জোট সমঝোতায় কংগ্রেস!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-লক্ষ্যে ২০২৪।দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস কয়দিন আগেই জানিয়েছিল যে,তারা নির্বাচনি মুডে রয়েছে।এবার তারা শরিক দলগুলির সাথে জোটের প্রক্রিয়া এগোনোর কাজ শুরু করতে চলেছে।

বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী জোট হচ্ছে ইন্ডিয়া জোট। আবার ইণ্ডিয়া জোটের মধ্যে সবচেয়ে বড় দল হচ্ছে কংগ্রেস।এক্ষেত্রে বিরোধী জোট গঠন এবং বিজেপিকে যদি আগামী লোকসভা নির্বাচনে একটি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে হয় তাহলে কংগ্রেসের একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছে।তাই আসন্ন লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে আসন সমঝোতার প্রশ্নে কংগ্রেসকেই বড় এবং ইতিবাচক, গঠনমূলক ভূমিকা নিতে হবে। এবং এই কাজটি কংগ্রেস ইতোমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে।কংগ্রেসের সম্প্রতি প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়েছে আরএসএসের সদর দপ্তর যে শহরে রয়েছে সেই শহর অর্থাৎ মহারাষ্ট্রের নাগপুরে।

কংগ্রেসের এই প্রতিষ্ঠা দিবসে দলীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ফের একবার উচ্চারণ করেছেন যে,আমরা (বিরোধী) জোট যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে বিজেপিকে পরাস্ত করা কোনও বিষয়ই নয়।তবে বিরোধী জোট ঐক্যবদ্ধ হবে কি না তাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।আরও প্রশ্ন,ঐক্যবদ্ধ হলেও এই জোট মজবুত হবে কি না।তিন রাজ্যে কংগ্রেসের হার জোটের ভবিষ্যৎকে অনেকটা প্রশ্নচিহ্নের মুখে এনে দাঁড় করিয়েছে।যদিও সম্প্রতি ইন্ডিয়ার বৈঠকও সম্পন্ন হয়েছে দিল্লীতে।তাতে ইন্ডিয়া জোটের মধ্যেও একটি উপজোট তৈরি হচ্ছে বলে একটা আভাস দেখা যায়। যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল এরা একজোট হয়েই ইণ্ডিয়ার বৈঠকে শামিল হয়েছিলেন। তারা প্ল্যান করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে দেন।মমতা এবং কেজরিওয়াল এই প্রস্তাব দিয়ে এক ঢিলে অনেক পাখি মারতে চেয়েছেন।(এক) রাহুল গান্ধী যে তাদের প্রধানমন্ত্রী পদে গ্রহণযোগ্য নন তার বার্তা দেওয়া।(দুই) মমতা এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল এটা বোঝাবার চেষ্টা করেছেন যে, তাদের ছাড়া জোট অচল এবং তারাই হচ্ছেন কিংমেকার।তারা ছাড়া জোট চলবে না।এমনকী মমতা হাবেভাবে এটাও বোঝাতে চেয়েছেন যে, তিনি যা বলবেন তাই শেষকথা।কিন্তু যদিও মল্লিকার্জুন খাড়গে সবিনয়ে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তার বক্তব্য ছিল,আগে ভোটে জিততে হবে।এরপর প্রধানমন্ত্রী বা কে হবেন তা নিয়ে আলোচনা হোক। সুতরাং ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেসকে সবচেয়ে বড় দল হিসাবে অনেকটা সংযত ভূমিকা এবং ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে রাজ্যে রাজ্যে জোট গঠনের ক্ষেত্রে।আসন সমঝোতার বিষয়ে কংগ্রেসকে অনেকটা নমনীয় মনোভাব পোষণ করতে হবে। যদিও কংগ্রেস অন্দরের খবর, আপ, সমাজবাদী পার্টি, উদ্ধব সেনার সাথে আসল সমঝোতা নিয়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের সর্বাগ্রে এই ইগো ভাবনা পরিত্যাগ করতে হবে। তিন রাজ্যে কংগ্রেসের হার থেকে কংগ্রেসকে শিক্ষা নিতে হবে।মধ্যপ্রদেশে কয়েকটা আসন সমাজবাদী পার্টিকে ছাড়া যেতো।কিন্তু কমল নাথ এতে রাজি হননি।

তেমনি রাজস্থানেও অশোক গেহলেট কিংবা ছত্তিশগড়েও ভূপেশ বাঘেল অন্য শরিক দলগুলিকে ধর্তব্যের মধ্যে আনেননি।ফলে ভোট কাটাকাটি হয়েছে অনেক। সুযোগ নিয়েছে বিজেপি। উত্তর ভারতের তিন রাজ্যে ইন্ডিয়া জোট হিসাবে লড়লে ফল নি:সন্দেহে আরও ভালো হতো বিরোধীদের এবং লোকসভার আগে ইন্ডিয়া জোটের একটা রিহার্সাল হয়ে যেতো।কিন্তু কংগ্রেসের একগুঁয়েমির জন্য তা হয়ে ওঠেনি।কংগ্রেস বিরোধী দলগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় দল।ক্ষমতায় না থাকার যন্ত্রণা কংগ্রেস টের পাচ্ছে।কিন্তু বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলির সেক্ষেত্রে এতটা উচ্চাসা নেই। তারা রাজ্য নিয়েই সন্তুষ্ট।কেন্দ্রের ক্ষমতায় এলে ভালো।না এলেও ক্ষতির কিছু নেই। কিন্তু যদিও মল্লিকার্জুন খাড়গে সবিনয়ে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তার বক্তব্য ছিল, আগে ভোটে জিততে হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী বা কে হবেন তা নিয়ে আলোচনা হোক। সুতরাং ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেসকে সবচেয়ে বড় দল হিসাবে অনেকটা সংযত ভূমিকা এবং নি ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে রাজ্যে রাজ্যে জোট গঠনের ক্ষেত্রে। আসন সমঝোতার বিষয়ে কংগ্রেসকে অনেকটা নমনীয় মনোভাব পোষণ করতে হবে। যদিও কংগ্রেস অন্দরের খবর, আপ, সমাজবাদী পার্টি, উদ্ধব সেনার সাথে আসল সমঝোতা নিয়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের সর্বাগ্রে এই ইগো ভাবনা পরিত্যাগ করতে হবে। তিন রাজ্যে কংগ্রেসের হার থেকে কংগ্রেসকে শিক্ষা নিতে হবে। মধ্যপ্রদেশে কয়েকটা আসন সমাজবাদী পার্টিকে ছাড়া যেতো।কিন্তু কমল নাথ এতে রাজি হননি।তেমনি রাজস্থানেও অশোক গেহলেট কিংবা ছত্তিশগড়েও ভূপেশ বাঘেল অন্য শরিক দলগুলিকে ধর্তব্যের মধ্যে আনেননি।ফলে ভোট কাটাকাটি হয়েছে অনেক।সুযোগ নিয়েছে বিজেপি।উত্তর ভারতের তিন রাজ্যে ইন্ডিয়া জোট হিসাবে লড়লে ফল নি:সন্দেহে আরও ভালো হতো বিরোধীদের এবং লোকসভার আগে ইন্ডিয়া জোটের একটা রিহার্সাল হয়ে যেতো।কিন্তু কংগ্রেসের একগুঁয়েমির জন্য তা হয়ে ওঠেনি।কংগ্রেস বিরোধী দলগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় দল।ক্ষমতায় না থাকার যন্ত্রণা কংগ্রেস টের পাচ্ছে।কিন্তু বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলির সেক্ষেত্রে এতটা উচ্চাসা নেই। তারা রাজ্য নিয়েই সন্তুষ্ট। কেন্দ্রের ক্ষমতায় এলে ভালো।না এলেও ক্ষতির কিছু নেই।

যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় – তিনি পশ্চিমবঙ্গ নিয়েই সন্তুষ্ট। কেন্দ্রে ক্ষমতায় না এলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছু এসে যাবে না। একই অবস্থা স্ট্যালিন থেকে নীতীশ, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। কিন্তু কংগ্রেস দিল্লীতে ক্ষমতায় না এলে তার অনেক কিছু এসে যাবে।সেক্ষেত্রে কংগ্রেসকে লোকসভা নির্বাচনকে এবার পাখির চোখ করে এগোতে হবে। রাজ্যে রাজ্যে দলগুলির সাথে আসন সমঝোতা করতে হবে একেবারে নিখুঁতভাবে। প্রয়োজনে কংগ্রেসকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। তাহলেই যদি ইন্ডিয়া জোটের কিছু হয় লোকসভা নির্বাচনে। না হলে কিন্তু মোদির বিজয়রথ থামাবার লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।

Dainik Digital

Share
Published by
Dainik Digital

Recent Posts

এ কে-৪৭ ও প্রচুর কার্তুজ সহ ৬ বৈরী ধৃত মিজোরামে, চাঞ্চল্য!!

অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…

23 hours ago

ফাইফরমাশ খাটছেন টিএসআর জওয়ানরা !!

অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…

24 hours ago

ইন্ডিগো আরও একটি দিল্লীর বিমান চালু করছে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…

24 hours ago

ইন্দ্রপ্রস্থে ভোট!!

দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…

24 hours ago

বহিঃরাজ্যে গেল “ধানি লঙ্কা”ওরফে ধান্না মরিচ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…

2 days ago

কুম্ভ ইকনমি

২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…

2 days ago