টিসিএর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন!

 টিসিএর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

রাজ্য সিনিয়র দলের জন্য জাতীয় দলের উইকেটকিপার কাম ব্যাটার ঋদ্ধিমান সাহাকে আনার পর এখন নাকি টিসিএর লক্ষ্য রাজ্য সিনিয়র মহিলা ক্রিকেট দলেও ভিন রাজ্যের ভাড়াটে তথা পেশাদার আনার । তবে টিসিএর বর্তমান কমিটির আমলে ঘরোয়া ক্রিকেট একপ্রকার তালা বন্ধ থাকার পর এখন কমিটি বিদায়ের আগে সিনিয়র মহিলা ক্রিকেটে ভিন রাজ্যের ক্রিকেটার আনার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । অবশ্য গত ২/৩ বছর ধরে রাজ্য কি জুনিয়র কি সিনিয়র এমনকী অনূর্ধ্ব ২৩ দল ও জাতীয় মহিলা ক্রিকেটে প্রত্যাশিত রেজাল্টই পাচ্ছিল না । অবশ্য এর জন্য দায়ী কিন্তু খোদ টিসিএ – ই ।

FB_IMG_1657355956880

কারণ মহিলা ক্রিকেটের সাপ্লাই লাইন যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে প্লেয়ার কীভাবে উঠে আসবে । টিসিএর অনুমোদিত মহকুমায় মহিলা ক্রিকেট চর্চা নেই বললেই চলে । আগরতলায় নামকা ওয়াস্তে ক্লাব ক্রিকেট হয় । তাও ওপেন । রাজ্যভিত্তিক মহিলা ক্রিকেট হলে তা থেকে ভালো ভালো প্লেয়ার কিন্তু উঠে আসতো । কিন্তু টিসিএর বর্তমান কমিটি রাজ্যভিত্তিক মহিলা ক্রিকেটেও ব্যর্থ । তবে ক্রিকেট কোচ ও প্রাক্তনদের মতে বাইরের ভাড়াটে প্লেয়ার এসে খেললেও রাজ্যের মহিলা ক্রিকেটারদের কোনও লাভই হবে না । মাঝ থেকে ত্রিপুরায় খেলে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে যাবে ভাড়াটেরা । সোমবার টিসিএর কনফারেন্স হলে টিসিএর উপদেষ্টা টুর্নামেন্ট কমিটি , টিসিএর সিনিয়র ও জুনিয়র নির্বাচক কমিটি , মহিলা নির্বাচক কমিটি ও কোচদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয় ।

নির্বাচকদের কাছে নাকি গত বছর জাতীয় ক্রিকেটে রাজ্যদলগুলি কি করেছে তা জানতে চায় টিসিএ । একই সঙ্গে দল কেন ভালো রেজাল্ট বা ভালো পারফরম্যান্স করলো না । দল গঠনে বা দলের মধ্যে কি ঘাটতি ছিল যে কারণে প্রত্যাশিত রেজাল্ট আসেনি , এখন কি দরকার ইত্যাদি ইত্যাদি । পাশাপাশি এও বলা হয় গত সিজনে যারা ভালো করেছিল তাদের দিকে যেন নজর বেশি দেওয়া হয় । ধারাবাহিকতা যেন তারা ধরে রাখতে পারে । নির্বাচকরাও কথা দিয়েছে এ বছর জাতীয় দল গঠনের সময় তারা ওইসব বিষয় মনে রাখবেন । এদিকে , আসন্ন টি -২০ ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট করার পর সময় পাওয়া গেলে ৫০ ওভারের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ছাড়াও তিনদিনের ম্যাচ করার পরিকল্পনা নাকি রয়েছে টিসিএর ।

তাও আজকের আলোচনায় উঠে এসেছে বলে এক সূত্রে জানা গেছে । তবে একটা বিষয় কিন্তু পরিষ্কার , টিসিএ সিনিয়র ক্রিকেট টিম নিয়ে ভাবলেও ছেলেদের অনূর্ধ্ব ১৬ ও অনূর্ধ্ব ১৯ এমনকী অনূর্ধ্ব ২৩ টিম নিয়ে তেমনভাবে ভাবছে না । একই অবস্থা মহিলা ক্রিকেট নিয়েও । এ বছর উপরোক্ত অনূর্ধ্ব ১৯ ও ২৩ দল কিন্তু জাতীয় ক্রিকেটে ডেইস ও ওয়ানডে দুটি প্রতিযোগিতায়ই রাজ্যের মুখ কালো করেছে । শুধু ক্যাম্প ক্যাম্প নয় আসল হল ম্যাচ চাই । তাই জাতীয় জুনিয়র ও অনূর্ধ্ব ২৩ টুর্নামেন্টে কাঙিক্ষত সাফল্য আনতে হলে দরকার অবশ্য যতবেশি সম্ভব প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করা । তবেই যদি সাফল্য ধরা দেয় । না হলে বাইরে থেকে লক্ষ লক্ষ টাকায় বিশেষজ্ঞ , অভিজ্ঞ কোচ এনেও লাভ হবে না

প্রাক্তন ক্রিকেটারদের ঠিক এরকমই বক্তব্য । তবে বর্তমান কমিটি সম্পর্কে একটা কথা না বললেই নয় , বিদায়ের আগে বর্তমান কমিটির যেন ক্রিকেট নিয়ে সময় দেবার প্রয়োজন পড়ল । এতদিন ঘুম কাটিয়ে যাবার বেলায় হঠাৎ মনে হলো কিছু তো করাই হলো না । ঘরোয়া ক্লাব ক্রিকেট নিয়ে তো কম জল ঘোলা হয়নি । শেষ পর্যন্ত যাও করার উদ্যোগ , তখন সময়ের অভাবে অন্য ক্লাব টুর্নামেন্টগুলি করার জন্য হাতে সময়ই তাদের থাকছে না । অথচ আগে শুরু করলে অনেক টুর্নামেন্টই হতো । প্লেয়াররা ম্যাচ খেলে জাতীয় টুর্নামেন্টের জন্য নিজেদের তৈরি করে নিতো । কিন্তু এখন মাত্র কয়েকটা ম্যাচই খেলার সুযোগ পাবে ক্রিকেটাররা ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.