়ী পাখিও দেখা যায় । আবার আইইউসিএন – এর লুপ্তপ্রায় তালিকায় থাকা ঈগলও দেখা গিয়েছিল এই খড়ঘড় পাহাড়ি এলাকায় । ফলে জীববৈচিত্র্যগত দিক থেকে এই এলাকার একটা আলাদা একটা গুরুত্ব রয়েছে । পরিবেশবিদেরা জানাচ্ছেন , এমন একটি এলাকায় যদি এভাবে একটি টাউনশিপ তৈরি করা হয় তাহলে তা এই এলাকার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে । খড়ঘড় পাহাড়ি মালভূমি প্রকল্পে খরচ ধরা হয়েছে । ১৮,৯০০ কোটি টাকা । তাতে আশা করা যাচ্ছে যে , আবাসিক এলাকায় ১১,৯৮৫ জন মানুষ বাস করতে পারবেন এবং বাণিজ্যিক এলাকায় ৬৪৫০ জন মানুষ বাস করবেন । এই এলাকায় আবাসিক ভবন এবং বাংলো তৈরির পরিকল্পনা যেমন নেওয়া হয়েছে তেমনই হোটেল , রিসর্ট এবং বাণিজ্যিক এলাকাও বিক্রি করা হবে । নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার দিন থেকে চার বছরের মধ্যে গোটা প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে , এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য গত ১৮ আগস্ট রাজ্য সরকারের কাছে জমাও দেওয়া হয়েছে সিডকোর তরফে । প্রকল্পে গত ২২ আগস্ট ‘ টার্মস অফ রেফারেন্স ‘ দেয় রাজ্য সরকার যাতে সিডকোকে পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ে সমীক্ষা চালানোর জন্য অনুমতি দেওয়া হয় । পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়ার জন্যেই এই সমীক্ষা চালাতে হবে ।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমান যুগে হৃদরোগ জনিত সমস্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও জীবনঘাতী…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমানে রাজ্যেনয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন রয়েছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই, আমাদের…
অনলাইন প্রতিনিধি:-তপন স্মৃতি নকআউট ক্রিকেটের দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে হার্ভেকে নকআউট করে তপনের সেমিতে সংহতি!!খেলার…
নজিরবিহীন গরমের মুখোমুখি রাজ্য। মার্চ মাসের শেষ দিকে গরমের এই প্রকোপ এককথায় নজিরবিহীন।এজন্য আবহাওয়া দপ্তরকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…