জ্বর-কাশি হতে পারে মারাত্মক ভাইরাসের সংক্রমণ।

 জ্বর-কাশি হতে পারে মারাত্মক ভাইরাসের সংক্রমণ।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সর্দি-কাশির সমস্যা। এখন ছোট-বড় কম-বেশি সবাই মৌসুমী সর্দি-কাশি ও জ্বরে ভুগছেন। তবে এসব লক্ষণ কিন্তু ইনফ্লুয়েঞ্জারও হতে পারে।এরই মধ্যে ‘এইচ৩এন২ ভাইরাস’-এর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে।এই ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ হিসেবে অনেকেই উচ্চ জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত উপসর্গ অনুভব করছেন।বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ক্যাটাগরির অন্যান্য ভাইরাসের তুলনায় এই ভাইরাস মারাত্মক। এর লক্ষণগুলো করোনা ভাইরাসের মতো, যা ২-৩ সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। এর লক্ষণগুলো গুরুতর তবে এটি প্রাণঘাতী নয়।বিগত কয়েক সপ্তাহে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে কাশি ও জ্বর একটি সাধারণ সমস্যা। তবে এটি উদ্বেগের বিষয় যে, মানুষ স্বাভাবিক কাশি ও জ্বরের সঙ্গে ‘এইচ৩এন২’ ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট উপসর্গ বুঝতে পারে না সহজেই।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ‘এইচএন২’ ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ কী কী। এই ভাইরাস কীভাবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রভাবিত করে ও আপনার কী করা উচিত।উচ্চ জ্বর উপেক্ষা করবেন না : বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ভাইরাস আক্রমণের কারণে উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর হতে পারে। যার সঙ্গে কাঁপুনিও হতে পারে। ক্রমাগত কাশি: এই ভাইরাসের আক্রমণের কারণে জ্বরের সঙ্গে একটানা কাশি হতে পারে। এই কাশি সাধারণ কাশি নয়, এটি বিরক্তির কারণ হতে পারে। কাশির পাশাপাশি, গলায় কর্কশতা ও কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হতে পারে। উপসর্গ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে: ‘এইচ৩এন২’ ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট উপসর্গ ২-৩ সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। বেশিরভাগের ২-৩ দিন ধরে প্রচণ্ড জ্বর থাকে। এর পাশাপাশি শরীরে ব্যথা, মাথা ব্যথা ও গলায় অস্বস্তি পারে। কাশি ২-৩ মাস স্থায়ী হতে পারে। অনুভূত হতে বলা হচ্ছে, জ্বর-কাশি ছাড়াও ‘এইচএন ২’ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঠান্ডা, ব্রঙ্কাইটিসের মতো ফুসফুসের অ্যালার্জি, শ্বাস নিতে অসুবিধা, বুকে অস্বস্তির মতো উপসর্গও দেখা যাচ্ছে।ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে করণীয়: সাবান জল দিয়ে আপনার হাত ধোওয়া। মাস্ক পরুন। নাক ও চোখ স্পর্শ করবেন না। হাঁচি-কাশির সময় মুখ ও নাচ ঢেকে রাখুন। প্রচুর জল পান করুন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.