বিভৎস ট্রেন দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত তিনটি মালগাড়ির কামরা!!
টানা ৫ দিন জল সংকটে রাজধানী, চরম দুর্ভোগ।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের
রাজধানী শহর আগরতলায় গত পাঁচদিন ধরে তীব্র জল সংকট চলছে। শহরের মধ্যে ও পশ্চিমাংশের বেশ কিছু এলাকায় পাইপলাইনে জল সরবরাহ অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও সকাল এবং বিকালে নলবাহিত জল সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ।ফলে তীব্র ভোগান্তি সইতে হয়েছে শহরবাসীকে।
এর মধ্যে বিদুরকর্তা চৌমুহনী ও সংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু করে সংলগ্ন অংশ সহ আরএমএস চৌমুহনী, হাসপাতাল চৌমুহনী, কদমতলা, তবলা চৌমুহনী, প্যারাডাইস চৌমুহনী, রবীন্দ্র পল্লী, পোস্ট অফিস চৌমুহনী সহ কৃষ্ণনগরের একাংশে নলবাহিত জল পাওয়া যায়নি।জানা গেছে, এই সমস্যার মূলে রয়েছে শহরের ফায়ার ব্রিগেড চৌমুহনী থেকে কের চৌমুহনীর মধ্যে থাকা একটি পাইপ লাইনে জল পরিবহণ ও সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত স্যুইচ ভাল্ব সরানোর কাজ। শহরের পশ্চিমাংশের এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাঝ রাস্তায় থাকা এই স্যুইচ ভাল্বটির জন্য নিত্য দুর্ভোগ সইতে হয় মানুষকে। সকাল ও সন্ধ্যায় মানুষের কাজে বের হওয়া এবং ঘরে ফেরার সময় এই সমস্যা মাত্রা ছড়িয়ে যায়। মুখোমুখি হতে হয় তীব্র যানজটের।
এমতাবস্থায় এই স্যুইচ ভাল্বটির স্থানান্তর অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়।অবশেষে গত ৬ফেব্রুয়ারী এটি সরানোর কাজ শুরু হয়।আর এই কারণেই আগরতলার উল্লেখিত এলাকার মানুষকে টানা কয়েকদিন জল দুর্ভোগ সইতে হয়েছে।এনিয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হয় আগরতলা শহরে জল সরবরাহের দায়িত্বে থাকা জল পরিষদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিষদের এক প্রকৌশলী জল সমস্যার কথা স্বীকার করেন।তিনি বলেন, সমস্যার নিরসন হয়ে গেছে।সোমবার,১০ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা থেকে নলবাহিত জল সরবরাহ শুরু হয়ে গেছে। মঙ্গলবার,১১ ফেব্রুয়ারী
থেকে পুরোদমে সকালও বিকালে জল সরবরাহ হবে বলে জানান প্রকৌশলটি। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন ৬ ফেব্রুয়ারী থেকে জল সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে রাখা হয়নি।প্রতিদিন এক বেলা করে জল সরবরাহ করা হয়েছে।