টেট উত্তীর্ণদের অফার ছাড়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ২৫৬ জনের অফার ছাড়া হয়। বাকি প্রায় ৩৬৮৪ জনের অফার ছাড়া হবে। ইতিমধ্যে অর্থ দপ্তরের অনুমোদনের পর ফাইলে উপমুখ্যমন্ত্রীর স্বাক্ষর হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর টেবিলে চলে গেছে। আগামীকাল ক্যাবিনেট বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে একসঙ্গে অফার ছাড়া হবে। বুধবার খয়েরপুর পুরাতন আগরতলা তুলাকোনায় সরকারী ডিগ্রি কলেজের উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ। তিনি বলেন, দেওয়ালির আগেই পোস্টিং দেওয়া হবে শিক্ষকদের। এতে শিক্ষকস্বল্পতা অনেকটাই দূর হবে। মন্ত্রী বলেন, বিরোধী দল খুব কষ্ট পাচ্ছে। কারণ তারা টেট নিয়ে রাজনীতি করতে চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্য বিজেপি সরকার ও বিজেপি পার্টি বা মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রিসভাকে চেনে না তারা। এখন খুব কষ্ট পাচ্ছে। এদিন পুরাতন আগরতলা ডিগ্রি কলেজের উদ্বোধন হলো । উদ্বোধন করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, জাতি শিক্ষিত না হলে একটা দেশ উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পরে না। মানুষের ভিতর সুপ্ত প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশ দিতে পারে একমাত্র শিক্ষা। আর প্রকৃত শিক্ষা প্রকৃত মানুষ তৈরি করে। তিনি বলেন, প্রকৃত শিক্ষা নেই বলেই এত হানাহানি। জাতপাত হিংসা, ছোট ছোট জিনিস নিয়ে রাজনীতি। একটা বিরাট অন্ধকারময় যুগ পেরিয়ে ২০১৮ সালে নতুন সুযোগ সূচনা করা সম্ভব হয়েছে। দৃঢ় মানসিকতা মাতৃশক্তি ও যুবশক্তির সম্মিলিত চেষ্টায় এই অন্ধকারময় যুগ পার করা সম্ভব হয়েছে
বলে তিনি দাবি করেন। অধ্যক্ষ বলেন, আমি ক্ষুদ্র পুরোহিত পুজোয় আপনাদের তেমন কিছু দিতে পারি কিন্তু ডিগ্রি কলেজটাকেই পুজোর উপহার হিসেবে সকলকে গ্রহণ করার কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা হয়ত থাকব না, কিন্তু একদিন আপনারা বলবেন দুই রতন মিলে শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ শিক্ষার প্রসারে রাজ্য সরকার যে সমস্ত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে গত সাড়ে চার বছরে, তা বিস্তারিত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রী তথ্য তুলে ধরে বলেন, করোনাকালে রাজ্যের মোট ২৪ লক্ষ ৭৬ হাজার মানুষকে বিনা পয়সায় পাঁচ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে যা পৃথিবীতে কোথাও নেই। তিনি বলেন, গত সাড়ে চার বছরে ২ লক্ষ ৭৭ হাজার ঘর দেওয়া হয়েছে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার মানুষকে।
গত পঁচিশ বছরে মাত্র ৭২ হাজার ঘর দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, শহরে ৮৬ হাজার ঘর সাড়ে চার বছরে দেওয়া হয়েছে, হর ঘর জল প্রকল্পে প্রচুর বাড়ি ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আগে তিন শতাংশ বাড়িঘরে জলের পাইপ লাইন ছিল। বর্তমানে ৫৪ শতাংশ বাড়ি ঘরে জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পিএমইজি প্রকল্পে মোট সাড়ে চার বছরে চার হাজার চৌদ্দ জনকে ২৪৭ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। স্বাবলম্বন প্রকল্পে ৩৪০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। তিনি শিক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন শিক্ষা দপ্তরের সচিব এস চৌধুরী, অধিকর্তা এন সি শর্মা, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ শীল, সমাজসেবী অমিত নন্দী সহ অন্যরা। সভাপতিত্ব করেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল রতন মজুমদার। এদিন অধ্যক্ষ ডিগ্রি কলেজটির নাম পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের নামে নামকরণ করার প্রস্তাব রাখেন। এ পর্যন্ত কলেজে ১৪ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে বলে কলেজ সূত্রে খবর।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমান যুগে হৃদরোগ জনিত সমস্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও জীবনঘাতী…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমানে রাজ্যেনয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন রয়েছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই, আমাদের…
অনলাইন প্রতিনিধি:-তপন স্মৃতি নকআউট ক্রিকেটের দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে হার্ভেকে নকআউট করে তপনের সেমিতে সংহতি!!খেলার…
নজিরবিহীন গরমের মুখোমুখি রাজ্য। মার্চ মাসের শেষ দিকে গরমের এই প্রকোপ এককথায় নজিরবিহীন।এজন্য আবহাওয়া দপ্তরকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…