অনলাইন প্রতিনিধি :-আগামী ৩ ডিসেম্বর পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা আগামী হবে।
ঠিক তার পরদিনই ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন।ইতিমধ্যেই সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী শীতকালীন অধিবেশন আহ্বানের ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছেন,আসন্ন অধিবেশন মোট ১৯ দিনের হলেও সভা বসবে ১৫ দিনের জন্য।আর পাঁচটা সাধারণ অধিবেশনের মতো সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা এবং সাংসদগণ নিয়মিত আলোচনার উপর তাদের গুরুত্বপূর্ণ মত প্রকাশ করবেন।সেই দিক থেকে বিশ্লেষণ করলে শীতকালীন অধিবেশনকে ঘিরে আলাদা করে গুরুত্ব আরোপ করার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। কিন্তু অন্যান্য অধিবেশনের তুলনায় এবারের শীতকালীন অধিবেশন গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বিভিন্ন পরিস্থিতি জনিত কারণে।প্রথমত, আর মাস চার বাদেই দেশে লোকসভার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।সেই অর্থে লোকসভার আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনের পর স্বল্প দিনের জন্য আরেকটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে বাজেট প্রণয়নের জন্য। যেহেতু ভোটের বছর,তাই পূর্ণাঙ্গ বাজেটের পরিবর্তে সেটা হবে ভোট অন অ্যাকাউন্ট।তাই শীতকালীন অধিবেশনের পর আরও একটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ থাকলেও এবারের অধিবেশনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি দণ্ডবিধি, এবং অ্যাভিডেন্স অ্যাক্টের বদলে তিনটি নতুন বিধি প্রণয়ন করতে চাইছে সরকার।সেই লক্ষ্যে আসন্ন ৪ ডিসেম্বরের অধিবেশনে এই তিনটি বিল সভায় পেশ হতে পারে। স্বরাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী কমিটি সম্প্রতি এই তিনটি বিষয়ে প্রতিবেদন গ্রহণ করেছে।রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের অনুমান এই তিনটি বিল ছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংসদে পেশ করা হবে।সেটা হলো প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বিল। এতকালের বিধি ব্যবস্থা অনুযায়ী দেশের নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কমিটিতে দেশের প্রধান বিচারপতির অংশগ্রহণ আবশ্যিক ও বাধ্যতামূলক ছিল।কিন্তু নতুন যে বিল সংসদে আনা হচ্ছে তাতে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্রক্রিয়ায় কমিটি থেকে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।সর্বশেষ অধিবেশনে এই বিলটি অধিবেশনে তোলা হয়েছিল। কিন্তু দেশের সমস্ত বিরোধী দলগুলোর তীব্র আপত্তি এবং প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনারদের প্রতিবাদ ও সমালোচনার মুখে সরকার পিছু হটতে বাধ্য হয়।স্বাধীনতার অমৃতকালে সংসদের যে বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছিল তাতে বিলটি পেশ করেও শেষ পর্যন্ত তুলে নেওয়া হয়।সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত লোকসভার বিশেষ অধিবেশনে যদিও সরকার পক্ষ মোট ৫ টি বিল উত্থাপন করেছিলেন।কিন্তু শুধুমাত্র নারীশক্তি বন্ধন অধিনিয়ম বা মহিলা সংরক্ষণ বিলটিই পাস হয়েছিল।এমন একটা সময়ে এবারের সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে, যখন ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা এবং মিজোরামের ভোট গণনার পরদিনই সংসদে মুখোমুখি হচ্ছেন রাজনৈতিক জন প্রতিনিধিগণ।যদিও ২ ডিসেম্বর অর্থাৎ গণনার আগের দিন সর্বদলীয় বৈঠকেও ডাকা হয়েছে। এবারের ৫ রাজ্যের ভোটকে ২০২৪-এর সেমফাইন্যাল বলা হচ্ছে।স্বাভাবিক কারণেই সেমিফাইনালের ফলাফলের উত্তাপ অধিবেশনে অবশ্যই প্রতিফলিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।নির্বাচনের ফলাফল শাসক কিংবা বিরোধী জোট যেদিকেই ভারী হোক না কেন লোকসভার ফাইনালের আগে এর রেশ যে জাতীয় রাজনীতিতে, সংসদের ভেতরে কিংবা বাইরে সর্বত্র ছায়া ফেলবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।সেই সাথে কিছু বিল নিয়ে বিতর্ক ও আপত্তির বিষয়টিও মুখ্য হয়ে উঠতে পারে।আবার সংসদীয় এথিক্স কমিটির প্রস্তাব মেনে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বহিষ্কার সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও শোরগোলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।সাধারণ নভেম্বর মাসের মাঝামাঝিতেই বসে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন।কিন্তু এবছর ব্যতিক্রম ঘটেছে।স্বাভবিকভাবেই ব্যতিক্রমী সময়ে এই আসন্ন অধিবেশন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও রাজনৈতিকভাবে সূদূর প্রসারী হতে চলেছে তা নিশ্চিতভাবেই বলে দেওয়া যায়।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…