টিসিএর ভূমিকায় ক্রিকেট মহলে সন্দেহ জাগছে!!

 টিসিএর ভূমিকায় ক্রিকেট মহলে সন্দেহ জাগছে!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

যত দিন যাচ্ছে ততই যেন রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার ( টিসিএ ) বর্তমার কমিটির ভূমিকা নিয়ে ক্রিকেট মহলে নানা সন্দেহ তৈরি হচ্ছে । সায়ন ঘোষের ৭ লক্ষ টাকার ঘুষকাণ্ডের রিপোর্ট এখনও প্রকাশ্যে আসেনি । যদিও ঘটনার ৫০ দিন অতিক্রান্ত । টিসিএর তদন্ত যেন বিশবাঁও জলের নীচেই । পাশাপাশি পুলিশি তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহে রয়েছে ক্রিকেট মহল । পুলিশি তদন্তের প্রতি আস্থা হারিয়ে এক সময় খোদ টিসিএই সায়ন ঘোষ ঘুষকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে নিজেরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে । কমিটির দায়িত্ব পেয়ে অভিযুক্ত কোচ তপন দেবকে জেরা করে । ডাকা হয় টিমের কোচকেও । তপনকে জেরা করলেও কমিটির সামনে কোচ তপন দেব নাকি কোনও কিছুই স্বীকার করেনি । বরং বার বার তার একটাই কথা ছিল আমি এই বিষয়ে কোনও কিছুই জানি না । তপন আরও বলেন আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা , ভিত্তিহীন । তপন জানায় ক্রিকেটার বা তার অভিভাবকদের ডাকুন । সামনে বসান । তখনই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে । আসল ঘটনা কী । কিন্তু ঘটনার ৫০ দিন অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত টিসিএ সায়ন ঘোষ ঘুষকাণ্ডের কোনও কুলকিনারাই করতে পারেনি । সায়নের বাবাকেও জিজ্ঞাসা করতে পারেনি । এদিকে , তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা না পড়ায় বিষয়টা আরও গোলমেলে হয়ে যাচ্ছে । ক্রিকেট মহলের বক্তব্য , সায়ন ঘোষের ঘুষকাণ্ড কি তাহলে পুরোটাই ম্যানেজ হয়ে গেছে ? তাই টিসিএও এই বিষয়ে নীরবতা পালন করছে । প্রসঙ্গত , বহিঃরাজ্যের ( কলকাতার ) ক্রিকেটার সায়ন ঘোষকে জাতীয় আসরের রাজ্য জুনিয়র দলে খেলার সুযোগ করে দেওয়া নিয়ে । এই মর্মে ৭ লক্ষ টাকার গোপন চুক্তি হয় । এর মধ্যে প্রথম কিস্তি হিসাবে সায়ন ঘোষের বাবা প্রদীপ ঘোষ নাকি ৪ লক্ষ টাকাও তুলে দেন । পরে জুনিয়র ক্যাম্পে সায়নের কথাবার্তা ও পরে টিসিএতে কাগজপত্র দেবার সময় অনিয়ম চোখে পড়ার পরই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে । ১৬ জুলাই টিসিএর প্রেস মিটের দিনই সায়ন ঘোষ টিসিএ অফিসে দাঁড়িয়ে মিডিয়াকে পরিষ্কার জানায় তাকে রাজ্যদলে খেলতে সুযোগ করে দেবার জন্য ৪ লক্ষ টাকা ঘুষ নেয় কোচ তপন দেব । কিন্তু এর দুদিন পরই সায়ন ঘোষ উধাও । আগরতলা ছেড়ে বাড়ি চলে যায় । এরপর নিজের মোবাইলের সিম কার্ডও খুলে ফেলে । যে কারণে টিসিএ আর সায়ন ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি । ক্রিকেট মহলের বক্তব্য , সায়ন ঘোষ ঘুষকাণ্ডে যদি তপন জড়িয়েও থাকে তাহলে কিন্তু এই ঘুষের টাকা সে একা নিতে পারেনা । নির্ঘাত ভাগবাটোয়ারা হয়েছে । কারণ একজন কোচের কাউকে দলে নেওয়া সম্ভব নয় । তাও দল গঠনের দায়িত্বে থাকেন চিফ কোচ । তপন সহকারী কোচ । তাছাড়া দল নির্বাচন করেন নির্বাচকরা । তাই কারও কারও আশঙ্কা এই ৭ লক্ষ টাকার ঘুষকাণ্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জুনিয়র নির্বাচক কমিটির কেউ জড়িয়ে থাকতেও পারেন । এখানেই শেষ নয় , এতবড় ঘটনা যে টিসিএর কোনও কর্মকর্তাকে না জানিয়ে করা হবে এমন সাহসও কারোর নেই । সব মিলিয়ে একটা জিনিস খুব পরিষ্কার তা হলো সায়ন ঘোষ ঘুষকাণ্ডে অনেকেই জড়িত । তাই সঠিক তদন্ত হলে কেঁচো খুঁড়তে সাপও বের হয়ে আসতে পারে । তাই তদন্ত কমিটির সন্দেহের তীর যতই কোচ তপনের দিকেই থাকুক না কেন । ডাল মে কুচ কালা হ্যায় । তাই সায়ন ঘোষ ঘুষকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে এত দেরি হওয়া নিয়ে ক্রিকেট মহল টিসিএর বর্তমান কমিটির ভূমিকা ও রহস্য উন্মোচনে তাদের সদিচ্ছা নিয়েও সন্দেহ করছে ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.