টাটা গ্রুপের সাথে লিজ এগ্রিমেন্ট,কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে পুষ্পবন্ত প্যালেস : মুখ্যমন্ত্রী!!

 টাটা গ্রুপের সাথে লিজ এগ্রিমেন্ট,কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে পুষ্পবন্ত প্যালেস : মুখ্যমন্ত্রী!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-পুষ্পবন্ত প্যালেসে পাঁচতারা হোটেল নির্মাণ নিয়ে বহু জল্পনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বলেছিলেন, হোটেল নির্মাণ হলে পর্যটন শিল্পের যেমন বিকাশ ঘটবে, তেমনি হোটেল ও পর্যটন শিল্পের সাথে যুক্তদের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই লক্ষ্যে হোটেল নির্মাণ হচ্ছেই। মৌ স্বাক্ষরের পর মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রতিশ্রুতির আরও একধাপ এগিয়ে লিজ এগ্রিমেন্ট হলো টাটা গ্রুপের ইন্ডিয়ান হোটেল কোম্পানি লিমিটেড এবং ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দপ্তরের মধ্যে। অনুষ্ঠান থেকে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হোটেলটিতে স্থানীয় ২০০-এরও বেশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
ত্রিপুরা ইনস্টিটিউশন ফর ট্রান্সফরমেশন কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে রাজ্যে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের ধারাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এই লিজ এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হলো। এতে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী,মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, পর্যটন দপ্তরের সচিব ইউকে চাকমা, পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তা প্রশান্ত বাদল নেগি, মুখ্যমন্ত্রীর ওএসডি পরমানন্দ সরকার ব্যানার্জি, ইন্ডিয়ান হোটেল কোম্পানি লিমিটেডের এরিয়া ডিরেক্টর অ্যান্ড জেনারেল ম্যানেজার জয়ন্ত দাস প্রমুখ।লিজ এগ্রিমেন্ট নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী ডা.মানিক সাহা এ দিন বলেন, এই এগ্রিমেন্টের ফলে রাজ্যে আগত পর্যটকরা ত্রিপুরার মহারাজাদের ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং রাজ্যের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।পর্যটকরা হোটেলে থাকার পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী মাতাবাড়ি, নীরমহল, উনকোটি পর্যটন কেন্দ্রগুলি সহ রাজ্যের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও ভ্রমণ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, টাটা গ্রুপের কোনও হোটেল স্থাপনে এই প্রথম কোনও রাজ্য সরকারের সাথে টাটা গ্রুপের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইন্ডিয়ান হোটেল কোম্পানি লিমিটেড (পুরাতন রাজভবন) পুষ্পবন্ত প্যালেসের ৭.৭৮ একর এলাকাজুড়ে হোটেল নির্মাণের কাজ শুরু করবে। হোটেলটিতে রাজন্য আদলের ১০০টি কক্ষ থাকবে। এছাড়াও ৪টি এক্সক্লুসিভ কক্ষ নির্মাণ করা হবে এতে। পর্যটকদের রাজকীয় অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য কয়েকটি সিগন্যাচার স্যুইট রুমও থাকবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, হোটেলটিতে প্রতিটি কক্ষের আয়তন হবে ৪০ বর্গমিটার। এছাড়াও থাকবে ওয়েলনেস এলাকা, সুইমিং পুল, ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য ক্লাব, ফিটনেস সেন্টার, ব্যাঙ্কোয়েট হল সহ আরও অন্যান্য বিনোদন সামগ্রী। টাটা গ্রুপের হোটেল নির্মাণের ফলে তাদের বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ-বিদেশের পর্যটকরাও রাজ্যে আসবেন বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এ দিন বলেন, এই দিনটি ত্রিপুরা রাজ্যের জন্য গৌরবময় দিন। এই হোটেল নির্মাণের কয়েকমাস আগেই মৌ স্বাক্ষরিত হয়। আজ লিজ এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরের মাধ্যমে এর কাজ মূলত শুরু হয়ে গিয়েছে বলা যায়। তিনি বলেন, ১৯১৭ সালে মহারাজা বীরেন্দ্র কিশোর মাণিক্য নির্মিত পুষ্পবন্ত প্যালেসটি আগে রাজভবন ছিলো। নতুন রাজভবন নির্মাণ হওয়ার পর প্যালেসটি অব্যবহৃত অবস্থায় থেকে যায়। কিন্তু বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই প্যালেসটির সঠিক ব্যবহারের লক্ষ্যে চিন্তাভাবনা শুরু করে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই এ ধরনের আধুনিকমানের পাঁচতারা হোটেল রয়েছে।এ দিনের চুক্তির ফলে ত্রিপুরায়ও এ ধরনের হোটেলের পরিষেবা আগামীদিনে পাওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যে আগত পর্যটকরা শহর এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলি ভ্রমণের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও ভ্রমণ করবেন বলে আশা করা যায়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত সংকল্পের দিশায় রাজ্য সরকারও রাজ্যের উন্নয়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠনে এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।
এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, এই হোটেল স্থাপনের ফলে পর্যটন শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। নিশ্চিতভাবেই এটা বলা যায়। এধরনের পদক্ষেপ এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠনে সহায়ক ভূমিকা নেবে বলে তিনিও অভিমত ব্যক্ত করলেন এ দিন।বক্তব্য রাখেন শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, ইন্ডিয়ান হোটেল কোম্পানি লিমিটেডের এরিয়া ডিরেক্টর অ্যান্ড জেনারেল ম্যানেজার জয়ন্ত দাস প্রমুখ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.