অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে জিরানীয়া মহকুমা এমএন কলোনিকে নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী জুলাই মাসে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার হাত ধরে এসএন কলোনীতে অত্যাধুনিক পার্ক নির্মাণের শিলান্যাস অনুষ্ঠান হবে। প্রাকৃতিক মনোরম সৌন্দর্যে ভরা চা বাগান, টিলা ও লুঙ্গা ভূমি নিয়ে প্রায় আশি কানি জমিতে গড়ে উঠবে পার্ক। ইতিমধ্যে স্বদেশ দর্শন ০২ স্কিম থেকে পার্ক নির্মাণের জন্য ৪৮ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে হবে টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ। কলকাতার নিকো পার্কের আদলে অত্যাধুনিক ওয়াটার পার্ক, অ্যাডভেঞ্চার পার্ক তৈরি করা হবে। প্রায় সব মিলিয়ে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে ইকো টুরিজমের উপর পার্ক ও ওয়াটার পার্ক ও অ্যাডভেঞ্চার পার্ক।শুক্রবার জিরানীয়া মহকুমাশাসক কার্যালয়ের হল ঘরে ভূমিদাতা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত বৈঠকে পৌরোহিত্য করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে খাদ্য, পরিবহণ ও পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এই তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে যারা স্ব-উদ্যোগে জমি দান করবেন টুরিজম দপ্তরকে তাদের কলকাতা নিকো পার্ক ভ্রমণের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।তারা দেখে নিজেরা আস্বস্ত হয়ে উন্মাদনা ও উদ্দীপনার মধ্যে তারা চাইছে পার্ক তৈরি করতে। খুব সহসাই অর্থাৎ আগামী চার পাঁচদিনের মধ্যে জমির কাগজপত্র সংক্রান্ত নানা জটিলতা দূর করার জন্য মহকুমা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাগজপত্রের জটিলতা দূর হওয়া মাত্র ভূমিদাতারা টুরিজম দপ্তরের কাছে জমি তুলে দেবেন। মন্ত্রী বলেন, এসএন কলোনিতে এই অত্যাধুনিক পার্ক গড়ে উঠলে এলাকার প্রচুর মানুষের কর্ম সংস্থানের সুযোগ যেমন তৈরি হবে, তেমনি উন্নত হবে এলাকা। জানা গেছে, পার্ক নির্মাণ করা হবে সরকারী খাস ভূমি ও জোত ভূমি নিয়ে। ভূমি দাতারা ভূমি দান করবে। মন্ত্রী বলেন, এলাকাবাসীর অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে শক্তিশালী করার জন্য এবং তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে এই পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। আগামী দিনে এই পার্ক গড়ে উঠলে রাজ্য এবং বহি:রাজ্যের মানুষের কাছে পর্যটন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসাবে বিবেচিত হবে। দুই ধরনের পার্ক গড়ে তোলা হবে, ইকো টুরিজম এবং নিকো পার্ক। মন্ত্রী জানান, ভারত সরকার ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে আগামী দিনে রাজ্য পর্যটন ক্ষেত্রকে বিশেষ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ চলছে। এসএন কলোনিতে এই অত্যাধুনিক মনোরম পার্ক গড়ে উঠলে এলাকার মানুষের কর্ম সংস্থানের সুযোগ যেমন তৈরি হবে তেমনি রাজ্য সরকারও পার্ক থেকে রাজস্ব পাবে। রাজ্য সরকারও এই পার্ক নির্মাণের জন্য বাজেটে দশ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তিনি রাজ্য পর্যটন মানচিত্রে এসএন কলোনির পার্ক বিশেষ স্থান দখল করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন। চা বাগান সহ উঁচু নিচু টিলা ও লুঙ্গা ভূমিকে নিয়ে এক মনোরম পরিবেশে পার্কটি গড়ে উঠবে। জানা গেছে সরকারী খাস ভূমি ছাড়া প্রায় পঞ্চাশ জন জমিদাতা স্বেচ্ছায় তাদের ভূমি পার্ক নির্মাণের জন্য পর্যটন দপ্তরের হাতে তুলে দিচ্ছেন। এদিন জমি দাতাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তা প্রশান্ত বাদল নেগি, যুগ্ম অধিকর্তা অনিরুদ্ধ রায়, সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক, রনজিৎ রায় চৌধুরী, পার্থসারথী সাহা, মহকুমাশাসক শান্তিরঞ্জন চাকমা,অতিরিক্ত মহকুমা শাসক অনিমেশ ধর,পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন প্রীতম দেবনাথ, রাণীরবাজার পর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার দাস, জেলা পরিষদ সদস্য শিবায়ন দাস, নগর পঞ্চায়েত চেয়ারম্যান রতন দাস সহ অন্যরা।
অনলাইন প্রতিনিধি :-সামগ্রিকভাবে রাজ্যের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুকে সামনে রেখে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বিস্তারিত আলোচনা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয় সরকারের জল বিভাজিকা প্রকল্পের মধ্য দিয়ে পূর্ব নোয়াগাঁও গ্রামটিকে কৃষির উন্নয়নের স্তরে…
ভয়ংকর হারে রাজ্যে বাড়ছে বেকার। সেই তুলনায় নিয়োগ নেই।এই অভিযোগ বোম ছাত্র সংগঠনের।ভয়ংকর তথ্য তুলে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে তাজ হোটেল এবং মুম্বইয়ের শিবাজি মহারাজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর!…
অনলাইন প্রতিনিধি :-হংকং ও সিঙ্গাপুর সহ এশিয়ার বিভিন্ন শহরে করোনা ভাইরাসের নতুন ঢেউ দেখা দিয়েছে।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে আকাশে উড্ডয়নের পরই বিমানের একটি চাকা খুলে পড়ে যায়।…