ঝাঁপ পড়ছে ১৬০টি স্কুলে, বিপাকে ছাত্রছাত্রী!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে নতুন করে আরও ১৬০টি স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। গত পাঁচ বছরে রাজ্যে ৯৬১টি সরকারী স্কুল পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে।এর ফলে বিপাকে পড়েছেন হাজারও ছাত্রছাত্রী।এমনকী এই স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্তের দৌলতে হাজারও শিক্ষক-কর্মচারীর শূন্যপদও অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।যার ফলে বেকারের সরকারী চাকরির সুযোগও কমেছে।
জানা গেছে, নতুন করে পশ্চিম জেলায় আরও ১৬০টি স্কুল বন্ধের বিষয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সিলমোহর প্রদান করছে রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তর। এক্ষেত্রে শিক্ষা দপ্তরের বক্তব্য হলো, এই স্কুলগুলিতে পাঠরত ছাত্র থেকে শিক্ষক-কর্মচারীর হার বেশি। এর ফলে দপ্তরের কোষাগার ফাঁকা হচ্ছে। তাই স্কুল একত্রিকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।ছাত্রছাত্রীর স্বাথে স্কুলগুলি বন্ধ করতে হচ্ছে। জানা গেছে, এই স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্তের জন্য এখন পর্যন্ত তিন হাজার একশো তিনটি অস্নাতক শিক্ষকের পদ সহ ২৮৮টি শিক্ষাকর্মীর পদ রাজ্যে অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। এখন নতুন করে ১৬০টি স্কুল বন্ধের মাধ্যমে আবারও ১০৯৯টি শিক্ষক-কর্মচারীদের পদ রাজ্যে অবলুপ্ত হয়ে যাবে।
শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার অধীনে থাকা ১৬০টি স্কুলকে একত্রিকরণ করার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্তমানে ১৬০টি স্কুলে ৩৩০৭ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে। এই স্কুলগুলিকে সর্বোচ্চ পাঁচ কিলোমিটার দূরবর্তী স্কুলের সাথে সংযুক্তিকরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু একত্রিকরণের জন্য চিহ্নিত ৯৫টি স্কুলের কোনও সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই। শুধু তাই নয়, রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলোতেও স্কুল একত্রিকরণের জন্য লম্বা তালিকা তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এখন নতুন করে ধাপে ধাপে একত্রিকরণের অজুহাতে প্রায় ১৮৮টি স্কুলকে বন্ধ করা হবে।এর মধ্যে এডিসি এলাকার প্রায় ৫৮৮টি স্কুল রয়েছে। শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, এডিসির এই ৫৮৮টি স্কুলে একজনও শিক্ষক নেই।
শিক্ষা দপ্তরের এই স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। কারণ শিক্ষা দপ্তর বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।এমনকী কেন স্কুলগুলির এই পরিণতি হলো।এ নিয়েও কোনও বৈঠক নেই। অভিযোগ, এই সিদ্ধান্তের জন্য রাজ্যের হাজারও গরিব পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। রাজ্যে স্কুলছুট ছাত্রের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
এদিকে,এসএফআই-টিএসইউ’র অভিযোগ, রাজ্যের সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে একের পর এক ছাত্রবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছে।রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে এই সরকার তৎপর রয়েছে। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার তুঘলকি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। শিক্ষা সংক্রান্ত সংগঠন ও শিক্ষানুরাগী জনগণ একত্রিতভাবে সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছিল। সম্মিলিত প্রতিবাদের মুখে ছাত্রবিরোধী সিদ্ধান্তগুলি বাস্তবায়িত করতে সরকারকে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। ছাত্রবিরোধী সিদ্ধান্তগুলি বাস্তবায়নে পিছু হটলেও তাদের পরিকল্পনা থেকে সরে আসেনি।
এসএফআই-টিএসইউ এই সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত ছাত্রবিরোধী এবং সর্বোপরি গণশিক্ষার পরিপন্থী বলে মনে করে।অবিলম্বে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবি জানাচ্ছে।যদি তা না হয় তবে সারা রাজ্যে বিক্ষোভ প্রতিবাদ হবে বলে সরকারকে হুঁশিয়ারি দেয়।

Dainik Digital

Recent Posts

নিগো – অন্ধ প্রশাসন!!

নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…

21 hours ago

বিমানযাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে পুলিশের তদন্ত শুরু!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…

21 hours ago

হরিয়ানাঃ পাল্লা কার পক্ষে?

হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…

2 days ago

রাজধানীতে চাঁদার জুলুমে অতিষ্ঠ মানুষ!!

অনলাইন প্রতিনিধি:-মুখ্যমন্ত্রীডা. মানিক সাহার নির্বাচনি এলাকার আপনজন ক্লাবের চাঁদার নামে বড় অঙ্কের তোলাবাজির অভিযোগের রেশ…

3 days ago

ইন্ডিয়ান বুকে রাজ্যের মেয়ে ঝুমা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ইচ্ছে ছিলো অনেক আগে থেকেই। অবশেষে নিজের ইচ্ছেকেই বাস্তবে পরিনত করলো ঝুমা দেবনাথ।…

3 days ago

সুশাসনে আইনশৃঙ্খলা!

রাজ্যে কি সত্যিই আইনের শাসন রয়েছে?সাধারণ মানুষ কিন্তু প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।সরকার বলছে রাজ্যে সুশাসন…

3 days ago