কথায় আছে ‘সকাল দেখলেই আন্দাজ করা যায় সারাদিন কেমন হতে পারে। রাজনীতিতেও আজ একরকম তো কাল আরেকরকম । সময় ও পরিস্থিতির সাথে সাথে রাজনীতিরও গতি পরিবর্তন হয় । পট পরিবর্তন হয় । আজ যে ক্ষমতায় আছে , কাল সে ক্ষমতায় নাও থাকতে পারে । আবার উল্টোভাবেও বিষয়টি বলা যায় । আজ যিনি বা যারা ক্ষমতায় নেই , কাল দেখা যাবে তাদের হাতেই ক্ষমতা । রাজনীতিতে এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া । গণতন্ত্রের আসল মজা ও মহিমা এখানেই । আজ যে রাজা কাল সে ফকির ‘ । আবার আজ যিনি ফকির কাল যে সে রাজা হবে না – তার কোনও গ্যারান্টি নেই । -কথাগুলি বলার একটাই কারণ , সাম্প্রতিক কালে রাজনীতিতে অনেকগুলি পরিবর্তন ঘটে গেছে । সেই পরিবর্তনের সাথে সাথে রাজনীতির পট পরিবর্তন হয়েছে । স্থিতি বদল হয়েছে , এখনো হচ্ছে । রাজনীতির গতিমুখ অন্যদিকে বাঁক নিয়েছে । রাজ্য রাজনীতিতে দ্রুত নয়া সমীকরণ তৈরি হচ্ছে । রাজনীতির এটাই বৈশিষ্ট্য । কোনও কিছুই স্থায়ী নয় । তবে একটা বিষয় বলতেই হবে , সব পরিবর্তনেই যে ভালো কিছু হবে এমন ভাবার কোনও কারণ নেই । খারাপও হতে পারে । তবে জনগণ সবসময় ভালোটাই আশা করে ।
ভালো কিছু হবে , এমন ভাবনাই মনে পোষণ করে ।সাম্প্রতিককালে রাজ্য রাজনীতিতে যে পট পরিবর্তন হয়েছে , তাতে কি আগামী দিনে শাসকদল ও রাজ্যবাসীর ভালো হবে ? নাকি খারাপ হবে ? এই প্রশ্নই এখন সবথেকে বড় হয়ে উঠেছে । কারণটাও স্পষ্ট । যে যাই বলুক , এই পট পরিবর্তনে মোটেই সুখ ও শান্তিতে নেই শাসকদল । বলতে গেলে সুখ পাখি খাঁচা ছেড়ে বেরিয়ে গেছে । চরম অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে দলের অন্দরে । আরও স্পষ্ট করে বললে রাজ্য বিজেপির অন্দরে একেবারে আড়াআড়িভাবে ফাটল ধরেছে । কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে বড় ধরনের অশান্তি ও বিদ্রোহের সংকেত । চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে নজিরবিহীনভাবে বহিঃরাজ্য থেকে নেতা আমদানি করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চললেও , সেই চেষ্টা কতটা সফল হবে সেটা অবশ্য সময়েই জানা যাবে । এই কথা বলার একটাই কারণ , কোনও রাজ্যে উপ – নির্বাচনে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বহিঃরাজ্যের তিন নেতাকে নির্বাচনি প্রভারী করে পাঠানোর নজির নেই বললেই চলে । তাও যে রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে দল । ফলে পর্দার আড়ালে , চোখের আড়ালে , তলে তলে যে অনেক কিছুই ঘটে চলেছে- তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই ।
শুধু তাই নয় , আগামী দিনে যে আরও অনেক কিছু ঘটবে – তারও স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। । বিষয়টি , আরও একটু খোলসা করলে হয়ত সুবিধা হবে । গতকাল শনিবার বহু টালবাহানা ও জল্পনাশেষে শাসকদলের চার ঘোষণা হয়েছে । সেই ঘোষণার ছত্রিশ ঘন্টা পার হয়ে যাওয়ার পরেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের কোনও বার্তা নেই ! চার প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তাঁর কোনও টুইট বা পোস্ট নেই ! বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল । তাঁর এই রহস্যজনক নীরবতা অন্য কোনও ‘ ঝড়ের পূর্বাভাস ’ নয়তো ? একসময় রাজ্যদলে তার বিরুদ্ধে একাংশের বিদ্রোহের সুর শোনা গিয়েছিলো । সেই ইতিহাস এখন অতীত । সময় ও স্থিতি পরিবর্তনের সাথে সাথে এখন তাঁকে কেন্দ্র করেই নতুন বিদ্রোহের সূত্রপাত হবে না তো ? রাজনৈতিক মহল সেই আশংকাই করছে । দুইদিন আগে বলেছিলেন , দিল্লী থেকে তিনি ৬ জুন রাজ্যে আসবেন । উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বেন । সেই সাথে দলের চার প্রার্থীর জয়কে নিশ্চিত করবেন বলে দাবি করেছিলেন । ৬ জুন তিনি আসছেন ঠিকই , কিন্তু তাঁর সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া কর্মসূচিতে শুধু উল্লেখ আছে ‘ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার র্যালিতে অংশ নেবেন ‘ । যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে ।রাজনৈতিক বিভিন্ন মহল থেকে যে সংকেত পাওয়া যাচ্ছে তা কিন্তু শাসকদলের জন্য মোটেও সুখকর নয় । উপ নির্বাচনের পর ফের বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠতে পারে দলের অন্দরে । শুধু তাই নয় , রাজ্য রাজনীতির নয়া সমীকরণও তৈরি হতে পারে । এমন সম্ভাবনা কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না । তবে সবটাই নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপর । আগামী দিনে কী কী ঘটতে চলেছে তার উপরই নজর থাকবে রাজ্যবাসীর ।
একা রামে রক্ষা নেই, সুগ্রীব দোসর। কথাটা বোধহয় এক্ষেত্রে একেবারে যথার্থভাবে ধ্বনিত হয়।গত কয়দিন ধরেই…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রিলায়েন্স গ্রুপ রাজ্যের প্রাকৃতিক সম্পদগুলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মঙ্গলবার বিধানসভায়…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমান যুগে হৃদরোগ জনিত সমস্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও জীবনঘাতী…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমানে রাজ্যেনয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন রয়েছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই, আমাদের…
অনলাইন প্রতিনিধি:-তপন স্মৃতি নকআউট ক্রিকেটের দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে হার্ভেকে নকআউট করে তপনের সেমিতে সংহতি!!খেলার…