জোটের নামে বাম-কংগ্রেস বেআব্রু, রাজ্যজুড়ে গুঞ্জন!
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন বাম-কংগ্রেস জোটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠলো। শুধু তাই নয়, দুই দলের নেতৃত্বের ভূমিকায় গোটা রাজ্য জুড়ে মানুষের মধ্যে অবিশ্বাসের বাতাবরণ এবং বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বিজেপিকে রাজ্য থেকে হঠাতে বাম- কংগ্রেস জোটের ইস্যুতে আসন সমঝোতার কথা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রচার করে বে-আব্রু বাম-কংগ্রেস দুই দলই। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে সারা রাজ্যে যে ছবি দেখা গেল, তাতে মনে হয়েছে দুই দলেরই সিদ্ধান্ত যেন কলাপাতা। দুই দলই জোটের নামে শেষ পর্যন্ত চাপের রাজনীতিতে অবতীর্ণ হয়েছে। যা নিয়ে গোটা রাজ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। দুই দলের আসন সমঝোতা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক শেষে কংগ্রেসের জন্য ১৩টি আসন বরাদ্দ করে বামফ্রন্ট তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। সেইমতো বামফ্রন্ট প্রার্থীরা যথাসময়ে ৪৭টি আসনে তাদের মনোনয়ন জমা করে দেয়। এরপর কংগ্রেস দল ১৩ টির জায়গায় ১৭ টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। এই নিয়ে শুরু হয় চাপানউতোর। প্রশ্ন উঠে জোট নিয়ে। সোমবার দেখা যায় কংগ্রেসের জন্য বরাদ্দকৃত ১৩ টি আসনেই সিপিএম প্রার্থীরা মনোনয়ন দাখিল করে। কংগ্রেসও আগের ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার ১৭ টি আসনে দাখিল করে। এই নিয়ে গোটা রাজ্যেই গুঞ্জন উঠে। একে অপরের বিরুদ্ধে চাপের রাজনীতিতে অবতীর্ণ হয়। স্বাভাবিকভাবেই জনমনে প্রশ্ন উঠে, এই পরিস্থিতি যখন হবে তখন ঢাক- ঢোল বাজিয়ে এত কিছু করার কী
প্রয়োজন ছিলো? যদিও এই পরিস্থিতিতে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, কংগ্রেস যদি তাদের প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে আমরাও আমাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেবো। এই নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। জীতেনবাবুর বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, তারা কংগ্রেসকে চাপে রাখতে চাইছেন। অপরদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা বলেন, জোট থাকবে। এই প্রথম আমরা দুটি দল কাছাকাছি এসেছি। তাই এডজাস্ট হতে কিছু সময় লাগছে। আশা করি সমস্যা মিটে যাবে। প্রয়োজনে আমরা ৪ কেন্দ্রে প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেবো। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত সমস্যা মিটে কিনা? আগামী ২ ফেব্রুয়ারী বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে?