অনলাইন প্রতিনিধি :-এক সপ্তাহকালের বেশি সময় ধরে জ্বালানি সংকটে জেরবার এ রাজ্য।বলা যায় এই জ্বালানি সঙ্কটের বেশি ছ্যাকা লেগেছে রাজধানী শহর আগরতলাতেই। ২০১৬ সালের পর প্রায় ৮ বছর পর ফের একবার জ্বালানি সংকট এত মারাত্মক আকার ধারণ করলো রাজ্যে।কিন্তু কোনওবারই অতীত থেকে শিক্ষা নিচ্ছে না রাজ্য সরকার।কয়েক বছর পরপরই জ্বালানি সংকট রাজ্যে দেখার পর কিছুদিন হৈচৈ হয়।কিছু উদ্যোগ দেখা যায়।পত্রপত্রিকায় খবর হয়, দীর্ঘ লাইনের ছবি বেরোয় পত্রিকায়।তা মিটলে আবার যেই কি সেই।এবারের জ্বালানি সংকটের তীব্রতা যেন একটু বেশিই।আট বছর আগের অবস্থা এখন আর নেই।আট বছরে যানবাহন বেড়েছে রাজ্যে কয়েকগুণ,বিশেষ করে রাজধানী আগরতলা,সেই সাথে রাজ্য পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেট্রোল, ডিজেলের চাহিদাও।কিছু বেড়েছে ডিপোতে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় তা এখনও অপ্রতুল বলা যায়।বর্ষা মরশুম শুরুই হয়নি এখনও।এই অবস্থায় পেট্রোল, ডিজেল সংকট যদি রাজ্যে চরম আকার ধারণ করে তাহলে বর্ষা শুরু হলে রেললাইন, সড়কপথের অবস্থা যদি আবার বেহাল হয় তাহলে কী অবস্থা হবে
ভাবলেই গা একবারে শিউরে উঠছে।
আসামের পাহাড় লাইনে অতিবৃষ্টিতে রেলপথ প্রভাবিত হয়েছে।তাতে রেলের মাধ্যমে মালবাহী পেট্রোপণ্য রাজ্যে আসতে পারছে না ফলে এই তেল সংকট। কিন্তু প্রশ্ন হল রাজ্যের বাফার স্টক কোথায়।একদিন /২দিন যদি রাজ্যে তেল না আসে তাহলে রাজ্যে যদি এই ধরনের চরম পেট্রোপণ্য সংকট দেখা দেয় তাহলে তাতো ভবিষ্যতের জন্য সুখকর বার্তা বয়ে আনার কথা নয়।
ধর্মনগরে একটি আইওসির তেলের ডিপো রয়েছে।সেই ডিপোতে কি বাফার স্টক রাখার মতো পরিকাঠামো নেই?কেন একদিন বা দুদিন তেলবাহী গাড়ি রাজ্যে না এলে ভয়াবহ তেল সংকটের মুখোমুখি হতে হবে রাজ্যকে?রাজ্য সরকার কী করছে?
রাজধানী আগরতলার অদূরে সেকেরকোটে একটি তেলের ডিপো করার প্রস্তাব রয়েছে।বাম আমল থেকে রাম আমলে ভাঙা রেকর্ড বেজেই চলেছে।তেলের ডিপো আর হচ্ছে না।
পাহাড় লাইন একটু বৃষ্টি হলেই যদি রাজ্যে পেট্রোপন্য এত আকাল দেখা দেয় তাহলে এত ডাবল ইঞ্জিনের প্রচার দিয়ে কী হবে? অবস্থা তো সেই তিমিরেই রয়ে যাচ্ছে?বিকল্প কেন কোন চিন্তাভাবনা কেন নেই রাজ্য সরকারের?
তেলের এই সংকট চলছে রাজধানী সহ গোটা রাজ্যে এক সপ্তাহেও বেশি সময় ধরে।রাজ্য সরকারের টুঁ শব্দটি নেই।মুখ্যমন্ত্রী শুধু
কেন্দ্রকে একটি চিঠি লিখেছেন। খাদ্য দপ্তর নামে যে একটি দপ্তর রয়েছে তার অস্তিত্ব বোঝা যাচ্ছে না। মানুষ লাইনে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তা নোটবন্দির লাইনই হোক কিংবা কোভিডের ভ্যাকসিনের লাইনই হোক কিংবা পেট্রোল, ডিজেল সংগ্রহের জন্য লাইনই হোক।মানুষের তা গা সওয়া হয়ে গেছে।দিনের পর দিন মানুষ রাস্তায় লাইন দিচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা সব কাজ ফেলে শুধু একটু পেট্রোল, ডিজেল সংগ্রহের জন্য।সিএনজির ও এখই অবস্থা।গাড়ি ঘোড়া বাড়ছে।তুলনায় ফিলিং স্টেশন কম।ফলে মানুষ একন রাস্তায় কেবলই লাইন দিতে ব্যস্ত।আর সরকার ব্যস্ত অন্যদিকে।দপ্তরের কোনও ভূমিকা নেই।আবার পেট্রোপণ্যের এই সংকটের সময় কালোবাজারিও যথারীতি চলছে বলে খবর আছে।খবর এসেছে, তেল সংগ্রহ ঘিরে পুলিশের সাথে সাধারণ মানুষের সাময়িক খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে।আরও কিছুদিন এই অবস্থা চললে তো গৃহযুদ্ধের উপক্রম হবে। ডিজেলের এই সংকট মেটাতে অবিলম্বে সরকারকে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করা দরকার।একই সাথে সরকারকে বিকল্প ভাবনাযচিন্তা করা দরকার।বিশেষ করে বর্ষার সময় রাজ্য যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেট্রোল, ডিজেল মজুত রাখা যায় সে নিয়েও রাজ্য সরকারকে ভাবনাচিন্তা করা দরকার।বিষয়টি মানুষের নিত্যদিনের কর্মকাণ্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।সাধারণ মানুষ এর থেকে পরিত্রাণ চাইছেন।
দিল্লী বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যেন প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ভোটারদের মন…
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…