এক সময় সন্ত্রাসবাদীদের মুক্তাঞ্চল ছিলো উত্তরপূর্বের ছোট রাজ্য এমণিপুর। সেই এক দীর্ঘ ইতিহাস। কিন্তু সেই কালো ইতিহাস পেছনে ফেলে, ধীরে ধীরে মণিপুর খবরের শিরোনামে উঠে আসে ভারতীয় বক্সার মেরি কমের অনবদ্য কীর্তির জন্য। দ্রুত পাল্টে যেতে থাকে মণিপুর। দেখতে দেখতে মণিপুর হয়ে উঠে দেশের অন্যতম প্রধান ক্রীড়াবিদদের রাজ্য হিসাবে। মণিপুর থেকে উঠে আসতে থাকে একের পর এক সফল খেলোয়াড়। যারা ক্রীড়াজগতের বিভিন্ন স্তরে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। হিংসা ভুলে এক নতুন মণিপুর যখন একের পর এক কীর্তি স্থাপন করে চলেছে, আর ঠিক তখনই মণিপুরে ফের নেমে আসে হিংসার অন্ধকার।বর্তমানে পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে ভারত সরকার আর্টিকেল ৩৫৫ ব্যবহার করে মণিপুরকে পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে।কেন্দ্ৰীয় বাহিনী ও সেনা ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। পাহাড় বা সমতল, পুরো মণিপুর জুড়েই হিংসার খবর পাওয়া যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই মহিলা ও শিশুদের অবস্থা শোচনীয়। জ্বলছে বাড়িঘর, বন্ধ কৃষিকাজ। চলছে কার্ফিউ, বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। জারি রয়েছে দেখামাত্র গুলীর নির্দেশ। তারপরও থামছে কই হিংসা?কেন হিংসার আগুনে পুনরায় অশান্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর ? তা নতুন করে বলার কিছু নেই। এই ইতিহাস অনেক পুরনো। নতুন করে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। জাতি বিদ্বেষের বীজ বহু আগে থেকেই রোপণ করা আছে। সাম্প্রতিককালে মণিপুর সরকারের একটি সিদ্ধান্ত এবং মণিপুর হাইকোর্টে একটি রায় – নতুন করে হিংসার আগুনে ঘি ঢেলেছে বলে সংশ্লিষ্ট সব মহলের অভিমত। বর্তমানে মণিপুরে চলছে ডবল ইঞ্জিনের সরকার। তাই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে বিষয়টি চরম উদ্বেগের এবং মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস সহ তামাম বিরোধী দলগুলি বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে কামান দাগিয়ে যাচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে উভয় সংকটে কেন্দ্রীয় সরকার।এরই মধ্যে গতকাল শুক্রবার একপ্রস্থ নাটক মঞ্চস্থ হলো মণিপুরে। হিংসায় লাগাম টানতে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং-কে সরে যাওয়ার জন্য বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব নির্দেশ দিলেও, শেষপর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। শুক্রবার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাজভবনে যাওয়ার পথে দলের অনুগামীরা তা ছিঁড়ে ফেলে দেয় বলে খবর। এরপর বীরেন সিংও টুইট করে জানিয়ে দেন, তিনি পদত্যাগ করছেন না। এতে নতুন করে সংকট তৈরি হয়েছে।খবরে প্রকাশ, মণিপুরে কেন্দ্র এখনই বিকল্প সরকার গড়ার পক্ষপাতী নয়। জাতিদাঙ্গা শুরুর পর বিজেপির বিধায়কদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিলেও পরিষদীয় দলে ভাঙন ধরেনি। কারণ, বিরোধী দল কংগ্রেস এখন যেখানে শাসক দলে ভাঙন ধরানোর জায়গায় নেই। তারপরও বীরেন সিং-এর উত্তরসূরি বাছাই করা কঠিন হয়ে পড়েছে বিজেপি নেতৃত্বের কাছে। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। বিধায়ক দলে মেইতেইরাই সিংহভাগ। এই অবস্থায় মেইতেই সম্প্রদায় থেকে কাউকে বীরেনের উত্তরসূরি বাছাই করা ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে, কুকি বিধায়কদের কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করাও সমান সমস্যার। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারিই একমাত্র পথ। কিন্তু সেখানেও দলের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। কারণ, বিজেপি শাসিত রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি আসলে দলীয় সরকারের ব্যর্থতাই প্রমাণ করে। সব মিলিয়ে উত্তরপূর্বের মণিপুর রাজ্য এখন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের চরম মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনও ওষুধেই যেন মাথাব্যথা ছাড়তে চাইছে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে আর কতদিন মণিপুর জ্বলতে থাকবে ? রাজনীতির লাভ লোকসান হিসাব করতে গিয়ে মানুষের জীবন নিয়ে আর কতদিন কাটা ছেঁড়া করা হবে? আজ মণিপুর জ্বলছে। কাল যে অন্য কোনও রাজ্যে এর প্রভাব এসে পড়বে না, তার গ্যারান্টি কোথায় ? তাই আর সময় নষ্ট না করে এখনই কঠোর হাতে হিংসা দমন করতে না পারলে, আগামী দিনে পরিস্থিতি কিন্তু আরও ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…