টানা ৩৬ ঘন্টা চিৎকারে উদ্ধার মনিব

 টানা ৩৬ ঘন্টা চিৎকারে উদ্ধার মনিব

SUKI THE DOG WHO STAYED WITH HIS OWNER MARTIN CLARKE …..AFTER HE FELL DOWN A DANGEROUS RAVINE IN NORTH YORKSHIRE ….THE LOYAL CANINE STAYED WITH HIS OWNER WHO WAS HOSPITALIZED AFTER BEING RESCUED BY CLEVELAND MOUNTAIN RESCUE …SUKI FOUND BY THE MOUNTAIN RESCUE TEAM

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

একেবারে যেন সিনেমার শুটিং । প্রভু পড়ে আছেন প্রায় দুশো ফুট নিচের গর্তে আর উপরে সমানে ডেকে চলেছে তার পোষ্য সারমেয় । শেষ পর্যন্ত উদ্ধার হলেন প্রভু । আর তারপরেই নিজের চিৎকার থামিয়ে প্রভুর পিছন পিছন ছুটল একেবারে হাসপাতালের দরজা পর্যন্ত । পড়লে মনে হবে হয়তো কোন সিনেমার প্রেক্ষাপট কিন্তু তা’নয় বাস্তব ক্ষেত্রে এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তর আমেরিকার আমস্টাডাম শহরে । সপ্তাহখানেক আগেকার কথা । কিন্তু এতদিন বিষয়টা প্রকাশিত হয়নি । সম্প্রতি মার্কিন একটি টেলিভিশন চ্যানেল সারমেয়র প্রতি প্রভুর প্রেম নিয়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে ঘটনাটি সম্প্রচার করেছে । সেখানে জানা গিয়েছে ২৭ জুলাই নিজের পোষ্য সারমেয়টিকে নিয়ে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন ৭৬ বছরের বৃদ্ধ মার্টিন ক্লার্ক । নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েই হঠাৎই পা পিছলে নদীর উপকণ্ঠে থাকা একটি সুড়ঙ্গের মধ্যে গড়িয়ে পড়ে যান । এত গভীরে নদীর উপকণ্ঠে যে কোন মানুষ থাকতে পারে সেটাই ধারণার বাইরে সাধারণ মানুষের । সে জন্যই ২০০ ফুট গভীর গর্ত থেকে মার্টিনের বাঁচার আশা ছিল খুবই কম । শুধু তাকে বাঁচিয়ে দিল তার পোষ্য সারমেয় সুকি । কীভাবে সুকি তার প্রভুকে উদ্ধার করেছে তার পুরো ঘটনাটি মার্কিন ওই টেলিভিশন চ্যানেল একটি রূপক নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরেছে । সেখানে বলা হয়েছে , প্রভুকে বাঁচাতে টানা ৩৬ ঘন্টা সুড়ঙ্গের মুখে দাঁড়িয়ে চিৎকার করতে থাকে । সুকির চিৎকারের উদ্দেশ্য ছিল একটাই , পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা । একটি কুকুর দীর্ঘক্ষণ চিৎকার করছে দেখে কৌতুহল বশে এগিয়ে যান ৫৭ বছর বয়সী পথচারী টম ওয়েকেস । প্রথমদিকে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি ভার তিনিও । স্ত্রী ড্যানিয়েলের হাত ধরে স্থান পরিত্যাগ করছিলেন টম । কিন্তু তার পথরুদ্ধ করে দাঁড়ায় ফের চিৎকার , হুটোপুটি করতে থাকে সুকি । পরিস্থিতি একটু অন্যরকম বুঝে টম শেষ পর্যন্ত উদ্ধারকারী দলকে খবর দেয় । তারপর উদ্ধারকারী দল দীর্ঘ প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় উদ্ধার করে মার্টিনকে । প্রাথমিক চিকিৎসা দেখা গিয়েছে , মার্টিনের হাত- কাঁধের হাড় এবং পায়ের হাড় ভেঙে গিয়েছে । তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তিনি । তাকে সুড়ঙ্গ দুশো ফুট নিচ থেকে তুলে উদ্ধারকারী দল দ্রুতগতি নিয়ে যায় হাসপাতালে । দীর্ঘ প্রায় এক সপ্তাহ হাসপাতালে থেকে চিকিৎসায় অনেকটা সুস্থ হয়েছেন মার্টিন । নায়কের মত নিজে প্রভুকে উদ্ধার করার পরেই একেবারে রাতারাতি ‘ হিরো ‘ হয়ে গিয়েছেন সুকি । তাকে নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছেন পশুবিদরা । তারা দেখেছেন সুকি কিন্তু কোন নামিদামি প্রজাতির সারমেয় নয় । একেবারে রাস্তার কুকুর আর তাকেই বাড়িতে এনে প্রতিপালন করেছিলেন মার্টিন ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.