রাজ্য ক্রিকেটে যেন সম্পূর্ণউলোট পুরানই চলছে। একটা সময় ঘরোয়া ক্লাব ক্রিকেট টুর্নামেন্টে টিসিএকে দেখেই শুরু করতো মহকুমা ক্রিকেট সংস্থাগুলি। কিন্তু আজকাল সেই চিরাচরিত দৃষ্টান্তে সম্পূর্ণ উল্টো চিত্রই। সংস্থার মহকুমা ইউনিটগুলি এখন ক্লাব ক্রিকেট নিয়ে খোদ রাজ্য ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা টিসিএকেই জব্বর টেক্কা দিচ্ছে। শান্তিরবাজার, অমরপুর, লংতরাইভ্যালী, উদয়পুরে সিনিয়র ক্রিকেট হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে ধর্মনগর, খোয়াইয়ে খুব শীঘ্রই ক্লাব ক্রিকেট শুরু হবে। অথচ টিসিএতেই ঘরোয়া ক্লাব ক্রিকেট নিয়ে কোনোরকম তৎপরতা বা উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।
গত তিন বছর ধরে ঘরোয়া ক্লাব ক্রিকেট বন্ধ । দেখতে দেখতে টিসিএর বর্তমান অ্যাপেক্স কাউন্সিলের তিন বছরের মেয়াদকালও শেষের পথেই । মাঝে একটা বছর করোনা করোনা আতঙ্কে গোটা দেশেই ক্রিকেট যদিও বন্ধ ছিল , পরে কিন্তু ঠিকই শুরু হয় । টিসিএ বয়সভিত্তিক ঘরোয়া টুর্নামেন্ট করলেও কোন্ অজানা বা রহস্যময় কারণে ঘরোয়া ক্লাব ক্রিকেট এখনও শুরু করছে না । তাই কারোর বোধগম্য হচ্ছে না ।
অবশ্য ঘরোয়া ক্লাব ক্রিকেট নিয়ে টিসিএর অদ্ভূত পরিকল্পনায় ক্লাবগুলিও এখন ক্লাব ক্রিকেট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে । এক সময় টিসিএর উদ্যোগে এই কমিটির আগেও আগরতলায় তিনটি সীমিত ওভারের টুর্নামেন্ট হতো । এ ডিভিশন , সন্তোষ স্মৃতি ট্রফি , সুপার ডিভিশন , বিপুল মজুমদার স্মৃতি । এছাড়াও জেসি লীগ , তপন স্মৃতি নকআউট ক্রিকেট । কিন্তু বর্তমান অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সময়ে তার একটা টুর্নামেন্টও সংগঠিত হয়নি । কেন , কি কারণে বা কাদের স্বার্থে ঘরোয়া ক্রিকেট হচ্ছে না এ বিষয়টি নিয়েও ক্রিকেট মহল অন্ধকারে । অথচ একটা সময় জেসি লীগের পারফরম্যান্স দেখেই রঞ্জি ট্রফির জন্য রাজ্যদলের স্কোয়াডে ঢোকার শেষ কথা ছিল । কিন্তু এখন তা অচল , এখন নিজেদের পছন্দের পঁচিশ – ত্রিশজন ক্রিকেটারকে ক্যাম্পে ডেকেই রঞ্জি সহ সিনিয়র ক্রিকেটের রাজ্যদল গঠন হয় । এখন দল গঠনে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স বিচার্য নয় । এতে করে অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটারের ক্লাব ক্রিকেট খেলার সুযোগ হচ্ছে না । রাজ্যদলেও খেলার সুযোগ হচ্ছে না ।
অবশ্য এতে করে টিসিএ অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সৌজন্যে শুধু রাজধানীরই নয় , মহকুমার অনেক ক্রিকেটারই চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে যাচ্ছে । অবশ্য ক্রিকেট মহলে এমনও শোনা যাচ্ছে বর্তমান কমিটির পক্ষে হয়তো আর ঘরোয়া ক্লাব ক্রিকেট করা সম্ভব নাও হতে পারে । এখন সবার লক্ষ্য নতুন কমিটিতে আসা । যে কারণে ঘরোয়া ক্লাব ক্রিকেট শিকেয় তুলেই টিসিএর ক্ষমতার অলিন্দে ঢোকার রণকৌশলই এখন একমাত্র লক্ষ্য যেন সবার । তাই রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ক্রিকেট গোল্লায় যাক্ তাতে তারা বিন্দুমাত্রও চিন্তিত নন । ক্লাবগুলির অস্তিত্ব বিলোপ হয়ে যাক ক্রিকেটাররা ক্লাব ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাক কিংবা না পাক এ নিয়ে কারোর বিন্দুমাত্র উদ্বিগ্ন বা দুশ্চিন্তা নেই – এ রকম আক্ষেপই ক্রিকেট মহলের ।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমান যুগে হৃদরোগ জনিত সমস্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও জীবনঘাতী…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমানে রাজ্যেনয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন রয়েছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই, আমাদের…
অনলাইন প্রতিনিধি:-তপন স্মৃতি নকআউট ক্রিকেটের দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে হার্ভেকে নকআউট করে তপনের সেমিতে সংহতি!!খেলার…
নজিরবিহীন গরমের মুখোমুখি রাজ্য। মার্চ মাসের শেষ দিকে গরমের এই প্রকোপ এককথায় নজিরবিহীন।এজন্য আবহাওয়া দপ্তরকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…