টিসিএ বিরোধ আপাতত মিটলেও বাড়লো জটিলতা।
অনলাইন প্রতিনিধি :- টিসিএর কর্তৃত্ব নিয়ে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর প্রকাশ্যে ন্যাক্কারজনক কাজিয়ার
মিমাংসার পথে হাঁটতে গিয়ে আরও একগুচ্ছ আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত।গত দুই দিন ধরে দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি অরিন্দম লোধ বৃহস্পতিবার যে রায় দিয়েছেন,সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছেন নির্বাচিত অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্যরা। কেননা, বিচারপতি শ্রীলোধ নির্বাচিত অ্যাপেক্স কাউন্সিলের মাত্র ৫ জন অফিস বেয়ারারকে রেখে, পুরো অ্যাপেক্স কাউন্সিল খারিজ করে দিয়েছেন।উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক এখন থেকে টিসিএতে অ্যাপেক্স কাউন্সিল হবে ৫ জনের।এরা হলেন প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি, জয়েন্ট সেক্রেটারি এবং ট্রেজাররা। টিসিএর বর্তমান সংবিধান সংশোধন করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।টিসিএর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অপারেট করবেন সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ !আগামী ৯ আগষ্ট জেনারেল বর্ডির মিটিং অনুষ্ঠিত হবে। অফিস বেয়ারারদের আণ্ডার টেকিং দিতে হবে যে তারা জেনারেল বডির সিদ্ধান্ত মেনে কাজ করবেন।প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক বিকে রায়কে টিসিএর কমিশনার হিসাবে নিযুক্তি দিয়েছে আদালত। কমিশনার আদালতে রিপোর্ট জমা দেবেন যদি তিনি মনে করেন। এছাড়াও আরও কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, নির্বাচিত অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্যদের বক্তব্য না শুনে, তাদের বাদ দিয়ে দেওয়া নিয়ে?টিসিএর ১৬ জন নির্বাচিত অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য এবং ৩ জন মনোনীত সদস্য রয়েছেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক এখন শুধু পাঁচজন অফিস বেয়ারার টিসিএ পরিচালনা করবেন। শুধু তাই নয়, এই পাঁচজনকে জেনারেল বডির সিদ্ধান্ত মোতবেক কাজ করতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২৮ আগষ্ট।বৃহস্পতিবার আদালত থেকে বেড়িয়ে বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর দুই মাথা সভাপতি ও সচিব সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একসাথে টিসিএ পরিচালনার কথা বলেছেন। বিরোধ মিটিয়ে দুই পক্ষই একসাথে চলবেন বলে সহমত পোষণ করেছেন। এখন এই সহমতের পথ চলা কতদিন চলে, সেটাই এখন দেখার। তবে টিসিএ নিয়ে আইনি জটিলতা আরও বাড়লো বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।