টি-রেরায় মেম্বার পদে নিয়োগে অনিয়ম, অভিযোগ ঘিরে গুঞ্জন।।

 টি-রেরায় মেম্বার পদে নিয়োগে অনিয়ম, অভিযোগ ঘিরে গুঞ্জন।।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি:-ডবল
ইঞ্জিনের সরকার বরাবরই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার দাবি করে আসছে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডবল ইঞ্জিন সরকারের এই দাবির যথার্থতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। এমনই এক অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের নগর উন্নয়ন দপ্তরের অধীন ত্রিপুরা রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটির একজন নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। অভিযোগ, শাসক দলের এক যুব নেতাকে বাঁকা পথে মেম্বার পদে নিয়োগের যাবতীয় বন্দোবস্ত করা হয়েছে। গত ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ইং রাজ্য সরকারের নগর উন্নয়ন দপ্তর থেকে (No.F.2(10)-UDD/ TCPO/ RERA/2022/62) এই সেহামূলে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এই বিজ্ঞপ্তি মূলে যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীদের কাজ থেকে আবেদন আহ্বান করা হয়। জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে এই পদের (মেম্বার) জন্য প্রার্থীদের আবশ্যিক কাজ থেকে আবেদন আহ্বান করা হয়। জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে এই পদের (মেম্বার) জন্য প্রার্থীদের আবশ্যিক যোগ্যতা হিসাবে নগর উন্নয়ন, আবাসন, রিয়েল এস্টেট, পরিকাঠামো, অর্থনীতি, প্রযুক্তি, পরিকল্পনা, আইন,বাণিজ্য, হিসাবশাস্ত্র, শিল্প, ব্যবস্থাপনা, সমাজসেবা, পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ইত্যাদি ক্ষেত্রে অথবা প্রশাসনিক কাজে অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছিল। এই সব ক্ষেত্রে যাদের ১৫ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তারাই শুধু আবেদন করবে। পরবর্তীকালে যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদের মধ্য থেকে একজনকে মেম্বার পদের জন্য বাছাই করা হবে।
গত ২ জানুয়ারী ২০২৫ ইং নগর উন্নয়ন দপ্তর আবেদনকারীদের কল লেটার পাঠায়। তাতে বলা হয়, ৭ জানুয়ারী ২০২৫ ইং বেলা দুটোয় সোনারতরি রাজ্য অতিথিশালায় সিলেকশন কমিটির সামনে যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৯ জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন।এর মধ্যে ৮ জন প্রার্থী সিলেকশন কমিটির সামনে হাজির হন।জানা গেছে, এই ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে মাত্র একজনের উল্লেখিত বিষয়গুলিতে কাজের অভিজ্ঞতা ছিল দীর্ঘ ২১ বছরের। বাকি ৭ জনের কেউই এই যোগ্যতাগুলি অর্জন করতে পারেননি। ৭জনের মধ্যে পাঁচজন প্রার্থীর শুধু আইন বিষয়ে অভিজ্ঞতা ছিল। একজনের একটি বেসরকারী সংস্থায় কাজের অভিজ্ঞতা ছিল। আর আরেকজন, যাকে নিয়োগের জন্য এই সিলেকশনের নামে আইওয়াশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাঁর শুধু প্রাইভেট টিউশন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাও পাঁচ বছরের কম। তাঁর সব থেকে বড় যোগ্যতা হচ্ছে, তিনি শাসক দলের যুবনেতা। যদিও প্রাইভেট টিউশনের অভিজ্ঞতা এই পদের জন্য চাওয়া হয়নি। অভিযোগ, যার আবেদনই বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা (বিজ্ঞপ্তি মূলে), তাঁকে সিলেকশন কমিটির সামনে তথাকথিত ইন্টারভিউতে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, মেম্বার পদে আবেদনকারী ৯ জনের মধ্যে ৮ জনের ডাকই পাওয়ার কথা ছিল না। অভিযোগ, এই পদটি যেহেতু শাসকদলের যুব নেতাকে পাইয়ে দিতে হবে তাই জনসমক্ষে স্বচ্ছতার নামে আইওয়াশ করার জন্য সকলকে ডাকা হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গেছে, যাকে ত্রিপুরা রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটির (টি-রেরা) মেম্বার পদে নিয়োগের জন্য এতকিছু,তিনি নাকি মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা। নগর উন্নয়ন দপ্তরটিও মুখ্যমন্ত্রীর হাতে রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর ইমেজ নষ্ট করতে অন্য কারোর কারসাজি নয়তো?এখন দেখার মুখ্যমন্ত্রী কী ব্যবস্থা নেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.