টিআরইএসপি প্রকল্পে নিয়োগে লঙ্ঘিত সংরক্ষণ আইন, ক্ষোভ!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা
জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের অধীনে পরিচালিত টিআরইএসপি প্রকল্পে অ্যাকাউন্টস অফিসার পদে শুধু মেধা তালিকায় নীচের সারিতে থাকা প্রার্থীদের করাই নয়,মানা হয়নি ত্রিপুরা সরকারের সংরক্ষণ আইনও।এই নিয়োগে সংরক্ষণ আইন পর্যন্ত লঙ্ঘন করা হয়েছে।ত্রিপুরা সরকারের সংরক্ষণ আইন ২০০৬ অনুযায়ী সরকারী চাকরিতে জনজাতি
সম্প্রদায়ের জন্য ৩১ শতাংশ এবং তপশিল জাতি সম্প্রদায়ের জন্য ১৭শতাংশ সংরক্ষণের বিধান রয়েছে।
কিন্তু জনজাতি কল্যাণ দপ্তর
টিআরইএসপি প্রকল্পে অ্যাকাউন্টস অফিসার পদে নিয়োগে সংরক্ষণের বাইরে গিয়ে জনজাতিদের ৫৩ শতাংশ এবং তপশিলিদের ২২ শতাংশ চাকরি প্রদান করেছে।মেধা তালিকায় নীচের সারিতে থাকা সংরক্ষণ আইন ভেঙে অতিরিক্ত নিযুক্তি দেওয়া চারজন জনজাতি এবং একজন তপশিলি জাতি প্রার্থীকে গত ২০ জুন কাজে যোগদানের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্য জনজাতি কল্যাণ দপ্তর কি সংরক্ষণ আইনের বাইরে?
টিআরইএসপি প্রকল্পে অ্যাকাউন্টস অফিসারের মোট পদের সংখ্যা ছিলো ৩০টি।এরমধ্যে ইউআর-১৬, এসটি ০৯ এবং এসসি-০৫ সংরক্ষিত।এই ৩০টি পদের মধ্যে ২৩ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে।মেধা তালিকার প্রথম সারিতে থাকা প্রার্থীদের বঞ্চিত করে।৭টি পদে এখনও কোনও নিয়োগ করা হয়নি। দপ্তরের তেমন কোনও উদ্যোগও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।সবথেকে বিস্ময়কর ঘটনা হলো, এই নিয়োগে নানা অনিয়ম নিয়ে একাধিকবার পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে।কিন্তু দপ্তর রহস্যজনকভাবে নীরব। দপ্তরের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি তো দূরের কথা।একটি টু-শব্দ পর্যন্ত নেই।এই দপ্তরের মন্ত্রী হচ্ছেন বিকাশ দেববর্মা।তার ভূমিকা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে। তেমনি এই প্রকল্পের এস প্রভু এবং যুগ্ম অধিকর্তা ভি. ডার্লং-এর ভূমিকা নিয়েও বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে।
এই প্রকল্পে যাবতীয় নিয়োগে বহিঃরাজ্যের একটি বেসরকারী সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।ওই সংস্থাই যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে মেধা তালিকা তৈরি করে দপ্তরকে দিয়েছে।সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে, মেধার ভিত্তিতে সংরক্ষণের কোটার বাইরে গিয়ে এসটি ও এসসি প্রার্থীদের অসংরক্ষিত পদে নিয়োগ করা গেলেও, কোনওভাবে মেধা তালিকার প্রথম সারিতে থাকা প্রার্থীদের বঞ্চিত করে ওই সমপদে সংরক্ষণ কোটার বাইরে যাওয়া যাবে না।কিন্তু দপ্তর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা পর্যন্ত পালন করেনি।দপ্তর ঠিক উল্টো কাজটাই করেছে। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান সরকারের নীতি ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Dainik Digital

Recent Posts

নিগো – অন্ধ প্রশাসন!!

নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…

19 hours ago

বিমানযাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে পুলিশের তদন্ত শুরু!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…

19 hours ago

হরিয়ানাঃ পাল্লা কার পক্ষে?

হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…

2 days ago

রাজধানীতে চাঁদার জুলুমে অতিষ্ঠ মানুষ!!

অনলাইন প্রতিনিধি:-মুখ্যমন্ত্রীডা. মানিক সাহার নির্বাচনি এলাকার আপনজন ক্লাবের চাঁদার নামে বড় অঙ্কের তোলাবাজির অভিযোগের রেশ…

3 days ago

ইন্ডিয়ান বুকে রাজ্যের মেয়ে ঝুমা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ইচ্ছে ছিলো অনেক আগে থেকেই। অবশেষে নিজের ইচ্ছেকেই বাস্তবে পরিনত করলো ঝুমা দেবনাথ।…

3 days ago

সুশাসনে আইনশৃঙ্খলা!

রাজ্যে কি সত্যিই আইনের শাসন রয়েছে?সাধারণ মানুষ কিন্তু প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।সরকার বলছে রাজ্যে সুশাসন…

3 days ago